আমাদের রইস উদ দ্্ব ীন মিয়া যখন নাম থেকে দ্্ব ীন মুছে ফেলে উদ বেড়ালের মতো প্রগতিশীলতার স্রোতে গা ভাসালেন তখন ঘুনসি কোমরে বেঁধে ডোবায় ডুব দিলো এক ন্যাংটো শিশু। এখানে এই পরিবেশটাকে লক্ষ্য করা দরকার, প্রেক্ষিত বিশ্লেষনের আবশ্যকতা আছে প্রবল ভাবে। দ্্ব ীন মুছে ফেলে রইস হয়ে উঠার ভাবনায় তার এই প্রগতিশীলতার স্রোতে উদ বেড়ালের মতো ভেসে থাকাকেও খোল করা দরকার।
খেয়াল করা দরকার সেই বিকেলের রোদ, সেই বিকেলের রোদ মরে যাওয়ার আগেই আকাশ অন্ধকার করে ঝড় উঠেছিলো, ঘুনসি কোমরে বাঁধা সেই ন্যাংটো শিশুটা তখন পথ হারিয়ে কোনো এক গ্রাম্য বিধবার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে তার পোষা ছাগলের হাজামত দেখছিলো বিস্ফোরিত চোখে। সেই ছাগলের বিকট ম্যাঁ ডাকের সাথেই বিজলীর গর্জন, বৃষ্টি মেনেছিলো খুব।
সেই বৃষ্টির ছাঁট গায়ে পড়তেই বাচ্চা ছাগলটা উঠে দাড়িয়েছিলো, হাজাম তার হাতের অবশিষ্ট ছাই যা ছাগলের অন্ডকোষে লাগানোর পরেও রয়ে গিয়েছিলো হাত ঝাড়া দিয়ে ফেলে বললেন মা একটু পানি আনো।
বাচ্চা ছাগল তখনও বোঝে নি তার পুরুষত্ব লুণ্ঠিত হয়েছে এই মাত্র, পা টেনে টেনে সে আশ্রয় নিয়েছিলো চৌকির কোনায়। বাজের ভয়ংকর শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠছিলো সে। আর আমেনার বাপ তার দিকে তাকাতেই ভীষন হয়ে দ্্বিগবিদিক জ্ঞানশুন্য ন্যাংটো শিশুর ছুটে যাওয়া দেখে খ্যাঁক খ্যাঁক হেসেছিলো আমেনার বাপ।
রইস মিয়া সেই বিকালেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বৃষ্টিমঙ্গল কাব্য রচিত হবে,
রচিবে এমন ভাবে য্যান লোকে ভাবে
কবি আছে জগতে একখান
কবির কবির বেটা রইস পাঠান।
পাটকিলে ছোড়ার এক বগ্গা শরীরে ভীষন তাকত,সব ছুঁড়িদের দিকে আড়ে আড়ে চায়। পুকুর পাড়ের জামগাছে উঠে বসে থাকে দুপপুর বেলা, ঘোষদের বাড়ীর মালতি ছুঁড়িটাকে একটা লাইন টানা কাগজে পদ্য লিখে পাঠিয়েছে সে - সেই পড্য পড়ে মুখ টিপে হাসে ঘাটলার সব মেয়ে।
রইস মিয়া দুপপুর বেলা জাম গাছের ডালে বসে দেখে ডোঁয়া পিঁপড়া হেঁটে যায় সামনে দিয়ে কাকের পাখার সাট সাট আওয়াজ স্থিমিত হয়।
কে কোকিলা লীলা করে কাউয়ার ঘরে পাড়ে ডিম
পুকুরের ঘোলা জলে যুবতির স্নান বুকে জ্বলে তারার পিদিম।
ডোয়া পিঁপড়া কামড়ায়, শালার পিঁপড়ার পোন মারি বলে রইস মিয়া ভিন্ন ভাবে ভীষন সামলে পশ্চাতদেশ চুলকায় আর আহ উহ করে। আহারে একেবারে ডোয়া পিঁপড়ার ঘরের উপর বসেছে সে গোয়া মেরে দিয়েছে পিঁপড়া, হঠাৎ অবলম্বনহীন খসে পড়লে জাম গাছে মৃদু আন্দোলন আর পুকুরের পানিতে দীর্ঘ ঝপপাস শব্দ হয় একটা। সচকিত মেয়েরা মেনী মুখো ঢ্যামনা বদের তাড়ী ইত্যকার বিশেষন ঝাড়লেও সে দিকে মনোযোগ দেওয়ার অবসর নেই রইস মিয়া। বরং লুঙ্গির ভেতরে হাত ঢুকিয়ে খাবলা দিয়ে ডোয়া পিঁপড়া সংহারে ব্যাস্ত তখন সে।
