somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বশিরকে জামায়াত শিবির বানানোর চেষ্টা শুরু-28 Jun, 2014

২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচনের দিন শামীম ওসমানের হুমকির শিকার এএসপি বশির উদ্দিনের বিরুদ্ধেই তদন্তে নেমেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এএসবি)। বশির ও তার পরিবারের কারো সঙ্গে জামায়াত-শিবির কিংবা বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে এসবি।

তবে বশির দাবি করেছেন, তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন এবং তার পরিবারের প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে উপনির্বাচন চলাকালীন বশির উদ্দিন নামে পুলিশের ওই এএসপি ভোট জালিয়াতি করতে না দেয়ায় তাকে হুমকি দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ক্ষমতাসীন দলের এমপি শামীম ওসমান। এতে করে নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাবোধ করছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

শামীম ওসমান যে কোনোভাবে তার ওপর প্রতিশোধ নিতে পারেন এমন আশঙ্কা করছেন তিনি। এজন্য নিয়মিত দায়িত্ব পালন নিয়েও শঙ্কায় আছেন তিনি।

জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি জানলেও অদৃশ্য কারণে তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। তারা শামীম ওসমানের এমন দুর্ব্যবহারে এখনো পর্যন্ত কোনো নেননি। আদৌ নেয়া হবে কিনা সে ব্যাপারেও কেউ কিছু বলছেন না।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এ ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।

এএসপি বশির বলেন, পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) তার বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপির সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।

তবে বশির দাবি করেছেন, তিনি একজন ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। তার পরিবারের অনেক সদস্যই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।

গতরাতে (শুক্রবার) এএসপি বশির আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এখন ঢাকায়। আগামীকাল (শনিবার) নারায়ণগঞ্জ যাবো। আমার আশঙ্কা হচ্ছে, শামীম ওসমানের লোকজন আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালাতে পারে অথবা কোনো ফাঁদে ফেলতে পারে।’

গত ২৬ জুন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় মোবাইল ফোনে এএসপি বশিরকে হুমকি দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। এসময় তিনি বশিরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।

বশির বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিনকে ৪/৫ বার আপডেট জানিয়েছি। তিনিই আমাকে ওই চেয়ারম্যানকে (আব্দুস সালাম) গ্রেপ্তার করতে বলেছেন।’

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি অন্যায় কোনো কাজ করিনি। আমি যা করেছি আইন মোতাবেক করেছি। আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এসপি নিশ্চয়ই আমার পক্ষেই থাকবেন।’

বশির বলেন, ‘শামীম ওসমান এখন আমাকে জামায়ত-শিবির ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করছেন। যাতে করে তিনি বলতে পারেন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতেই আমি এই কাজ করেছি।’

২৬ জুন হুমকির অভিযোগের পর শামীম ওসমান এএসপিকে মোবাইলে কথা বলার বিষয়টি স্বীকার করেন। এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই পুলিশ কর্মকর্তা (বশির) বিরুদ্ধে স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান অনৈতিক কাজের অভিযোগ করেছেন। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।’

এ সময় শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘আমি তাকে (বশির) ফোন করে শুধু জিজ্ঞেস করেছি তিনি কোনো ভুল করেছেন কিনা। আমি তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়েছি। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়ে গেছে।’

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে শামীম ওসমানকে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে এএসপি বশির বলেন, ‘পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তারা আমার পরিবারের রাজনৈতিক পটভূমি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন। তবে এটা সত্য যে তারা সন্দেহমূলক কোনো তথ্য খুঁজে পাবেন না।’

এএসপি বশির বলেন, ‘২০০৪-০৬ মেয়াদে আমি খুলনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে আমি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলীয় পরিষদের সদস্য। আমাদের পরিবারের এমন কোনো সদস্য নেই যিনি আওয়ামী লীগ কিংবা এর কোনো অঙ্গ সংগঠনের পদে নেই। প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো পদ আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিবাদের বিষয়টিতে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু শামীম ওসমান যা বলেছিলেন পুলিশের পোশাক পরে আমি তা করতে পারিনি। প্রশাসনের লোক হয়ে জাল ভোট প্রদানের জন্য আমি একটি কেন্দ্র খুলে দিতে পারি না। আমি শামীম ভাইকে বলেছিলাম- আপনি যা করছেন এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হবে। আমি আমার বিবেকবোধ থেকেই এটা করেছি।’

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ বলেন, ‘কমিটির এ ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা চাইলে আইন অনুযায়ী মামলা করতে পারেন।’

রিটানিং অফিসার মিহির সরওয়ার মোরশেদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান যে মোবাইলে পুলিশের এএসপি বশির হুমকি দিয়েছেন, বিষয়টি এখনো ইসিকে জানানো হয়নি।’

উৎসঃ ঢাকা ট্রিবিউন


০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×