ইটালীর টারান্তো শহরে Religion Today Film Festival এ প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হয়েছে 'ঘেঁটুপুত্র কমলা' ছবিটি।
খবরের লিংক
বাংলাদেশের মানুষের Religion সম্পর্কে বিশ্ববাসী যাতে একটা পরিষ্কার ধারণা পেতে পারে - তাই এই ছবিটিকেই সেখানে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আসুন একটু ধারণা নেই বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় আচার আচরণ সম্পর্কেঃ
১ - সিনেমাতে তিনজন (মিষ্টির কারিগর, ডান্স মাস্টার আর গানের দলের একজন) ছাড়া সবকয়টি চরিত্র ছিল মুসলিম। তারমানে বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ ইসলাম দ্বারা প্রভাবিত।
২ - এইসব মুসলিমদের মধ্যে যাদের পয়সাপাতি আছে, তারা নিজেদের বিকৃত যৌন চাহিদা (সিনেমার ভাষায় আনন্দ-ফুরতি) পূরণের জন্য গরীব কিশোর বয়েসী ছেলেদের বলৎকার করে - এর বিনিময়ে ঐ ছেলের পরিবারকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে।
৩ - যাদের পর্যাপ্ত পয়সাপাতি নেই, সেইসব মুসলিমরাও মনে মনে একটা ঘেঁটু পোলা পোষার ফ্যান্টাসিতে ভোগে।
৪ - এই কাজে ইসলামের পূর্ণ সমর্থন আছে। কারণ বিকৃত রুচির ঐ ক্ষমতাশালী ব্যক্তির কিশোরী কন্যাকে পড়ায় যে মৌলানা, তাকে কখনও আকার-ইঙ্গিতেও এর বিরুদ্ধাচারন করতে দেখা যায়নি। বরং কখনও কখনও অযাচিতভাবে উনি দোষ চাপিয়েছেন ঐ কিশোরকে, যে কিনা পরিস্থিতির শিকার।
৫ - এই কাজের জন্য অন্য কোন চরিত্রকেও দেখা গেলনা ঐ প্রভাবশালী ব্যক্তির কোন সমালোচনা করতে। অর্থাৎ এ ধরণের বিকৃত যৌন চর্চা আমাদের দেশে সামাজিকভাবে স্বীকৃত।
৫ - এই দেশের মুসলিম নারীরা এত নীচুমনা, যে হিংসার বশবর্তী হয়ে হেন কাজ নেই যা তারা করতে পারেনা। কোন কোন মুসলিম নারী, যে কিনা জামায়াতে নামায পড়ে, সামান্য সোনার বালার লোভে একটা নির্দোষ কিশোরকে হত্যা করতে একটুও বুক কাপেনা।
এই ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে Exploring the Differences ক্যাটাগরিতে। আপনারাই বলুন দেখি - এই সিনামা দেখে দর্শকেরা অন্য ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মের কি কি Differences Explor করতে পারবে?