২২শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে ফিরে আসার পরের এক সপ্তাহে তাজউদ্দিন আহমেদ তার বিভিন্ন ভাষনে, সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে খুব স্পষ্ট কিছু বলেন নি কিন্তু তিনি খুব স্পষ্ট করেই বলেছিলেন কেনো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলাম এবং আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশকে ঠিক কিভাবে গড়তে চাই। স্বাধীনতার স্বপ্ন আমাদের সংগ্রামের নেপথ্যে থাকা ভাবনাগুলো দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদ যেভাবে উপলব্ধি করেছিলেন সেসব ভাবনার অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশের সকল মানুষ প্রাণবাজী ধরে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে যায়।
তাজউদ্দিন আহমেদ তার ভাষণে বলেছিলেন
"যে আদর্শের জন্য,যে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের জন্য এবং যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি গঠনের জন্য আমরা সংগ্রাম করেছি, তা বাস্তবায়িত করার মাধ্যমেই আমাদের বিপ্লব সফল হবে। শহীদের রক্তে যে বাংলাদেশের মাটি উর্বর হয়েছে, সেই মাটির ফসল বাংলার গরীব জনসাধারণ, চাষী, মজুর, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ ভোগ করবে। এতে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে শোষণ করতে দেওয়া হবে না।"
"যে মুক্তি সংগ্রাম আমরা করেছি, তার চেয়েও বহুগুণ বেশী সংগ্রাম করতে হবে দেশকে গড়ে তুলতে। আমরা এমন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবো, যেখানে শোষণ থাকবে না, প্রত্যেক মানুষ পাবে সমানাধিকার। যে সমাজে শ্রমিক তার ন্যায্য মূল্য পাবে, কৃষক পাবে ফসল ভোগ করার অধিকার, ভূমিহীন ক্ষেতমজুর জমি পাবে আর কর্মহীন যুবকের হবে কর্মসংস্থান। সকল মানুষের রুটিরুজির ব্যবস্থা থাকবে। গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যেক মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এলো তাকে নিপীড়িত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ধর্মের নামে কেউ কারো উপর জবরদস্তি করতে পারবে না। ধর্মের নামে রাজনীতি করা চলবে না।"
স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর ঘোষণায় মূলত এই বিষয়গুলোই উপস্থাপিত হয়েছিলো, পরবর্তীতে আমাদের সংবিধানের প্রারম্ভিকায় মুজিবনগর সরকারের ঘোষণা সংযুক্ত হয়। একাত্তরের চেতনা সেই স্বপ্নের ভিত্তিতে বাংলাদেশ নির্মাণের লড়াই।
একজন রাজনীতিবিদ যেভাবে জনসম্পৃক্ততায় জনগণের আকাঙ্খা উপলব্ধি করেন সাধারণ মানুষ যারা রাজনৈতিক দলের কর্মী নন তারা সেভাবে নিজের ভাবনাগুলো উপলব্ধি করতে পারে না। রাজনৈতিক কর্মী ও রাজনীতিসচেতন মানুষেরা যেমন সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন ঠিক তেমন ভাবেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগীদের অত্যাচার নিপীড়ণের প্রতিবাদেও মানুষ মুক্তিযুদ্ধের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছেন। যারা রাজনীতি সচেতন ছিলেন তাদের মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ার নেপথ্য কারণ আর যারা কখনও রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না তাদের মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ার কারণ এবং সফল মুক্তিযুদ্ধ শেষে তাদের প্রত্যাশার ভেতরে এক ধরণের ঐক্য আছে সেই ঐক্যবদ্ধ সচেতনতাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
