আমি যেই সময়ে প্রথম আন্ডারওয়্যার কিনলাম সেই সময়েই রাইসু কবিতা লেখা শুরু করলো, বড়ই আশ্চর্য লাগে বিষয়টা, আমার আন্ডারওয়্যারের সাথে রাইসুর কবিতার এই সমানুপাতিক সম্পর্ক আবিস্কার করে নিজেকে কলম্বাস মনে হয়, মনে বিশ্বের ইতিহাসে নতুন একটা বিপ্লব ৎে যাবে এই আবিস্কারে আমার। অবশ্য সামান্য সংশয় এখনও মনে, আমি যদি আন্ডারওয়্যার কেনা ছেড়ে দেই তাহলে কি রাইসু কবিতা লেখা ছেড়ে দিবে? না গুরু, হে আল্লাহ, হে ভগবান এমন যেনো না হয়, পড়ি কিংবা না পড়ি আমি আন্ডারওয়্যার কিনে যাবোই যাবো সেই গানের মতোই শপথ নিলাম, "হয়তো কখনও নাহি পড়বো তবুও আমি আন্ডি কিনে যাবো- হয়তো কখনও নাহি পড়বো"
যারা হয়রান গফুরের মতো আবিস্কার করার নেশায় মত্ত তাদের অবগতির জন্য জানাই- হয়তো কিছুই নাহি পাবো দুর থেকে ভালো বেসে যাবো গানের গুঞ্জরন ভেতরে আমার, এর ভেতরে আবার পায়ুকামী কিছু আবিস্কার করে ফেললে বিপদ। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম স্বঘোষিত দিকপাল রাইসুর সম্মানে আমি অব্যাবহৃত আন্ডারওয়্যারের স্তুপ বানাবো বাসায়।
***************
যন্ত্রের বিরক্তি নেই-বিকার নেই- পছন্দ অপছন্দ নেই- যন্ত্র সম্ভোগ তাই দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে- একটা কৌতুক পড়েছিলাম কোথাও, ইন্টারনেটেও হতে পারে, ব্যাস্ত অফিস, এক কলিগ অন্য কলিগের দিকে তাকিয়ে বেশ উৎফুল্ল স্বরে বললো "শালার সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে, এইবার আমাকে ঠেকায় কে"
সহকর্মির উচ্ছাস দেখে অশোভন কৌতুহল জাগে মনে, কিউবিকলে এসে শুধায়, কি হলো, এমন ষাঁড়ের মতো চিৎকার করার কি হয়েছে।
সহকর্মি পাশে রাখা পুতুল দেখিয়ে বললো এত দিনে মনের মতো একটা সেক্রেটারি পেয়েছি, এই রোবট সব করতে পারে, সময় মতো বললে চা করে দিবে, ম্যাসেজের হাত চমৎকার, এমন মোলায়েম ভাবে আদর করে দিবে পুরা পাঙখা হয়ে থাকবি,
মানুষের কৌতুহল অসুস্থ, তাই অন্য সহকর্মি প্রশ্ন করে, সেক্রেটারীর অন্য সুবিধাগুলোও কি দেখবে এ?
