somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Mission : 50 Hours (Part

২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ১১:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেইন অবজেক্টিভ ঃ বান্দরবান।
সেকেন্ডারী অবজেক্টিভ ঃ ঠিক নাই, যা ইচ্ছা তাই।
মিশন ডিউরেশন ঃ 50 ঘন্টা

মিশনের শুরুতে ভাবিনি যে মিশনটা এতো রোমাঞ্চোকর এত আকর্ষনীয় হবে। তাছাড়া এতো কম সময়ে মেইন অবজেক্টিভ এচিভ সহ তাৎক্ষনিত ভাবে গৃহীত সেকেন্ডারী অবজেক্টিভগুলো অর্জন করতে পারবো। আমাদের মিশন শুরু হয় 14/12/2006ইং বৃহষ্পতিবার দুপুর 1:00 থেকে আর যেখানেই থাকিনা কেন 16/12/2006ইং শনিবার বিকাল 3:00টার মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বাসে উঠতে হবে। মোট 50 ঘন্টা টাইম লিমিট।

আমাদের ফিফটি আওয়ার্স মিশনের সম্পূর্ন টাইম চার্ট তুলে ধরলাম আপনাদের কাছে ঃ-

[গাঢ়] তারিখ ঃ 14/12/2006ইং বৃহষ্পতিবার [/গাঢ়]

12:50 পি.এম. ঃ এখনো অফিসে, বিদায় পর্ব চলছে।
01:00 পি.এম. ঃ রাস্তায় দৌড়াচ্ছি ... ফকিরাপুল হানিফ বাস কাউন্টারে যেতে হবে 10 মিনিটের মধ্যে।
01:15 পি.এম. ঃ বাস কাউন্টারে রিপের্াট করলাম, মিনি বাসের কোন খবর নাই!
01:40 পি.এম. ঃ অনেকক্ষন অপেক্ষার পর বাস আসলো
02:20 পি.এম. ঃ সায়দাবাদ এ হানিফ বাস কাউন্টারে আসলাম, চট্টগ্রাম গামী বাসে উঠে পড়লাম।
04:35 পি.এম. ঃ চৌদ্দগ্রামে বাস থামলো হোটেল গ্রীন ভিউ তে, খাওয়া-দাওয়া করলাম।
07:30 পি.এম. ঃ চট্টগ্রাম শহরে পৌছালাম।
08:00 পি.এম. ঃ রিয়াজউদ্দিন বাজারে একটা হোটেলে ঠিক করলাম, ভাত খেলাম নিউমার্কেটের জামান হোটেলে।
10:00 পি.এম. ঃ আশেপাশে হালকা ঘোরাঘুরি করে হেটেলে ফিরলাম।

[গাঢ়] তারিখ ঃ 15/12/2006ইং শুক্রবার [/গাঢ়]
05:00 এ.এম. ঃ ঘুম থেকে উঠে সারাদিনের প্ল্যান করলাম, শক্ত একটা নিয়ত করা হলো সকালের নাস্তা করবো বান্দরবন যেয়ে !
06:15 এ.এম. ঃ ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে হোটেল থেকে বের হলাম, বান্দরবান যাওয়ার বাস স্টান্ড যেতে হবে।
07:00 এ.এম. ঃ বাস টার্মিনাল থেকে বান্দরবান যাওয়ার বাসে উঠলাম।
09:00 এ.এম. ঃ [গাঢ়] বান্দরবান [/গাঢ়] হাজির।
09:15 এ.এম. ঃ স্থানীয় একটা হোটেলে নাস্তা করলাম।
10:00 এ.এম. ঃ সারা দিনের জন্য একটা বেবী ট্যাঙ্ িঠিক করলাম, উদ্দেশ্য চিম্বুক।
10:30 এ.এম. ঃ [গাঢ়] শৈল প্রপাত [/গাঢ়] আসলাম।
11:55 এ.এম. ঃ [গাঢ়] চিম্বুক [/গাঢ়] কে পৌছালাম। বান্দরবান থেকে প্রায় 30 কিমি দুরে চিম্বুক পাহাড়।
12:20 পি.এম. ঃ চিম্বুক থেকে আরো প্রায় 3/4 কিমি দূরে থানচি [গাঢ়] জিয়া পুকুর [/গাঢ়] নামক একটা স্পটে গেলাম। এই স্পটে মনে হয় কেউ আসেনা। খুবই ভালো লেগেছে। এটা নিয়ে আলাদা ব্লগ লিখার ইচ্ছা আছে।
01:10 পি.এম. ঃ [গাঢ়] নীলাচল [/গাঢ়] নামে নতুন একটা স্পট হচ্ছে, এখনো কাচা রাস্তা, পাহাড় কেটে রাস্তা বানানো হচ্ছে, ধুলা-মাটিতে মাখামাখি করে সেখানে পৌছালাম। পায়ে হেটে অনেক উপরে উঠতে হল।
02:00 পি.এম. ঃ [গাঢ়] মিলন ছড়ি [/গাঢ়] আসলাম। খুবই সাজানো গোছানো স্পট। প্রচুর ফরেনার আছে এখানে। গেষ্ট হাউজ, হোটেল সবই আছে। আলিশান কারবার।
02:50 পি.এম. ঃ এখন আমরা [গাঢ়] মেঘলা পর্যটন কমপ্লেঙ্ [/গাঢ়]। পিকনিক হচ্ছে শত শত মানুষ মাথা খারাপ অবস্থা। ঝুলন্ত সেতু দিয়ে লেকের অন্য পাড়ে গেলাম, খুব ছোট একটা চিড়িয়াখানা, সর্বপ্রথন বানরের দেখা পেলাম।
03:15 পি.এম. ঃ বান্দরবান বেড়ানো শেষ, বাসস্টান্ডে এসে দুপুরের খাবার খেলাম।
মেইন অবজেক্টিভ কমপ্লিটেড।

[গাঢ়] মেইন অবজেক্টিভ কমপ্লিটেড। [/গাঢ়]
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
২২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন নারী শিক্ষিকা কীভাবে কন্যা শিশুর সবচেয়ে অসহায় মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করতে পারেন?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৩


বাংলাদেশে মাঝে মাঝে এমন সব মানুষ রূপী শয়তানের সন্ধান মেলে যাদের দেখে আসল শয়তানেরও নিজের উপর হতাশ হওয়ার কথা। এমন সব প্রজাতির মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করেন যাদের মস্তিষ্ক খুলে দেখার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×