পৌঁছানোর ইতিহাস বাদ দিলে বলতে হবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের মুল বিষয় আসলে আহার,নিদ্্রা এবং সঙ্গমজনিত ভাবনার মিলমিশ, ওখানে উচ্চমার্গিয় বিষয়াসয় খুব কম উপস্থিত থাকে, তাই এখানে পৌঁছানোর পর ঢাকা শহরের প্রধান যেই বিষয়টা মনে পড়লো লিপিবদ্ধ করার মতো তা হলো, এখন ঢাকা শহরের টংয়ের দোকানে চায়ের কাপ 3 টাকা করে, পিয়াল ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করার সময় বেইলি রোডের চায়ের দোকানে অনেক দিন পর কন্ডেন্সমিল্কের চা খেলাম, 3টাকা শুনে একটু খারাপ লাগলো, জিনিষপত্রের দাম বাড়ে গেলো, আমাদের সবেধন নীলমনি বিলাস এক কাপ চা তাও 3টাকা।
অন্য যেটা লক্ষ্যনীয় তা হলো ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্প ীড ব্রেকার নিয়ে গবেষনা, অনেক রকম স্প ীড ব্রেকার চোখে পড়লো, সামান্য উঁচু স্প ীড ব্রেকারের ব্যার্থতায় ধারাবাহিক ঢেউ খেলানো স্প ীড ব্রেকারের অভিজ্ঞতা ছিলো তবে নতুন হলো পুরা বাস্ক শেপের স্প ীড ব্রেকার, কোনো লাভ হয় কিংবা হবে কি না জানি না এখনও।
শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়েছে, সেই সাথে ট্রাফিক পুলিশও আছে তবে নিয়ম না মানার অভ্যাসটাও চালু আছে, তাই গ্র ীন সিগন্যাল পড়লেও রেড সিগন্যাল থেকে গাড়ী ঢুকেযাচ্ছে, এমন কি চলমান গাড়ীর স্রোতের বিপরীতেও গাড়ী ঢোকার চেষ্টা করছে, সব মিলিয়ে হযবরল অবস্থা।
আমার অবস্থা রাস্তা কানা, এলাকার নাম মনে আছে, এলাকার আশে পাশে কি আছে তাও মনে আছে, কিন্তু রাস্তা ভুলে গেছি, গতকাল রাতে এক জায়গায় যাচ্ছিলাম, অনেক রাত, এই রাস্তায় আমি অনেক বার গিয়েছি,সেই রাস্তার শেষে এসে মনে পড়ছে আবছা আবছা, কিন্তু আমার আশা ছিলো েই রাস্তাটার শেষে গিয়ে একটা বাম দিকে মোচড় খাবে রিকশা, ত হলো না, রিকশা ডান দিকে মোচড় খাইলো, আমি বুঝলাম আই হ্যাভ লস্ট অল দি সেন্স ওফ ডিরেকশন, আমার একটু রয়ে সয়ে রাস্তায় নামা দরকার, অনেক দিনের অনভ্যাসে রাস্তা পাড় হওয়ার বিদ্যা ভুলে গেছি, তাই এখন জনগনের পিছনে পিছনে রাস্তা পাড় হচ্ছি, একটু এক্সপার্ট হলেই আবার নতুন উদ্যমে শুরু করবো পথ চলা, আপাতত সাবধানতা অবলম্বন করেই রাস্তায় নামতেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তার উপর বিশাল বিশাল ব্যারিকেড মানে রোড ডিভাইডার বসাইছে, আমার ঢাকা শহরের প্রতি প্রেমের ভেতরে বিশাল এক জেল খানার দেয়াল মনে হচ্ছে এগুলোকে, এখন আবার পরীক্ষার ফর্ম বিক্রি হচ্ছে খুব গরম অবস্থা, আর আমাকে ফাঁকি দিয়ে যেসব সুন্দরীরা গত কয়েক বছরে যৌবনপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের ঝলমলে রুপ দেখে আমার একটু সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশের মেয়েরা প্রসাধনঅভিজ্ঞা হয়েছে, নিজেদের খুঁত ঢেকে নিজেদের সৈন্দর্য্য কে এমন ভাবে প্রকাশ করছে, আমি পুরা পাংখা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



