ইউরো আসরকে সামনে রেখে ইউক্রেনের সেক্সকর্মীরাও বিদ্যা-বুদ্ধি চর্চায় ব্যস্ত। এবারের আসরের ১৬ দেশের কৃষ্টি ও ইতিহাস নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা করছেন ইউক্রেনের প্রমোদবালারা। শিখে নিচ্ছেন ফুটবল খেলার আইনকানুন ও টুকিটাকি। আর এ নিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ জ্ঞানের বিষয়টি প্রচারে রাখছে ইউক্রেনের আকর্ষণীয় সব রঙ্গবালারা। ব্যক্তিগত ও সেক্স বিষয়ক অন্য ওয়েবসাইটগুলোয় এ নিয়ে চলছে নিয়মিত প্রচার। ইউরো আসরে ফুটবল খেলা দেখতে আগন্তুক পর্যটকদের এসব প্রমোদবালার সঙ্গ কামনায় আগ্রহ বাড়াতেই এমন উদ্যোগ ইউক্রেনের সেক্সকর্মীদের। ইউরোপের ক্রীড়ার এ বিশাল যজ্ঞে ইউক্রেনের রঙ্গবালারা আগত পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে- এমন ধারণার প্রকাশ দেখা যায় মিডিয়ার খবরেও। কিন্তু খবর এটুকুই নয়, আছে টুইস্টও। রোমান্টিক এই আলাপে ‘কাবাব মে হাড্ডি’ও আছে। নিজ দেশের সেক্সকর্মীদের এমন মাতামাতি পছন্দ করছেন না ইউক্রেনের নারীবাদীরা। প্রতিবাদ জানাচ্ছে এমন সংগঠনগুলোও। কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। এমন ঘটনার প্রতিবাদটাও আবেদনময়। নিজেদের কাপড় খুলে ফেলছেন তারা প্রতিবাদে। নগ্ন হওয়াটাই এসব নারীবাদীদের প্রতিবাদ। পেশাদার যৌনকর্ম শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হতো সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পরে স্বাধীন ইউক্রেনে। তবে আইন বদলে ইউক্রেনে যৌনবৃত্তি সামাজিক অন্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ২০০৬ সাল থেকে। এমন কর্মে ধরা পড়লে দশ-বিশ ডলার জরিমানায় ঝামেলা চুকিয়ে ফেলতে পারে এখনকার যৌনকর্মীরা। সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র ইউক্রেনের রঙ্গ-রমণীদের আলাদা পরিচিতি অনেক দিনের। দেশটিতে কমবেশি ৮৩ হাজার রমণী সেক্স কর্মে নিয়োজিত, যার ১১ হাজারের বিচরণ রাজধানী শহর কিয়েভে। এ পরিসংখ্যান আন্তর্জাতিক সংস্থা এইডস এলায়েন্স-এর। ইউক্রেনে এইডস আক্রান্ত যৌনকর্মীদের উচ্চহার নিয়েও সতর্কতা রাখছে সংস্থাটি। ইউক্রেনের সেক্সকর্মীদের নানা উছিলা নিয়ে এমন চারা দিয়ে ওঠা এবং পর্যটকদের এতে আগ্রহের খবর প্রকাশে প্রতিবাদ মুখর দেশটির নারীবাদী গ্রুপগুলোও। প্রতিবাদ জানাতে কথায় কথায় নিজেদের কাপড় খুলে ফেলার জন্যও আলাদা পরিচিতি আছে ইউক্রেনের নারীবাদীদের। এদের অন্যতম সংগ্রঠনটি ‘ফেমেন’। নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানানোটা এদের ধরন। ইউরো দেখতে ইউক্রেন সফরে পর্যটকদের পরিকল্পনার বড় অংশজুড়ে রয়েছে ‘সেক্স’- এমন খবরে ফেমেন’র স্লোগান ‘ইউক্রেন কোন গণিকালয় নয়’।
সূত্র:মানভজমিন
ইউক্রেনে সেক্স বাণিজ্য অন্য সাজে রঙ্গবালারা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।
আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন