কাকলি নামের লম্বা ৫ ফুট ফর্সা গায়ের রঙ্গের মেয়েটি ছোট বেলা থেকেই পড়াশুনায় অনেক ভালো। পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি এবং ক্লাস এইটেও বৃত্তি পায়। প্রথম সন্তান হওয়ায় বাবা মা’ও অনেক আশাবাদি তার উপর। তাই বাবা মা’র সিদ্ধান্ত তাকে অনেক পড়াশুনা করাবে, প্রয়োজনে বাবা তার গায়ের চামড়া বৃক্রি করবে, মা শরীরের রক্ত!
শুধু পড়াশুনা আর ভালো লাগছিল না কাকলির। বয়োসন্ধিকালে অন্যান্য মেয়েদের যেমন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি প্রবল আকর্ষন সে লক্ষ্য করে ইদানিং তারও মনে এমন বাসনা জাগে। একজন ভালোবাসার মানুষকে জায়গা করে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাকলি। তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী কাকলি, একজনের প্রেমে পড়ে। ছেলেট অনেক আগে থেকেই তাকে ফ্লাট করে আসছিল। দেখতে শুনতে ভালো, রাজি হয়ে যায় কাকলি।
আগের থেকে দিনগুলো তার এখন অনেক ভালো কাটছে। প্রাইভেটে পড়ার ফাকে একবার জিকুর বাইকে চড়ে কিছুটা ঘুরে ফুচকা কফি না খেলে তার বাসায় এসে কোন কিছু ভালো লাগে না। এদিকে পরীক্ষা গুলো ততটা ভালো হয় না কাকলির। পরীক্ষার ফলাফল আশার থেকে একটু খারাপ হওয়ায় বাবা-মা অখুশি। তবুও তাকে পরবর্তী পরীক্ষায় অর্থাৎ কলেজে ভালো কিছু করার কথা মনে করিয়ে দেয় তার বাবা-মা। মেয়ে এবার অনেক সিরিয়াস। বয়ফ্রেন্ডকে একটু ইগনোর করা শুরু করে দিলো কাকলি। বয়ফ্রেন্ড জিকু রেগে গিয়ে বন্ধুদের সাথে কাকলির নামে কুৎসা রটানো শুরু করে। পাড়াপড়শির লোকজনও শুনে ফেলে কাকলির পরীক্ষায় এ প্লাস না পাওয়ার কারন ছেলেদের বাইকের পিছনে ঘোরাফেরা করা।
কলেজে সায়েন্সে ভর্তি হয়েছে কাকলি। কথায় কথায় খোটা শুনতে হয় তার। অতীতে একটি ছেলেকে ভালোবাসার কারনে আজকে ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারে নাই, এমন বকা তাকে প্রায়শই শুনতে হয় মা’র কাছ থেকে।
ইদানিং কাকলি তার নিজের বাবা-মা’র কাছ থেকে মানসিকভারে অসহ্য যন্ত্রনার শিকার হচ্ছিল। (চলমান)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২