somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Tool Box Meeting! - ৩য় পর্ব

০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জীবন চলার প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হয়। কাজের ক্ষেত্র থেকে শুরু করে অফিস আদালত, এমনকি আপনি যখন খেতে বসেন অথবা ঘুমাতে যান তখনও কিছু নিরাপত্তা প্রণালী রয়েছে। অবজ্ঞা করলে যে কোন সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। আমরা এখানে ধারাবাহিক ভাবে সেই সমস্ত নিরাপত্তা প্রণালী নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো কম বেশী সবারই কিছু না কিছু জানা দরকার। আপনাদের কোন উপদেশ পরামর্শ বা অভিজ্ঞতা থাকলে তাও শেয়ার করতে পারেন এখানে। ফেসবুকের মত শুধু লাইক নয়, আমরা আলোচনা-সমালোচনা-প্রতিউত্তর কামনা করছি।
********************************************************************************


-” আমরা পরিশ্রম করে বিদেশে কাজ করি আর বউয়েরা আছে দেশে এই পরিশ্রমের টাকা কিভাবে উড়াবে সেই তালে। অনেকে আবার নষ্টামিও করে। আমার মনে হয় বউদের হাতে টাকা পয়সা একদমই না দেওয়া উচিত।”

-” না তোমার কথা ঠিক না। টাকা না দিলে সে খাবে কি? বাঁচবে কি করে? টাকা দিতে হবে, তবে হিসাব করে।”

-” টাকা হিসাব করে দাও আর না দাও, স্বর্ণালঙ্কার কখনই না। এটাই বউদের খারাপ করে। বোঁচকা বেঁধে পরে ভেগে যায় আরেক জনের সাথে।”

-” এই মিয়া গরু চিনো, গরু? তোমাদের বাড়িতে গরু আছে? হালচাষ কর? ঐ যে হালচাষের যে গরু, সেও দেখবে তুমি কি চাও তা বুঝতে পারে। কৃষকরা ডাইনে চাইলে ডাইনে যায় বাঁয়ে চাইলে বাঁয়ে। কিভাবে বুঝে? সে কি কথা বলতে পারে? সে কোন ভাষা বুঝে? বাংলা ইংলিশ না চাইনিজ? কোনটাই না।
তাহলে এবার ভেবে দেখ, একটা গরুও যদি তোমার মনের ভাষা বুঝতে পারে, একটা মানুষ হয়ে তোমার স্ত্রী তোমার মনের কথা বুঝতে পারবে না, তা কি করে হয়?

সে যদি উল্টা পাল্টা কোন কিছু করে থাকে, আমি বলবো সে তোমার কুৎসিত মনের গলিত পুঁজ। তুমি স্বীকার কর আর না কর তোমার মন যতটা কুৎসিত হবে, তাঁদের আচরণ ততটাই নেক্কার জনক হবে।”

টুলবক্স মিটিঙয়ের শুরুতে কয়েকজন শ্রমিকের আলাপচারীতা এগুলো। পাঠক মাইন্ড ইট!

আমাদের দেশে হলে এ ধরনের আলাপচারীতায় তুই তুকারী থেকে শুরু করে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু এখানে? কী সুন্দর আন্ডারস্ট্যান্ডিং! একজন আরেক জনকে বুঝার বা বুঝানোর কসরত!

ওরা আমার এক একটা রত্ন এই বিদেশের মাটিতে। I feel proud of them.

আমাদের আজকের টুলবক্স মিটিঙয়ের বিষয় ছিল, The sincerity and concentration at work. কর্মক্ষেত্রে কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও একাগ্রতা। যার ব্যাত্তায় হলে আপনার এই কাজ যে কোন সময় আপনার উপর প্রতিশোধ নিতে পারে। আপনি পড়ে যেতে পারেন দুর্ঘটনার মুখে।

১ম পর্ব
২য় পর্ব


সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×