কথা বলছিলাম কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে। দুপুরের খাবারের সময়। একসঙ্গে অনেক লোক খেতে আসায় প্রায়ই মনের মতো বসার জায়গা পাওয়া যায় না। তবে আজ মোটামুটি পছন্দের একটা জায়গা পেয়ে গেলাম তিনজন একসঙ্গে বসে খাওয়ার। বিশাল ক্যাফেটেরিয়ার এক কোণে আরো দুই সহকর্মীর সঙ্গে বসে পড়লাম আমরা তিনজন দিনের অপছন্দের একটা কাজ সারতে, যার নাম ‘লাঞ্চ’।
খাওয়ার সময় টুকটুক কথা তো সবসময়ই হয়। আজকেও হচ্ছিলো। হালকা আলাপে ঘুরেফিরে চলে এলো তনু হত্যার কথা। তার সঙ্গে উঠলো টাঙ্গাইলে পাবলিক বাসে কুখ্যাত ‘ভারতীয় স্টাইলে’ দলগত ধর্ষণ আর লক্ষ্মীপুরে দু’বোনকে দলগত ধর্ষণের কথা। দলগত ধর্ষণ বলার কারণ হলো, আমি বরাবরই ‘গণধর্ষণ’ শব্দটির বিরোধী। আমার সবসময়ই মনে হয় ‘গণ’ শব্দটি ‘সার্বজনীন’ এবং ‘ভালো’ অর্থের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ‘ধর্ষণ’-এর মতো একটা বিভৎস টার্মের সঙ্গে ‘গণ’ জিনিসটা যায় না।
আমি সাধারণত এসব নিয়ে আলোচনা তো দূর, খবরগুলো পারতপক্ষে পড়িও না, টিভিতে দেখিও না। কারণ একটাই, এই নির্মম বাস্তবতাকে বাস্তব হিসেবে মেনে নেয়ার মতো, কীভাবে কী হলো সেসব জানার মতো মানসিক স্থিরতা এখনো আমার অতটা হয়নি। আমি ভাবতে চাই এসব মানুষে করতে পারে না, এসব সত্যি হতে পারে না। কিন্তু বাস্তবতা আমাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ধর্ষণ আর হত্যা চালিয়ে যেতে থাকে। ভুলবশত বা বাধ্য হয়ে কখনো এসব সংবাদ টিভিতে দেখলে বা পত্রিকা-অনলাইনে পড়লে আমার আর রাতে ঘুম আসতে চায় না।
যা বলছিলাম, প্রথমে কথার ফাঁকে হালকা পাতলা আলাপ দিয়ে শুরু হলেও ধর্ষণ আর মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা ওঠার পর আমাদের পাঁচজনের মাথাই কেমন যেন গরম হয়ে গেলো। আস্তে আস্তে কীভাবে যেন আজকের হালকা আলাপ আর ‘হালকা’ রইলো না। ‘ভারী’ হয়ে গেলো। যে আমি ছোটখাটো সংবাদকর্মী হয়েও এসব বিষয় নিয়ে সবরকম আলোচনা এড়িয়ে চলি, সেই আমিও ঢুকে পড়লাম সহকর্মীদের সঙ্গে ‘ভারী’ আলাপে। অন্যান্য দিন ক্যাফেটেরিয়ায় বাকি সবার হাউকাউয়ের মাঝে আমাদের ক’জনার কথাবার্তা আমরা নিজেরাই শুনতে পাই না। অথচ আজকে সবার কথা ছাপিয়ে আমাদের গলাই যেন তুঙ্গে উঠলো...
