দেশের এই রাজনীতি কাদের জন্য, একসময় বাংলার বাঘরা পুরা ভারত উপমহাদেশ শাসন করছে,আর আজ আমরা ক্ষমতার জন্য পায়ে পরতেও ধিদা করিনা। মনে পরেকি সেই মাওলানা ভাসানির কথা মনে পরেকি সেই একে ফজলুল হকের কথা যারা বাংলার বাঘ আমাদের অনুপ্রেরণা।
আওয়ামীলীগ গত আমলে যে কিভাবে ক্ষমতায় এসেছিলো তা তারা ভালভাবেই জানার কথা। একজন শিশুও বুঝবো বিএনপি তখন এমন অবস্থায় যায়নি যে ৩০ টা সিট পাবে...! কিন্তু তারপরো দেশে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সেই ফল বিএনপি মেনে নিয়েছিলো, আর তখন কি হয়েছিলো তা সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনির লেখায় স্পষ্ট ফুটে উঠেছে যদিও তার আগে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি মনে করিয়ে দিয়েছিলো তা আমাদের ও সম্মানিত হাসিনা দলকে।
একটা কথা, তখন যদি খালেদাজিয়া আওয়ামীলীগ এর দেওয়া দুটি শর্ত না মেনে পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমাতো তবে আওয়ামীলীগ কি করতে পারতো, আর যদি করতো তবেকি দেশের অবস্থা এর চেয়ে ভাল হতো.....!
...........না
যাক তখন খালেদার শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছিলো রাষ্ট্রপতির হাতে ক্ষমতা দিয়ে পদত্যাগ করেছিলো। চিন্তা করেন নি তার ফেমেলি আর দল এর কথা।
আসলে সে স্বপ্নেও ভাবেনি তার অনুগত সেনাপ্রধান তার পরিবারকে এভাবে দ্বংশ করে দিবে আর পরিবারের নামে মামলার পাহাড় গড়ে দিবে।
কিন্তু বাস্তবতা তাই হলো.....!
কিন্তু সেতো সে সময় এতো গুলা সেনা অফিসার মারেনি কিন্তু তার পরো কেন এমন করেছিলো.......!
আর সেখ হাসিনাতো তাদের ভাইকে মারছে তবে তার কি হতে পারে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ভেবে দেখবেন কি। তা ছারা আরো অনেক কারন আছে যার কারনে সেনারা আপনার উপর ক্ষেপতে পারে। এছাড়াও বিদ্রোহের সময় যারা বিডিয়ারে চাকুরী করতো বিনা দোসে আপনি তাদের কি করেছেন তাতো আপনি ভাল জানার কথা.....জিজ্ঞাসার নামে কাউকে মেরে অকার্যকর করে দিছেন আবার কারো হাতের নখ তুলছিলেন প্লাস দিয়ে আবার কারো নখে ডুকয়েছেন সুই আবার কেউ এখোন বিনাদোষ এ জেলে পরে আছে।
তারা কি আপনায় কিছুই বলবেনা এটা অসম্ভব, সময় সবসময় সবার কথা বলেনা।
৯৬তে এই এসএসসি পরিক্ষা আপনাদের জন্য তিন মাস পিছিয়ে ছিলো মনে আছেতো সে কথা, তাই বলে এখোন পিছাবে আমরা তা চাইনা কিন্তু আপনারা কি সার্থে এখনো আলোচনা করছেন না, কি সার্থে বিএনপি কে নিয়ে বসছেন না।
বের করছেন না সমাধান.....!
.....তখনতো বিএনপি ঠিকি আপনাদের ডেকেছিল তবে আপনাদের সমস্যা কোথায় যদিনা আপনারা দেশের সার্থে রাজনীতি করেন।
দেশের ব্যবসায়ীক অবস্থা যে কি সেটা আর বলার ভাষা রাখেনা, মানুষ রাস্তায় নামতেই আঁতকে উঠছে এই বুঝি পেট্রল বোমা আঘাত হানলো, প্রতিদিনি কোন না কোন ঘাড়ি ভাঙ্গা হচ্ছে যা কিনা দেশেকে প্রত্যক ভাবেই দারিদ্র করে দিচ্ছে, কর্মহীন হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
তবে কার সার্থে আপনারা আলোচনার টেবিলে আসছেন না.......!
.....বিএনপি কে ধন্যবাদ হাজার কিছুর পরো তারা আলোচনায় বিশ্বাসী।
স্বাধীনতার এতো বছর পরো আমাদের লজ্জ্বা ছারা আর কি আছে, এতো দিন চলে গেলেও আমরা একটা স্থায়ী নির্বাচন পদ্ধতি স্থায়ী করতে পারিনি, প্রতি ৫ বছর পর পর আমরা সাহায্য নেই হরতাল,অবরোধ,আর জ্বালাও পোড়াও এ
কিন্তু কেন......!
আর কবেই আমরা সেটা বন্ধ করতে পারবো।
......সারা বিশ্বো যখন উন্নয়ের জন্য দৌরাচ্ছে আর আমরা তখন হরতাল নিয়ে দৌরাচ্ছি, দৌরাচ্ছি পেট্রোল বোমা নিয়ে। আমরা কি এ সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে পারবোনা আমারাকি আমাদের মানসিকতার উন্নয়ন করবোনা। আমরাকি নিজের সার্থ থেকে দেশের সার্থ কে বড় করে দেখতে শিখবোনা।
আজ পর্যন্ত কোন শাসকি আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, তবে আপনারাও পারবেন কি..??
আপনারা আজ যে কাজগুলা করছেন এগুলাকি কোন একদিন আপনাদের জন্য কাল হবেনা। যেই আইন গুলা করছেন বিএনপি কে মারতে সেই আইনগুলাকি একদিন আপনাদের বাদবেনা। যে পদ্ধতি গুলা আপনারা প্রয়োগ করছেন আন্দোলন দমাতে সে গুলাকি একদিন আপনাদের উপর প্রয়োগ হতে পারেনা।
কেন কেন.....!
সেই আপনারাইতো থাকবেন গুরেফিরে...!!
শুদু কেন জনগনকে ভোগাচ্ছান।