১৯ বছরের তরুণ মো মোদাসসার হোসেন মধু( বীরপ্রতীক - তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না কি অদিতি ফাল্গুনির বানানো চরিত্র এ বিষয় নিয়ে একটা বিতর্ক হয়েছিলো, তবে এ লেখার উদ্ধৃতিগুলো অদিতি ফাল্গুনির অপৌরুষেয় কিংবা মধু বীরপ্রতীকের ডায়েরী থেকে নেওয়া না) কেনো মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পরলেন প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন
" চারদিকে ছাত্রছাত্রীরা তখন পাওয়ার দাবি তুলেছে, ১১ দফা আদায়ের জন্য মিছিল মিটিং পোস্টারিং চলছে। এসব কর্মকান্ডের মধ্যে আমি আমার পাওয়ার কথা, দাবির কথা শুনতে চাই। তাই নিজেকেই একদিন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আবিস্কার করলাম চুড়ান্ত পাওয়া নিহিত আছে স্বাধীনতার মধ্যে। তাই স্বাধীনতা যুদ্ধে গেলাম। "
কালীদাসপুরের ১৮ বছরের তরুণ নূর ইসলাম কেনো তিনি মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে গেলেন প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন
" মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার ব্যাপারটা হঠাৎ কিছু নয়। দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া। প্রতিদিন মিটিং, মিছিল, পোস্টারিং, কর্মিসভা এবং রাজনৈতিক কলাকৌশল নির্ধারণ করতে গিয়ে মনটা জঙ্গী হয়ে উঠেছিলো। ৭ই মার্চের ভাষণে যুদ্ধে যাওয়ার নির্দেশ ছিল। আমি বুঝে নিয়েছিলাম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতেই হবে।
যুদ্ধে গিয়েছিলাম এ অঞ্চলের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য। ১৯৭১ এর যুদ্ধটা ছিল পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ। "
শামসুর আলী মন্ডল ছিলেন কাবাডী খেলোয়ার, তিনি ১৯৭১ এর ২৭শে আপ্রিল সুন্দরবনের কাছে শ্যামনগরে গিয়েছিলেন কাবাডি খেলতে, সেখান থেকে ফেরার পথে ২৯ শে এপ্রি সাতক্ষীরার বাওরি মোড়ে এসে দেখেন ১০ ১২জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে মুসলীম লীগের লোকেরা। প্রতিশোধ নিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে যান। বলেন
"দেশ স্বাধীন করে প্রতিশোধ নিয়েছি কিন্তু আমি আর কোনোদিন খেলতে পারবো না। শরীর ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে।"
সুনামগঞ্জের মান্নান আলী মে মাসের দিকে একদিন দোয়ারা বাজারের একটা মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন, সেখানে নামাজ শেষে পাঞ্জাবিরা বেছে বেছে ২৫-২৬ জনকে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। চোখের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও মান্নান আলী বেঁচে যান এবং তিনি পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।
মৌলভিবাজারের আফতার আলী মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন
