একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা একটি দেশের সবচেয়ে দামি সম্পদ এটা হয়তো আজ আর কাউকে বুঝাতে হবেনা।
কারন বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার (বিশেষ করে র,সি আই এ,মোসাদ,এফ এস বি,)কাজ সম্পর্কে যারা খবর রাখেন তারা জানেন তাদের দিয়ে সম্ভব না এমন কোন কাজ নেই। গোয়েন্দাদের কাজ তথ্য চুরি করা, লুকিয়ে কারো বা কোনপ্রতিষ্ঠনের প্রতি নজরদারি করা এবং তার দুর্বলতা কে জেনে নিয়ে সেখানে আঘাত করে তাদের পক্ষে নিয়ে আসা। আর এই জন্য যত প্রকার জঘন্য কাজ আছে সব তারা করে থাকে। ভাড়ি ঘাড়ি নারী টাকা পয়সা গুম হত্যা তার উপর স্টিম রোলার চালানো থেকে শুরু করে সব ই হতে পারে।
বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজ অব্ধি আমরা একটি দেশ এর বলয়ে আছি এটা হয়তো আজ অনেকেই মানেন বুঝেন এবং বলেন আবার অনেকেই তার বিপরীত কিন্তু কথা সত্য আর এটা সম্বভ হয়েছে তাদের শক্তিশালী গোয়েন্দাদের কারনে।
যুদ্ধের সময় ভারতের সাথে কিছু গোপন চুক্তি হয়েছিল সেগুলোর কথা হয়তো অনেকেই জানেন(যদিও এগুলো নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে)চুক্তি গুলো করে থাকলে ও স্বাধীনতার পর সেগুলো আর মানতে চান নাই মুজিব
তিনি চেয়েছিলেন সেগুলোর থেকে বেরিয়ে এসে দেশের উন্নয়নকাজ এ মননিবেশ করতে এবং এনেকটা এগিয়ে ছিলেন ও সেটাতো আর তারা চায় নাই তারা চেয়েছিল দেশটা অউন্নত থাক আর আমাদের বলয়ে থাক কিন্তু মুজিব তার থেকে অনেকটা সরে এসেছিল তাই তাকে জীবন দিতে হল।উপর থেকে সেনাবাহিনী কে দেখা গেলেও পিছনে তাদের ইশারাই দেখা যায়।
কারন মুজিব কে হত্যা থেকে শুরু করে পালানো পর্যন্ত যারা তাদের সাহায্য করেছিল তা হয়তো আজ আর আমাদের অজানা নেই। আর এ থেকেই বুঝা জায় কারা ছিল এর পিছনে।
এর পর আসে জিয়া শাসন। সাবেক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা আশোক রায়নার এর লেখা ইনসাড র বই এবং কলকাতা থেকে প্রকাশিত উইকলি সানডে তে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী র প্রধান কাও এর নেতৃত্বে জেনারেল জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তৎকালিন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই এই পরিকল্পনা স্থগিত করার আদেশ দেন যদিও এরই মধ্যে পরিকল্পনা অনেক এগিয়ে গিয়েছিল পরবর্তীতে ইন্দিরা গান্দি ক্ষমতায় এলে জিয়া কে হত্যা করা হয়।
এর পর দেশে আর সেরকম সাহসী নেতা দেখা জায়নি। অনেকেই তারেকের ভিতর জিয়াকে খুজে আর তার ভিতর সেরকম গুন ছিল ও তাই তাকেও দেওয়া হল পঙ্গু করে।
আর এভাবেই তারা আমাদের নেতৃত্ব শুন্য করে দিচ্ছে একের পর এক।তাদের চিন্তা বাংলাকে দ্বিতীয় সিকিম বানানো জায় কিনা কিন্তু এর বিপরীতে আমাদের একটা শক্তিশালি গোয়েন্দা দল থাকলে তাদের মোকাবেলা করা জেত।
এছাড়া ভারত ছারাও চীন রাশিয়া ও পশ্চিমা দের কাছে বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপুর্ন কারন এখানে অনেক সম্পদ আছে আর এখানে একটা সামরিক ঘাটি মানে পুরা এশিয়া নিয়ন্ত্রণ। তাই হাজার হাজার গোয়েন্দাদের বিচরণ এখানে তাই দেশ বাচাতে আমাদের ও একটা শক্তিশালী গোয়েন্দা দল দরকার।
আপনে দেখলে দেখবেন আজ ভিবিন্ন ইসু নিয়ে দেশ ও দেশের মানুষ বিভক্ত। একটা দেশকে তলানিতে নিতে এটাই যথেষ্ট।
এছাড়া বাংলাকে এখন অস্থিতিশীল করে রাখা হয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ এর বেশিরভাগ অর্ডার চলে যাচ্ছে ভারতে এছাড়া প্রশ্ন ফাস,ভার্সিটি গুলোতে মারামারি কাটাকাটির রাজনিতি চালু রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে আর মাদকের কথা তো না বল্লেও চলে।
এ সবই ঠেকানো সম্ভব যদি আমাদের স্বাধীন ও শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা থাকতো।
তাই সরকারের এই বেপারটা ভাবা উচিত।