সেই দুপুরেই আবার মঞ্চে আবির্ভূত হয় ঘুনসি বাঁধা শিশুর, তার হাতে প্রলেপ আস্তে আস্টে ঢেকে দিচ্ছে ডোয়া পিঁপড়া স্মৃতি রইস মিয়ার অনাবৃত পশ্চাতদেশ থেকে। এ মা আপনার বাল উঠে নি, য্যানো বালভিজ্ঞ শৈশবের প্রথম ব্যাতিচারে আশর্য হয়েছে ছেলেটা। যা ব্যাটা পাকনামি চোদাবি না চুপ করে যা করতে আছিলি তাই কর, হোগা জ্বলতাছে আর এই ব্যাটা বালের আলাপ করে। নত মুখে সেই শিশু প্রলেপ মাখিয়ে ফিরে যায়- আসলে এসব শিশুরা কোথায় যায় আমরা জানি না। হয়তো অন্য কোথাও প্রলেপন মগ্ন থাকে-ক্ষুন্নবৃত্তি করে জীবন চালায়-
হা বাৎসায়ন মুনি তোমার কামসূত্রে কিশোরকামের বর্ণনা আছে নেই শিশুপ্রেমবিবরন
শিশুদের ভালোবাসবে কে ভবে রইস কবি ভনে জনে জনে বিলাও সন্দেশ
এই দেশে শিশুপ্রেম নাই কেনো বাৎসায়নে এ কি তব অবহেলা
রচিব নতুন শাস্ত্রশস্ত্র হাতে দাঁড়াও শিশুগন শস্ত্রে প্রলেপ মাখো মসৃন
সহস্র বছরের এই অনাচার বন্ধিবে রচিয়া রইস কামলীলা।
সেই বিকালেই বাজারের ভাঙা রেডিওতে লেজে হোমো এরশাদের ক্ষমতাগ্রহনের খবর প্রচারিত হয়।
এই ঘটনার পর কেটে গেছে এক যুগ,সেই শিশু প্রলেপন হাতে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এখন উত্তুঙ্গ তার হাতে মুখে ভীষন মসৃনতা, নিয়ত চর্চায় পারদর্শি হয়ে এখনও সে প্রলেপন মাখে- মাখায়, সবাইকে তোয়াজ করে যায়। প্রথম বর্ষ দ্্ব ীতিয় বর্ষ তৃতীয় বর্ষ যায়- সময় আসলে নিজের নিয়মে বয়ে যায়- উদ বেড়ালের মতো স্রোতে ভাসে রইস কবি। আর প্রগতিশীল রাম ছাগলের ছানা মেলে দেয় ডানা বাংলাদেশের আকাশে পূর্ব বঙ্গে একটাই জেলা বিক্রম পুর সেখানে দুপুর বিশ্রামালাপ বঙ্গীয় ভাষা শুধিতে হইবে
তাই একটা ভাষা আন্দোলন পুটকির চিপায় নিয়ে পা টিপে টিপে হাঁটে রইস কবি। দুপুরের বাসী খাবার ঘাঁই মারে পেটে- একটা মাত্র টাট্টি খানা অনেকক্ষন আটকে আছে সুনিত বাবু-এবাদের ইবাদত উদ্যত হাত জোড়া কাঁপছে বিরবির করে প্রার্থনায় যা বলছে সেটা ইশ্বরের পক্ষেয় শোভনীয় নয় শোনা। দাঁতে দাঁত চেপে সেই উদ্যত ভাষা আন্দোলনের ঘাঁই পেটের ভেতরে নিয়েই একটা উদগ্র চাপের ভেতরে রইস কবি ছুটছে দিকজ্ঞানশুন্য- একটা আড়াল চাই। মালতীর বিয়ের বাসী পোলাও এমন জব্দ করবে কে জানতো।