কেনো? কারণ আলোচক আমরা পাঁচজনই নারী। পাঁচজনই কোনো না কোনোভাবে পুরুষশাসিত সমাজের রাস্তাঘাটে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছি। হয় পাবলিক বাসে, রাস্তায়, মার্কেটে, নইলে অন্য কোথাও। কেউ কারো গুঁতো খেয়েছি, নইলে কারো ধাক্কা, অপ্রীতিকর ঘেন্নালাগা স্পর্শ সহ্য করেছি, অথবা দেখেছি নোংরা চাহনি, শুনেছি কান গরম করা অশ্লীল কথা। কারণ আমরা সবাই-ই মনের ভেতরে কোনো এক জায়গায় অনুভব করি ওই মেয়েগুলোর ভয়াবহ যন্ত্রণা। রাস্তাঘাটের এই অস্বস্তি আমাদের মানসিক যন্ত্রণা দেয়, রাতে ঘুমাতে দেয় না। আর ওই মেয়েগুলো? না জানি কতোটা নির্যাতন সয়েছে ওরা, শরীরের কী ভয়াবহ কষ্ট, কী অকল্পনীয় মানসিক আতঙ্ক...একজন তো মরেই গেলো; বাকিরা হাসপাতালে... নাহ্, ভাবতেও অসহ্য লাগছে।
তো, কথা হচ্ছিলো এসব নিয়ে। একেকজন নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি, কেনো এসব বাড়ছে, কী করা যায়, এসব নিয়ে কথা বলছিলাম। এক সহকর্মী বললেন, ‘বুঝলাম না, যখন একটা শুরু হয় তখন সবদিকে শুধু সেই ক্রাইমটাই ঘটতে থাকে। এর আগে ছিলো শিশু নির্যাতন - বাচ্চাগুলোকে ধরে ধরে অমানুষিক নির্যাতন করে মেরে ফেললো। একটা শুরু হলো, মেরেটেরে ভিডিও-ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলো। ব্যস, অন্যখানেও শুরু হলো। আর এখন শুরু হয়েছে ধর্ষণ। তনু নিয়ে হইচই থামতে না থামতেই লক্ষ্মীপুর আর টাঙ্গাইলে! টাঙ্গাইলেরটা তো আবার দিল্লির স্টাইলে বাসে! কী শুরু হয়েছে এসব? মেয়েরা কি মানুষ না? তাদের চাইলেই টর্চার করা যায়? রেপ করা যায়?! আমরাও তো মেয়ে। কাল যদি আমাদের কারো সঙ্গে এমন কিছু হয়?’
আরেকজনও সায় দিলেন তার কথায়। জানালেন অফিস শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে কতটা অস্বস্তি জাগে মনে সে কথা। আমরা সবাই আসলে সায় দিলাম প্রথম সহকর্মীর কথার সঙ্গে। সত্যিই তো। আজ যদি আমাদের কেউ রাস্তায় ধর্ষণের শিকারও হই, কেউ আমাদের বাঁচাতে আসবে না। আশপাশ দিয়ে ভদ্রলোকেরা যাওয়ার সময় উঁকি দিয়ে চলার গতিটা আরেকটু বাড়িয়ে দেবে - কী দরকার ঝামেলায় জড়ানোর? কেউ আবার নিরাপদ দূরত্বে থেকে হয়তো ঘটনাটা ভিডিও করে পরে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে সবার সামনে ‘সত্য’টা তুলে ধরবেন, ধর্ষিতা যেন উপযুক্ত ন্যায় পায় সেজন্য ‘আন্দোলন’ করবেন! ইশ...আপনারা কত মহান!
এই কথাগুলো একেকজনের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলেও কথাগুলো কিন্তু শুধু বক্তার নিজের নয়, এই কথাগুলো আমাদের পাঁচজনের মনেই ছিলো। শুধু আমরা পাঁচজন না; আমি জানি, প্রত্যেক নারীর মনেই এই চিন্তাগুলো উঁকি দিয়ে যায়। কিন্তু কেউ বলে না। আমরাও বলিনি। কিন্তু আজ কীভাবে কীভাবে যেন বেরিয়ে এলো। কাজের ফাঁকে দুপুরের খাবারের জন্য বরাদ্দ অল্প সময়টাতেই মন খুলে বলতে লাগলাম নিজেদের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা, কিছু অসহায়ত্ব, কিছু সাহসিকতা, কিছু কষ্টের, কিছু প্রতিবাদের কথা।
কথায় কথায় একজন বললেন পোশাকের কথা, ‘কিছু মানুষ তো আছেই যারা ধর্ষণের কথা শুনলে ধর্ষিতার পোশাকের শালীনতার চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেন।’ কথা সত্যি। কতজনই তো আছেন, ধর্ষণের শিকার নারীর জন্য সহানুভূতি-সমানুভূতি আর ধর্ষকের ঘৃণা - এগুলোর বালাই থাকে না তাদের মধ্যে। বরং মুখ ভেংচে বলেন, ‘তালি কি আর এক হাতে বাজে? নিশ্চয়ই মেয়ের কাপড়চোপড় ঠিক ছিলো না!’
এ কথাগুলো আলোচনায় আসতেই সবার মনটাই কেমন যেন তেতো হয়ে গেলো। এক কলিগ আপু বললেন, তনু তো হিজাব পরতো। তাহলে তাকে ধর্ষণ করার কারণ কী ছিলো? কত বোরকা পরা মেয়েকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়, রাস্তাঘাটে হয়রানি হতে হয়, তাদের কাপড়ে কী সমস্যা ছিলো?