বৈশাখ মাসে আমাদের থানার মসজিদের সামনে খানসেনারা একজন মধ্যবয়সী লোককে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করে। লোকটি আওয়ামী লীগ করতেন। এ হত্যাকান্ড বহুলোক দাঁড়িয়ে নীরবে দেখেছে। আমি ঐ হত্যাকান্ড দেখে বুঝেছিলাম ওদের কাছে কোনো বিচার নেই। ওরা একে একে সমস্ত বাঙালীকে হত্যা করবে যদি ওদেরকে তাড়ানো না যায়। তাই দেশের মাটি, মানুষ ও মা বোনদের ইজ্জতের জন্যে অস্ত্র হাতে নেই। রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষার জন্যে যুদ্ধ করি।
রাজনৈতিক সচেতনতার মাত্রা যেমনই হোক না কেনো যুদ্ধের নয় মাস এদের বদলে দিয়েছে, তারা যুদ্ধের ভয়াবহতার ভেতরেই উপলব্ধি করেন স্বাধীন দেশকে তারা কিভাবে দেখতে চান। স্বাধীন বাংলাদেশের পরিস্থিতি এইসব মুক্তিযোদ্ধাদের হতাশ করেছে। তাই
মোদাসসার হোসেন মধু বলেন
স্বাধীনতার তেইশ বছর পরও যে আকাঙ্খা নিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলাম তা পুর্ণ হলো না। বরং উল্টোটা হয়েছে। ভাবতাম স্বাধীন দেশে বঞ্চনা থাকবে না, বৈষম্য থাকবে না। ঘুষ-দুর্নীতি উচ্ছেদ হবে । সবাই চাকরি পাবে। গরীব দু:খীরা দু মুঠো ভাত পাবে কিন্তু আজ দেখছি বিপরীত ব্যাপারস্যাপার। আমার কাছে বাংলাদেশ আছে বলে মনে হয় না। আমি এটাকে অন্যদেশ ভাবি বা মনে মনে ধরে নেই , দেশ স্বাধীন হয় নি।
গোমস্তাপুরের দিনমজুর জালালউদ্দিন বলেছিলেন
" কিছু পাওয়ার আশা নিয়ে যুদ্ধে যাই নাই। পাকবাহিনীর অত্যাচারের ভয়ে যুদ্ধে গিয়েছি। দেশের সাধারণ মানুষকে অত্যাচার থেকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধে গিয়েছি। পরে বুঝতে পারলাম দেশের স্বাধীনতা ছাড়া এ অত্যাচার থামবে না। তাই যুদ্ধ করলাম দেশ স্বাধীন করলাম। এখন দেশের অবস্থা দেখে আমি কিছুই বলতে পারছি না। আমার কিছুই বলার নেই।"
নূর ইসলাম যুদ্ধ শেষে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন। স্বাধীন দেশে তার আকাঙ্খা ছিলো মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে।
নাগরিকেরা সকল সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকার পাবে। শোষণ বঞ্চনা থাকবে না।
কিন্তু যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরে এসে দেখেন এক অরাজক অবস্থা। চারদিকে শোষণ বঞ্চনার প্রতিযোগিতা। মানুষের অধিকার হরণের অপচেষ্টা। বড় ভাইয়েরা গারীর মালিক হয়েছেন, বাড়ীর মালিক হয়েছে কিন্তু তারা কোথা থেকে গাড়ী বাড়ী পেলেন তা তিনি বুঝতে পারেন নি।
কেনো এ পরিস্থিতি তৈরি হলো এ বিষয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন
আমার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কম। কর্তব্যের জন্য যুদ্ধ করেছি এই যা। তবে সাধারণভাবে যা বুঝতে পারি, তা হলো
তরুণরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলো স্বত:স্ফুর্তভাবে। কারা মুক্তিযোদ্ধা হবে, কীভাবে সংগঠিত হবে, কী রাজনৈতিক শিক্ষা থাকবে কিছুই ঠিক ছিলো না। তবে সাধারণভাবে রাজনৈতিক সচেতনতা ছিলো।
স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধাদের সফলভাবে সংগঠিত করা হয় নি, কাজে লাগানো হয় নি, যথার্থ সম্মান দেওয়া হয় নি।
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত মিলিটারি বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করলে এমনটা হতো না।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো।
শামসুর আলী মন্ডলের আক্ষেপ