একটা গাছের গোড়ায় চোখ রেখে সে গাছের শেকড় গুনতে গুনতে রইস অনুভব করে প্রবল ভাষা আন্দোলনের মিছিল নেমে যাচ্ছে হোাগা দিয়ে- অমল সুখে রইস প্রায় নিদ্্রিত হয়ে শেষ সোনাটা বাজাচ্ছিল হোগা দিয়ে- খিল খিল শব্দে পেছন ফিরে দেখলো চৌধুরি বাড়ির জানালায় হেসে লুটোচ্ছে কতিপয় মেয়েরা। দামড়া পোলা সামলাতে পারে নাই- মরাখাকির পুত বাসার খিড়কিতে এমন কাম করছে- হিঃ হিঃ হিঃ হিঃ হিঃ
ভাষা আন্দোলন স্থিমিত হয়ে যায়, আরক্ত মুখে তীব্র মনোসংযোগ দিয়ে গাছের কোটরে কবিতা খোজে রইস মিয়া। সেই ঘুনসি বাঁধা শিশু 10 কিংবা 15 বছর পরে এখন কিশোর কিংবা তরুন- হাসিমুখে তার দিকে তাকায়- বলে আপনার বাল উঠে নাই।
রইস মিয়া কটমট তাকালেও এই সময়টাতে সবার প্রতি একটা তাচ্ছিল্য থাকেই, বয়েসের দোষ বা ুগুন যাই বলি- তাই অম্লান মুখে আউড়ে যায় সেই গত কৈশোর শিশু
আমার কত কত বাল
কত কত খালের কিনারে বসে পরিস্কিনু বাল
আর আবাল কবিরে দেখি আজ হায়
আবাল কবিরে দেখি আজ
কাঁঠাল পাতায় ঘষে
অকর্ষিত হোগা।
খানিকটা কাঁঠাল পাতা হাতে ধরিয়ে দিয়ে সেই না কিশোর না তরুন না যুবক ঘুনসি বাঁধা এককালের শিশুটা চলে যায়। রইস কবি কাঁঠাল পাতা চিবায় আর কবিতা অবতীর্ন হয় ধরাধামে।
এই সব দৃশ্যের সাথে আমাদের সহবাস
বসবাসরত সব বৃক্ষ প্রেমিকেরা আজ হাত নাড়ে
টেলিগ্রাম পৌঁচেছে মুক্তাঙ্গনে
সভাপতি্ন তন্বি সুঠাম তন্দ্র ালু
কিশোর তরুন হয় যুবা প্রৌঢ় এমনটাই রীতি তবে একাগ্র নিষ্ঠায় সেই না তরুন না কিশোর না যুবক ঘুনসি বাঁধা শিশু প্রলেপন দিয়ে যায় ডোয়া পিঁপড়া চর্চিত হোগায়।
একুস্টিক মনোজ কবিতার পান্ডুলিপি পড়ছেন- কবিতার সঠিক সমালোচনা করতে পারে একমাত্র সৎ কবি - রইস মিয়ার স্টেপ ফ্রেন্ড কিংবা দুর সম্পর্কের বন্ধু একুস্টিক মনোজ কবিতা পড়ে আর মাথা নাড়ে বিতৃষ্ণায়
অবশেষে সমালোচনা ছাপা হয় দৈনিকে- উল্লেখযোগ্য কয়েকটা বিশেষন সবার অবগতির জন্য জানানো-
-ছাগল চার পায়ে জুতা পড়লেই সাহেব হয়ে যায় না আর ল্যাদা ছাড়লেই ওটা মুক্তা হয় না- অধ্যাবসায় গুরুত্বপূর্ন রইস মিয়া সেই পরিশ্রম করতে নারাজ তাই যা হবার তাই হয়েছে- উস্কোখুস্কো চুল আর দাড়ি ঝোলালেই কবি হয়ে যায় না লোকে এই সত্য অনুধাবনের ক্ষমতা এখনও হয় নি তার-
-পিঁপড়ার হোগায় ঠেসে বারুদ ভরলেই ওটা জোনাকি হয়ে জ্বলে না তেমন কবিতার সারবস্তু না থাকলে ওটা নিজের ভারে চলে না মোটেও-
একুস্টিক মনোজের সমালোচনায় ব্যাথিত রইস মিয়া এবার সিলোটি বেডিংয়ের দোকানে বসে থাকে- প্রাক যৌবন প্রলেপনিষ্ঠ অভিজ্ঞ মালিশদার সেই শিশুটিকে দেখা যায়-
সে এখন ছাগলের হোগার বাল চেঁচে সাফ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন বিউটি পার্লার খুলেছে-

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



