চিন্তা করুন একবার। ঢাকা শহরের ব্যস্ততম জায়গা শ্যামলীতে অবস্থিত ঢাকা শিশুমেলা। ১.৪০ একর বা ৮৪ কাঠার উপর অবস্থিত শিশু পার্কটি। মেয়র আনিসুল হক বলেন, শহরের মাঝখানে এই জায়গাটি ২০০২ সাল থেকে দখল করে রাখা হয়েছে। প্রতি তিন বছরে মাত্র ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ইজারা। ২০০২ সাল থেকে সেই ইজারার একটি টাকাও সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়নি। আজ শনিবার ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজিদ আনোয়ার শিশুমেলার দুটি ফটকে তালা লাগিয়ে তা সিলগালা করে দেন। সেসময় মেয়র আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বিনোদনকেন্দ্রটি খুব তাড়াতাড়ি জনসাধারণের জন্য আবার খুলে দেওয়া হবে।
মেয়র আরও বলেন, ‘গরিবের সম্পত্তি, আমাদের সম্পত্তি, সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি—এত বড় একটি পার্ক বছরের পর বছর তারা দখল করে রেখেছে। মামলার পর মামলা করেছে। আমরা মামলায় জয়ী হয়েছি। আজকে আমাদের, শিশুদের ও সাধারণ নাগরিকদের এই পার্ক পুনরুদ্ধার করলাম। এটা আর কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না।
যদি শিশুমেলায় বাচ্চাদের নিয়ে কেহ গিয়ে থাকেন তারা অবশ্যই জানেন। তারপরও বলি। শিশুমেলায় এন্ট্রি ফি ছিল ৫০ টাকা এবং এক একটা রাইডে চড়ার জন্য টিকেটের মূল্য ছিল ৩০ টাকা। প্রতিদিন যে পরিমান মানুষজনের যাওয়া হতো আমার হিসেবে তাতে দৈনিক আয় হতো কমপক্ষে ১.০০ লক্ষ টাকা। অথচ ২০১২ সাল থেকে ইজারা নিয়ে গত ১৪/১৫ বছর সংস্থাটি সিটি কর্পোরেশনকে কোন টাকাই দেননি। কি অদ্ভুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা আমাদের দেশের। নেই কোন তদারকী ব্যবস্থা বা নেই কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। আজকে মাননীয় মেয়র উপস্থিত থেকে এটি সিলগালা করে দিয়েছেন। এখন শিশুমেলার ইজাদারদের কাছ থেকে গত ১৪/১৫ বছরের শুধু বকেয়া আদায় নয়, উচিত ইন্টারেস্টসহ বকেয়া আদায় সাথে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। তবেই প্রতিষ্ঠিত হবে দেশে আইনের শাসন। ধন্যবাদ মাননীয় মেয়র। ধন্যবাদ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কতৃপক্ষ।
২৬.১১.২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