যেই নরপশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে জীবন-যৌবন হারিয়েছি, পক্ষান্তরে তারাই এখন দেশ চালাচ্ছে। আমরা পঙ্গু মানুষ। আমাদের শরীরে জোর নেই, শক্তি নেই। তাই নীরবে কাঁদি। আবার একাত্তরের মতো যুদ্ধ করতে মনে চায়।
১৮ বছর বয়েসে যুদ্ধে যাওয়া এম এ সাত্তারের ভেতরেও একই হতাশা। তার কোনো আকাঙ্খাই পুরণ হয় নি। তার মনে হয় না দেশ স্বাধীন হয়েছে। এখনও পরাজিতরাই দেশ শাসন করছে তাই এই দেশে সুখ নেই। আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক কোনো ক্ষেত্রেই অগ্রগতি নেই। এই সংকট থেকে পরিত্রানের উপায় হিসেবে এম এ সাত্তার বলেছেন
সমস্ত জাতিকে ৭১ এর মতো নি:শর্তভাবে দেশকে ভালোবাসতে হবে। এবং ঐ চেতনা দিয়ে দেশকে গড়তে হবে। তা হলে দেশের সংকট কেটে যাবে।
নূর ইসলাম আশাবাদি। তার ধারণা দেশের ভবিষ্যৎ ভালোর দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন
" চুড়ান্ত লক্ষ্যে না পৌঁছালে দ্বন্দ্বের সমাধান হয় না। জাহানারা ইমাম সমাধানের পথ দেখিয়েছেন। যুবকরা বুঝতে পেরেছে। মানুষ কথা বলা শুরু করেছে। সমাধান হবেই। আমি যা করতে পারি নি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তা অবশ্যই করতে পারবে।"
১৯৯৪ সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ এবং সমাজ গবেষক ডক্টর আতিউর রহমান। তিনি লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন।
এ সাক্ষাৎকার নেওয়ার ২ দশক পরে সত্যসত্যই নতুন প্রজন্ম ঘুরে দাঁড়িয়েছে, চিৎকার করে বলেছে রাজাকারের ফাঁসী চাই। যুদ্ধাপরাধের পাপমুক্ত বাংলাদেশ চাই। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একত্রিত হয়েছে নতুন মুক্তিযুদ্ধে। গণজাগরণের এই তরুণদের একাত্তরের চেতনাসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন পুরণে দেশের আমূল পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের কোনোমতে জোরাতালি দেওয়া উন্নয়ন কাঠামো, আমাদের বিভ্রান্ত অর্থনৈতিক নীতি, আমাদের শিক্ষা আর সমাজ ব্যবস্থার সবটুকুই বদলাতে হবে। একাত্তরের চেতনার বাংলাদেশ নির্মাণের লড়াইয়ের প্রথম পর্যায়ে আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধের পাপমুক্ত হওয়া। কিন্তু গত ৪২ বছরে দেশের বিভিন্ন কাঠামোতে জমে যাওয়া আবর্জনা পরিস্কারের লড়াইটা শুরু হবে এরপরেই।
যারা গণজাগরণ মঞ্চের নানাবিধ সমালোচনা করছেন তারা গণজাগরণের কর্মীদের উপরেই সব ভার চাপিয়ে দিতে চান। গণজাগরণ কর্মীরা তরুণ, নতুন দিনের স্বপ্নে বিভোর কিন্তু তারা একই সাথে সকল সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান এনে দিতে পারবে না। আপনারা নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে বসে বসে হাত তালি দেওয়া এবং সমালোচনার বাইরে এসে গণজাগরণের কর্মীদের মতো নিজের তাগিদে নিজের জায়গা থেকে পরিবর্তনের সূচনা করেন। ন্যায়বোধ আর সচেতনতায় এরা যেভাবে দিনের পর দিন একটা দাবীতে একতাবদ্ধ হয়েছে, আপনি-আপনারা অগ্রজ প্রজন্ম নিজের জায়গায় স্থানু না থেকে, পরছিদ্রাণ্বেষণের কাজটা বাদ দিয়ে নিজের উপরে অর্পিত দায়িত্বটুকু পালন করুন, নিজের কাজটা নিজে করতে পারলেই হবে, সেটুকু আন্তরিকতার সাথে সম্পন্ন করেন, এই তরুণেরা যখন আপনার কাছে যাবে তখন অন্তত তারা দেখবে আপনি জঞ্জালে মুখ গুঁজে বসে নেই বরং নিজের আশেপাশের জঞ্জাল সরিয়ে মানুষের মতো বেঁচে আছেন।