আমাদের জীবনে বন্ধু এবং বন্ধুত্বের গুরুত্ব অনেক বেশি। একদম ছোটকাল থেকে শুরু করে বার্ধক্য পর্যন্ত বন্ধুত্বের সম্পর্কে ঘিরে থাকি আমরা। বন্ধুত্বের সম্পর্ক এমন একটি সম্পর্ক যা দেখে শুনে বুঝে হয় না বরং আপনা আপনিই হয়ে যায়। পড়ালেখা একইসাথে করার সুবাদে স্কুল , কলেজ ,ভার্চিটি লাইফে অনেকের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গভীর হয়ে আসে। কিন্তু কিছু বিষাক্ত বন্ধুত্বের সম্পর্ক কুলষিত করে বন্ধুত্বের সম্পর্কটিকে। তাই ওই সকল বন্ধু থেকে দুরে থাকাটাই ভালো
*দু মুখো বন্ধু
অনেকেই আছে তোমার সামনে অনেক ভালো থাকে এবং বেশ ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন করে কিন্তু পিঠ পিছে তোমার নামে বদনাম করে। অনেক সময় এমন বন্ধুটিকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয় না। কিন্তু যদি কখনো কোনোদিন বুঝতে পারো তবে তার সাথে সম্পর্ক না রাখাই ভালো। কারণ এই ধরণের বন্ধুরা সব সময় তোমার ক্ষতিই করবে।
*নেতিবাচক চিন্তার বন্ধু
অনেকেই নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা করে থাকে। এটা একটি মানসিক সমস্যার পর্যায়ে পরে। কারণ সকল ক্ষেত্রে নেতিবাচক চিন্তা করা সাভাবিক মানুষের লক্ষণ নয়। এই ধরণের মানুষের চিন্তা ভাবনা বলতে গেলে ছোঁয়াচে। কারণ একজন প্রতিদিন তোমার সামনে অনবরত নেতিবাচক কথা বলতে থাকলে তুমি কিছুতা হলেও প্রভাবিত হবেন যা তোমার ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই এই ধরণের বন্ধু থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
*আত্মকেন্দ্রিক বন্ধু
অনেকেই আছে প্রত্যেক কথাতে নিজের উদাহরণ নিয়ে আসে। এই ধরণের বন্ধুরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। এরা নিজেদের বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারেন না। এই ধরনের বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক অবশ্য বেশিরভাগ সময় আপনা আপনিই শেষ হয়ে যায়। তারপরও এদের কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো।
*প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধু
অনেক বন্ধু আছে যারা নিজের বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতা করে থাকে। প্রকাশ না করলেও বিভিন্ন সময় আচার আচরনে এই প্রতিদ্বন্দ্বী মনোভাব প্রকাশ পেয়ে যায়। এই ধরণের বন্ধুরা অনেক ক্ষতিকর। বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্যে প্রতিযোগিতা না থাকাই ভালো।