আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো কোনো যন্ত্রের এমন কাজ করার ক্ষমতা যা একজন সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধিবৃত্তিক উতকর্ষতা দিয়ে করা সম্ভব। সহজ কথায়, একজন মানুষ যা করতে পারে, কোনো যন্ত্র যদি তা করতে সক্ষম হয়; তবেই আমরা ঐ যন্ত্রকে আর্টিফিশিয়ালী ইন্টেলিজেন্ট বলবো।
মেশিন লার্নিং হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্জন করার একটি মাধ্যম। আর্থার স্যামুয়েল মেশিন লার্নিং এর ডেফিনিশন দিয়েছেন এইভাবে, “ the ability to learn without being explicitly programmed.” অর্থাত মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া শুধুমাত্র ডেটা থেকে কোনো একটা যন্ত্রের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ শিখে ফেলার ক্ষমতাকে মেশিন লার্নিং বলা হচ্ছে। সাধারণত একটা এআই তৈরি করতে এমনকি মিলিয়ন লাইনের পর্যন্ত কোড লিখতে হয়। পর্যাপ্ত পরিমানের ডেটা আর মেশিন লার্নিং টেকনিক এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়।
ডিপ লার্নিং হলো মেশিন লার্নিং এর একটি সাবসেট। ডিপ লার্নিং এ মানুষের ব্রেইনের শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়াকে অনুকরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। ডিপ লার্নিং এ অনেকগুলো ডিসক্রিট লেয়ার একটার উপড় আরেকটা স্ট্যাক করা থাকে। প্রত্যেকটা লেয়ারে অনেকগুলো নোড থাকে যেগুলো ব্রেইনের নিউরন থেকে ইন্সপায়ারড। একটা লেয়ারের প্রত্যেকটা নোড এর পরের লেয়ারের প্রত্যেকটা নোডের সাথে কানেক্টেড থাকে। প্রত্যেকটা লেয়ার প্রদেয় ইনপুটের জন্য যেকোনো একটি জেনেরিক ফিচার শিখে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