এইবার এই সহকর্মির আকর্ণ বিস্তৃত হাসি, বললো হ্যাঁ যেই কোম্পানি বানিয়েছে এটাকে বলেছে এটাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ব্লো জবের সফটওয়্যার, আর কামের চৌষট্টি কলা জানে এ।
অন্য সহকর্মি এর পর চুপি চুপি বলে, আচ্ছা একটু ধার দিবে ব্যাবহার করে দেখতাম, যদি পছন্দ হয় তাহলে আমিও একটা কিনবো।
আচ্ছা যা নিয়ে যা, দরাজ গলায় বলে লোকটা কাজে মন দিলো,
কিছুক্ষন পর ভয়ংকর আর্ত চিৎকারে সবাই টয়লেটের দিকে দৌড় দিলো, সেই সময় কিউবিকল থেকে এই সহকর্মির অনুতপ্ত গলা শোনা গেলো, আক্ষেপের স্বরে সে বললো, আহা রে বলতেই ভুলে গেছি ওর পেছনের ফুটাটা শার্পনার।
তবে আমার ভীষন খারাপ লাগে সেই স্ক্যানারটার জন্য, আরও কত আত্মরতির নিরব সাক্ষি হতে হবে তাকে, একটা চাল্লু শব্দ পাওয়া গেলো ইংরেজিতে, বাংলায় এখনও এটার তেমন চলতি শব্দ আবিস্কৃত হয় নি, ফেটিশ, টানটান চামড়া থেকে শুরু করে পায়ের জুতা অনেক কিছু দেখেই মানুষের যৌন কামনা জাগে, এই বস্তুজগতিয় যৌনকামনাকে ফেটিশ বলা যায়, যদিও সঠিক অর্থটা আরও ব্যাপক হতে পারে, তবে কারো কারো ছাপার হরফে নিজের নাম দেখলে শীর্ষসুখানুভুতি হয়, একবার দেখলেই একবার অর্গাজম, এইরকম অর্গাজমিক অনুভবের প্রত্যক্ষ সাক্ষি এবং যদি অর্গাজমপরবর্তি পিচ্ছলতার মুখোমুখি হতে হয় এই যন্ত্রকে সেই স্ক্যানারের জন্য মায়া লাগতেই পারে। মায়া লাগাটাই স্বাভাবিক, সেই এডের ভুবনে ফিরে যাই আমরা মায়ার সাথে,**** হবে সুন্দর সুখী সংসার। আহা চমৎকার সুর ছিলো বিজ্ঞাপনে।
**********
অবশ্য আকাশেও চাঁন তারা উঠে, দুনিয়া ঘুরে প্রকৃতিক নিয়মে, মানুষ খায়- ঘুমায়-হাগে মুতে, প্রাকৃতিক অনেক ঘটনাই অন্য রকম হয়ে যায়, যদি কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে, এই কোঁত দিতে দিতে অনেক কিছুই আবিস্কার হয়, যদিও রাইসুয় বুলি হলো প্যারোডী করা সব চেয়ে সহজ তবে এর চেয়ে সহজ হলো রাইসুয় কবিতা লেখা, প্রায়শই কোঁতের ফাঁকে ফাঁকে উচ্চভাবের উদয় হয়, নিউটন বলে গেছেন সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়ার কথা তাই কোঁত দিয়ে কিছু নিচের দিকে যেতে থাকলে প্রতিক্রিয়ার উচ্চভাবের উদয় হয়, সেই রকম উচ্চমার্গিয় কবিতাগুলো যদি লেখা যেতো আহা রাইসুয় কবিতাগুলো কমোডে ফ্লাশ করার পর পরই হারিয়ে যায় আমার, আহা আমার গর্ভচু্যত কবিতারা, গর্ভের ফুল খসে ভেসে গেলো, সেই সব হারিয়ে যাওয়া কবিতার জন্য শোকগাঁথা রচিবে কে, মহাকবি কালিদাস, নাকি তুমি মদ্যপ মধু, কে রচিবে শ্রাবনবৃষ্টি গাঁথা, কাঁথার মতো জড়িয়ে থাকা গল্পগুলো, একটু হলেই প্রসব হয়েই গিয়েছিলো আমিও কোবতে লিখে ফেলেছিনু প্রায় আশার ছলনে ভুলি হে কবি তুমি সমিরনে কি রেণু উড়ালে আজ কবিগুরু আমার গরুগুলো ঘাস খায় দুধ দেয় সাদাসাদা শব্দ শুভ্র ফেনিল, আহা বাছুরের বঞ্চিত সুধা, আহা গরুর চার বোঁটা লেজের ঝালর, বাছুর লাফায় তরতরিয়ে হাঁটে,
***********
সমালোচনা করিবেন না, করিলেই পোঁদে ছঁ্যাকা লাগে
বিভ্রমে থাকি দিবানিশি, আহা আসামনের শশী উঠিলে কেউ কেউ দুরবীনে দেখে বলে চাঁদের বুকে অনেক গর্ত, আমি একই গর্তে যাই ঘুরে ফিরে, গর্তের কিনারা দিয়ে হাঁটি, নীচে শালা বাঙ্গালী পা টেনে খিঁচতে চায় ভেতরে আমি বরাভয় মুদ্্রা স্থাপন করি, এর পর খেঁচতে থাকি খেঁচতে থাকি-
শালার স্ক্যানারটা পিছলে পড়ে ভেঙে গেলো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