আমি ক্ষেপে গিয়ে বললাম, ‘এদেরকে ধরে যে কী করতে মন চায়...! যদি পোশাকই সবকিছু হতো তবে পাঁচ/ছ’বছরের মেয়ে, এমনকি দু’তিন মাসের বাচ্চাগুলোর রেপ হয় কেনো? তারাও কি অশালীন পোশাক পরা ছিলো?! তাদের শরীরে আছেটাই বা কী???’
-- ‘সেটাই তো! তাছাড়া একজন মেয়ের পোশাক যা-ই হোক, সেটা তো কাউকে অধিকার দেয় না ওই মেয়েকে ধর্ষণ করার।’
-- ‘অধিকার পোশাক দেয় না। ধর্ষণের অধিকার দেয় বিকৃত রুচি। নইলে ছোট বাচ্চাগুলোর রেপ হবে কেনো?’
-- ‘আর যদি পোশাকই নষ্টের মূল হয়, ছেলেগুলা হাফপ্যান্ট পরে রাস্তাঘাটে ঘোরে। আমরা তো তাদের হ্যারাস করি না। এখন থেকে করি তাহলে!’ আমার আরেক সহকর্মীর গলায় বিরক্তি।
-- ‘রাস্তাঘাটে তারা উল্টাপাল্টা আচরণ করলে একজন মেয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে একটা ছেলেও তার সাথে এগিয়ে যায় না। বলে, থাক আপা, ছেড়ে দেন, যেতে দেন, বাদ দেন। অনেক ক্ষেত্রে আবার পেছনে বলে, মেয়েমানুষের আবার কতো চড়া গলা! এতোগুলো পুরুষ মানুষের সামনে কীভাবে কথা বলে! নিশ্চয়ই চরিত্রে সমস্যা আছে। অথচ দোষী পুরুষের কোনো দোষ নাই। দোষ প্রতিবাদকারী নারীর!’
এমনই আরো নানা আক্ষেপের কথা উঠে আসে আমাদের আকস্মিক আড্ডায়। এগুলো কিন্তু যে সে কথা না। এগুলো মেয়েগুলোর মন থেকে উঠে আসা কষ্ট, হতাশা, ক্ষোভ আর অসহায়ত্বের বহির্প্রকাশ, যা এতোদিন থেকে পেটের ভেতর পাক খাচ্ছিলো...আমারও।
শুধু যে আমরা পুরুষের আচরণের ওপর ক্ষুব্ধ তা নয়। হতাশ নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, এমনকি মাননীয় স্পিকার - সবাই নারী। তারপরও দেশে দিন দিন ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। কারণ একটাই: ধর্ষণের বিচার হয় না বললেই চলে। আর যা বিচার হয় তা যথেষ্ট নয়।
আমি রাজনীতি সম্পর্কে পুরোপুরি অজ্ঞ একজন সাধারণ মানুষ। সেজন্যই হয়তো মনে জমাট বাঁধা ক্ষোভ থেকে একটা প্রশ্ন উঠে আসে: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আল্লাহ না করুন, আজ যদি তনু, পরিবহন শ্রমিকের স্ত্রী বা ওই বাচ্চা দু’টো বোনের জায়গায় আপনার পুতুল বা আপনার টিউলিপ থাকতো, তখনও কি সেভাবেই তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া চলতো যেভাবে এখন চলছে? মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতা বা স্পিকার, আপনারা কী বলেন? আপনাদের পরিবারের কোনো সদস্যের যদি বাংলাদেশের হাজারো হতভাগ্য নারীর মতোই ধর্ষিত হতে হতো? পরিস্থিতি কি একই হতো? আমি, আমরা ক’জন সাধারণ মেয়ে হয়ে যদি সেই মানুষগুলোর কষ্ট বুকের ভেতর অনুভব করতে পারি, আপনারা পারেন না কেনো? ছোট ছোট বিষয় নিয়ে জনসভা আর সম্মেলনে আপনারা বক্তৃতার ঝড় তোলেন; কিন্তু ধর্ষণের ব্যাপারেই চুপ! কেনো???
