হুমায়ুন আজাদ। আমাদের কালের একজন সাহসী মানুষ। গত নির্বাচনের সময় তিনি দুই নেত্রী সম্পর্কে একটি কথা বলেছিলেন যেটি আমার মনে দাগ কেটেছিলো।
[গাঢ়]
আমাদের দুই নেত্রীর ঝগড়াটা হচ্ছে শহরের কলতলার নারীদের মতো, কখনো ঘৃন্য, কখনো উপভোগ্য।
[/গাঢ়]
আজ তাঁরই একটা কবিতা বার বার মনে পড়ছে . . .
---------------------------------------
না, তোমাকে মনে পড়েনি
---------------------------------------
সাত শতাব্দীর মতো দীর্ঘ সাত দিন পর নি:শব্দে এসে তুমি
জানতে চাও; আমাকে কি একবারও মনে পড়েছে তোমার?
- না; শুধু রক্তে কিছু মুমূর্ষা ও গোঙানি দেখা দিয়েছিলো
রোববার ভোর থেকে; ট্রাকের চাকার তলে খিন্ন প্রজাপতির মতোন রিকশা
আর শিশুটিকে দেখেও কষ্ট পাইনি , বুঝতে পারিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ়
আঙুলে আবার কখন উঠেছে সিগ্রেট চারটি ইন্দ্রিয় সম্পূর্ণ বিকল
হ'য়ে খুব তীক্ষন হ'য়ে উঠেছিলো শ্রুতি- পৃথিবীর সমস্ত পায়ের শব্দের
বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য বুঝেছি, শুধু একজোড়া স্যান্ডালের ঠুমরি শুনিনি।
বুঝেছি যা কিছু লিখেছে পাঁচ হাজার বছর ধ'রে মানুষ ও তাদের
দেবতারা- সবই অপাঠ্য, অন্ত:সারশূন্য, ভারি বস্তাপচা। আর অই
শ্রীরবীন্দ্রনাথকে মনে হয়েছে নিতান্তই গদ্যলেখক, শোচনীয় গৌণ এক কবি।
জীবন, বিজ্ঞান, কলা, রাজনীতি- সমস্ত কিছুকে মনে হয়েছে সে-অভিধানে
সংকলিত শব্দপুঞ্জ, যাতে প্রত্যেক শব্দের অর্থ- শূন্যতা, নিরর্থ প্রলাপ'।
- না, সাত শতাব্দী ধ'রে তোমাকে একবারও মনে পড়েনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




