বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অবস্থা কি ২০০৭/০৮ সালের মতো, এখনো কি সে সময়ে পড়ে আছে দল, যদি উত্তর না হয়, তাহলে বর্তমান টি২০ দলে কেনো ইমরুল কায়েস?। ২০০৭/০৮ সালেও তো ছিলো আফতাব, আশরাফুল, নাজিমুদ্দিন, জুনায়েদদের মতো টি২০ এ দূর্দান্ত ব্যাটসম্যান, তাহলে ২০১৮ সালে এসেও কেনো টি২০ এ চরম ব্যর্থ ইমরুল কায়েস। তাহলে কি টেস্ট ও ওয়ানডেতে কিছু সাফল্য বিবেচনাতেই টি২০ দলে কায়েসকে রাখা হয়েছে? সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে কিংবা ওয়ানডেতেও বেশ বিবর্ণ কায়েস। ফলে কোন ভাবেই টি২০ দলে কায়েসের অন্তর্ভূক্তির কোন যুক্তি নেই, যে অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে, কায়েস কি টি২০ দলে অভিজ্ঞ?
চলুক দেখা যাক আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে কায়েসের অর্জন-
এ পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচ খেলে ১৩ ইনিংসে টপ অর্ডারে ব্যাট করে ৩৬ রান বেস্টে ১১৯ রান করেছেন তিনি। ৪ বার শুণ্য রানে আউট হয়েছেন। এভারেজ ৯.১৫। স্ট্রাইক রেট ৮৮.৮০, যা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। একটি দলে কতটা ক্রিকেটার সংকট দেখা দিলে টি২০ দলে এমন ব্যর্থ ক্রিকেটারকে নিতে হয়? এর থেকেই কি প্রমাণ হয় না, কায়েস টি২০ এ অভিজ্ঞ নয়, দলের বোঝা। তাহলে কোন যুক্তিতে বিসিবি কায়েসকে অভিজ্ঞ বললো?
জাতীয় দলের পাইপলাইনে অনেক টি২০ স্পেশালিষ্ট ক্রিকেটার আছে, তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, ২/১ ম্যাচের ব্যর্থতাতেই ছুড়ে ফেলা হচ্ছে। সর্বশেষ সিরিজের জাকির হাসানও ছিলো সম্ভাবনাময়ী, কিন্তু তাকে মাত্র ১ ম্যাচ খেলিয়েই বাদ দেওয়া হয়েছে। কায়েস থেকে জাকির কি ভালো অপশন ছিলো না টি২০ এর জন্য।
এছাড়াও মোমিনুলকে টেস্ট স্পেশালিষ্ট বানিয়ে রাখা হলে, কায়েস কেনো টি২০ দলে? সেও কি টেস্ট ক্রিকেটার নয়?। তুলনামূলক টি২০ ক্রিকেটে কায়েসের চেয়ে মোমিনুল বেশ ভালো ক্রিকেটার। আছেন এনামুল হক বিজয়ও। টি২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি এভারেজ বিজয়ের। স্ট্রাইক রেট ১১৭ও বেশ কয়েজন দেশ সেরা ক্রিকেটারের থেকে ভালো। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ফর্মেও আছে বিজয়, কেনইবা তাকেও বিবেচনায় আনা হলো না, এসব প্রশ্নের কোন উত্তর নেই?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৯