আমাদের ঝড় তোলা আড্ডায় বেরিয়ে এলো ধর্ষকের বিচারে মনে পুষে রাখা সব কষ্ট। সিদ্ধান্ত এলো - বিচার ঠিকমতো না হলে ধর্ষণ থামবে না। আর এই নরপশুদের জন্য জেল তো দূর, মৃত্যুদণ্ডও যথেষ্ট নয়।
উপায় এখন একটাই। শুধু দ্রুত প্রমাণ যোগাড় করো ধর্ষকের বিরুদ্ধে। এরপর ধর্ষকের শাস্তি হবে লিঙ্গচ্ছেদ (ভাষা পছন্দ না হলে দুঃখিত, এর চেয়ে ভালো ভাষা আমি জানি না)। ‘কিন্তু শুধু লিঙ্গচ্ছেদ যথেষ্ট নয়,’ বললেন আরেক সহকর্মী, ‘কেটে দিলে তো বাইরে থেকে কেউ কিছু বুঝবে না। সে সবার মাঝে সাধারণ মানুষের মতোই বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবে।’
তাহলে উপায়? তখন সেই আপু বললেন সংশপ্তক-এর হুরমতি চরিত্রের কথা। হুরমতির মাথায় গরম পয়সার মোহর লাগিয়ে সবাইকে চেনানো হয়েছিলো হুরমতির চরিত্র খারাপ। সংশপ্তকের কাহিনীর প্রেক্ষাপটে কাজটি ভুল হলেও শাস্তির আইডিয়াটা কিন্তু খারাপ না। ধর্ষক, যার অপরাধের শাস্তি হিসেবে লিঙ্গ কেটে দেয়া হয়েছে, তার কপালে বা গালে স্পষ্টভাবে স্থায়ী ট্যাটু বানিয়ে লিখে দেয়া হবে ‘কাটা’। এতে একে তো তার ‘জিনিস’ না থাকলে সে আর কারও ক্ষতি করতে পারবে না, অন্যদিকে কপালে/গালে ‘কাটা’ ট্যাটু সবাইকে চিনিয়ে দেবে সে ধর্ষক। ওই ধর্ষক নিজেও বাকি জীবনটা প্রতি মুহূর্তে নিজের কুকর্ম মনে করে কাঁদবে। এটাই হবে তার উপযুক্ত কর্মফল।
আমি বরাবরই নিচু স্তরের লেখক। নিজেকে লেখক বলতেও লজ্জা লাগছে। সাহিত্যের অর্থে না, প্রায়োগিক অর্থে এখানে নিজেকে লেখক বলছি (যে লেখে=লেখক)। আমার আজকের এই লেখাটাও খুবই সামান্য। কিন্তু এটা লিখতে গিয়ে বারবার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। বুকের ভেতরটা ভারী ভারী ঠেকছে। কারণ আমিও একজন নারী। এই অসুস্থ সমাজে পথচলতি আর দশজন নারীর মতো আমাকেও কম অসুস্থতা সহ্য করতে হয়নি। সেই ছোটবেলা থেকে মানুষের নোংরা চাহনিতে পরিমাপ হয়ে এসেছি, মনের কাদায় মেখে থাকা তাদের দুর্গন্ধযুক্ত হাতের স্পর্শ সয়ে এসেছি যেখানে সেখানে।
কেনো? কারণ আমি নারী। বয়স যতোই হোক - পাঁচ কিংবা পঞ্চাশ - আমি নারী। আমাকে আমার অনুমতি ছাড়া ছোঁয়া যায়, আমাকে আঘাত করা যায়, আমাকে নিয়ে কটুক্তি করা যায়, চোখের এক্সরে দিয়ে আমার লম্বা ঢাকাঢুকা পোশাকের ভেতরটা ভালোভাবে দেখে নেয়া যায়। এর সবই বৈধ এই পুরুষতান্ত্রিক হীনম্মন্য সমাজে। শুধু এর প্রতিকার পাওয়াটাই অবৈধ, তাই না?
কিন্তু আর কয়দিন? যেদিন নারীরা একটার পর একটা অথর্ব সরকার আর ঝিমিয়ে পড়া ন্যায়বিচারের আশা ছেড়ে দিয়ে নিজেরাই আত্মরক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেয়া শুরু করবে, তখন যেন আবার বলবেন না ‘মাইয়্যা মাইনষের এইসব করতে নাই। তাগোর হাতে গয়না থাকবো, সংসারের হাল থাকবো, হাতিয়ার ক্যান?’ ভুলে যাবেন না, যে দুর্গা, সেই কিন্তু কালী। আর দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া একটি জাতির মতো ভয়াবহ বোধ করি আর কেউ হয় না। কারণ সেই জাতির তখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ খোলা থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