জল তার টলমল,যে জলে ভরা পূর্ণিমার ছায়া পড়ে ঢেউ খেলে.... সাঁঝের বেলায় আলতা পায়ে গায়ের বধূ কলসি কাঁখে জলকে চলে।পাল তুলে নৌকা চলে, মাঝি গলা ছেড়ে গান গায়।এ শুধুই কল্পনায় ভেসে আসা কোন ছবি না......এ স্মৃতি,মনের কোণে ঢেউ খেলে।বর্ষায় নদী যখন এক পরিপূর্ন যুবতী ...কিশোর, বৃদ্ধ সবাই নদীতে ঝাপিয়ে পড়া, সাঁতার কাটা....এ দৃশ্যের সাথে আমরা সবাই পরিচিত।নদীতীরের ঠান্ডা বাতাস মন জুড়িয়ে দেয়, শরতে নদীর পাড়ে কাশফুলের বন বাতাসে যখন দোল খায সে এক স্বর্গীয় দৃশ্য।নদরি এই চিরচেনা রূপের সাথে তিলোত্তমা(!) ঢাকা শহরকে ছঁয়ে থাকা বুড়িগঙ্গার কোন মিল কি পাবে কেউ?বুড়িগঙ্গা হারিয়ে ফেলেছে টলমল জল, তার রূপ।কালো কুচকুচে, দুর্গন্ধযুক্ত পানি।পলিথিন পোড়ানো, কলকাখানার বর্জ্য,নৌযানগুলোর পোড়া তেল সব মিশছে নদীর পানিতে।চ্যানেল আইয়ের একটা প্রোগ্রামে বিজ্ঞাপন দেখেছি বুড়িগঙ্গার পানি বিষ।এই পানি মুখে দেয়ার কথা চিন্তাই করা দূরে থাক এই পানি এত বিষাক্ত যে যারা বাধ্য হয়ে গোসল করে তাদের বিভিন্ন চর্মরোগ হয়। নদীর দুই পাড় দখল করছে ভূমিদস্যুরা।অসহায় নদী গর্জে পারছে না নিজেকে বাঁচাতে।হারিয়ে ফেলে তার জৌলুষ।
চাইলেই কি একটা নদী কেউ কোটি টাকা দিয়েও তৈরী করতে পারি?আমরা পারছি নদীটাকে মেরে ফেলতে।আমি জানি আমি পারব না কিছুই করতে কিন্তু এই ঢাকা শহরের প্রতিটা বিবেকবান মানুষ যদি চায়, পাশে দাঁড়ায় নদীটাকে বাঁচাতে, তার পুরনো জৌলুস, চিরচেনা রূপকে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে সরকারের কাছে দাবি জানাতে তবে ত বাঁচবে নদীটা!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