রাব্বি টুম্পা র ভালবেসে বিয়ে করে দুই বছর আগে!
টুম্পা :আগামীকাল তো পহেলাবৈশাখ! .
রাব্বি : তো কি হইছে?
টুম্পা: গতবছর এসেছিলা তো! তুমি।
রাব্বি : এ বার আসা যাবেনা হয়তো
টুম্পা: তুমি কি বেশি ব্যস্ত থাক ইদানিং?
রাব্বি : তোমার কি মনে হয়?
টুম্পা: আগের মতো ফোন দেও না। তাই বললাম। রাগ করেছো?
রাব্বি : (বিরক্তি নিয়ে ) পরে কথা বলি।
ভালো লাগছে না।
টুম্পা: হু।
এই কি সেই রাব্বি? যে একদিন না দেখলেই পাগল হয়ে যেত দেখার জন্য?
টুম্পার মনে আছে: একবার তিন দিন কথা বলে নাই রাব্বি র সাথে।
রাব্বি ওর কলেজের সামনে দাড়িয়ে পাগলের মতো কেদেছিলো ! আমাকে না পেলে নাকি ওর জীবনের কানাকড়িও দাম নেই। তাহলে কি এসবই অভিনয় ছিলো? ?
টুম্পা ভাবে আর কাদে।
সকাল ৯টা বাসা থেকে বের হয়ে রাব্বি সোজা বাসস্ট্যান্ড!
গাড়িতে ঊঠে ,
আজকে তার যেতেই হবে কাছে। মনে মনে বলে সে।
গাড়িতে বসে হঠাত্ করেই হারিয়ে যায় স্বপ্নের জগতে!
ফোন দেয় টুম্পাকে।
টুম্পা : ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাই ফোন দেরিতে ধরলাম।
রাব্বি : ঠিক আছে ঘুমাও।
পরে কথা হবে।
টুম্পার বোন তানিয়া ফোন দেয় রাব্বিকে: ভাইয়া আপনার সাথে আপুর কি ঝগড়া হইছে?
রাব্বি : কই না তো তেমন কিছু হয়নি কেন বলতো?
আপনার দেওয়া গতবারের বৈশাখী শাড়ির টা নিয়া
গতকাল রাত থেকে কাদঁছে আপু।
রাব্বি : ও আচ্ছা আমি কি করতে পারি এখন?
তানিয়া: ভাইয়া একটা কথা বলি আমি ,
ভালবাসার মানুষকে অবহেলা করতে করতে কখন যে নিজেই অবহেলা র পাত্র হয়ে নিজেই জানেনা।
রাব্বি : তোমার কথাটা মাথায় রাখলাম।
সন্ধ্যার একটু পরে টুম্পা পাশের বাসায় আন্টি গল্প করছে।
আন্টির হাজব্যান্ড আজকে নিয়া গিয়ে অনেক কিছু শপিং করছে। এগুলো দেখছে টুম্পা !!
ওর ভালো লাগছে না।
পুরনো বৈশাখী শাড়িটা জড়িয়ে শুয়ে আছে।
কতক্ষণ ঠিক ঠাওর করতে পারছেনা! !
হঠাৎ কারও হাতের স্পর্শ অনুভব করে তার কপালে! !
চোখ খুলে টুম্পা।
একি তুমি!! কখন আসলে?
রাব্বি : এইতো কিছুক্ষণ আগে। দেখলাম ঘুমুচ্ছো তাই ডাকিনি।
টুম্পা : তুমি আসবে আমি ভাবিনি। তবে মনে ক্ষীণ আশা ছিলো হয়তো আসবে।
রাব্বি : তোমার জন্য এই শাড়িটা এনেছি পরে আসো তো দেখি আমার সাদাপরী টাকে কেমন লাগে।
টুম্পা নতুন শাড়ি গায়ে রাব্বি সামনে দাড়িয়ে।
রাব্বি অপলক দৃষ্টি তে দেখছে টুম্পাকে।
আচমকাই আলতো ভাবে চুমু খায় রাব্বি টুম্পার কপালে! !
.
.
সত্যি ওরা এগিয়ে চলেছে ভালবাসা নামক মিষ্টি একটা পৃথিবীর দিকে।
কোন অশুভ ই আজকে ওদের পিছু নিচ্ছে না।