somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হলমার্ক গ্রুপের কোচিং সেন্টারের প্রচারণাঃ [হলমার্ক কোচিং সেন্টার- আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষে।...... ( ফান পুষ্ট)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শীতের সকাল । সকাল সাতটা পনেরোয় আইসা বসে আছে জলিল। আটটায় ক্লাস।
নিচে উপরে ২-১ জন দারোয়ান ছাড়া আর কেউ নাই।
ঘুম ঘুম চোখে রুমের দরজা খুইলা আইসা ফোর্থ বেঞ্চে বসে ঝিমানোর প্রিপারেশন নিতাসে।

ফাঁকা ক্লাস। শেষের দিকের একটা চেয়ারের নিচে একটা ব্যাগ দেখলো। কুত্তার লেজ সোজা হইবনা আর মানুষের কৌতূহল কমবনা এইটাই তো স্বাভাবিক! গিয়া ব্যাগটা উপরে উঠাইলো। খুইল্লা দেখে ক্যামেল মাউন্টেন ব্যাগ ভর্তি কচকচা ১০০০ টাকার নোট!!!!!!

সাতটা ষোলো বাজে। ফাঁকা ক্লাস, ক্যাম্পাস তখনও খালি। ধুর! বুদ্ধি আসেনা ক্যান!! সিগারেট খাওনের দরকার আসিলো। ধোঁয়া লাগলে নাকি বুদ্ধি খোলে। যা করার জলদি করতে হইব।

কি করা উচিত? নিচে অফিসে গিয়া জমা দেয়া উচিত টাকাটা? চিন্তাটা মাথায় আইতেই নিজেরে কইষ্যা একটা থাপ্পর লাগাইলো জলিল। মনে মনে কইলো- তুই না নিলে আরেকজনে নিব।

টেনশনে ঘামো ঘামো অবস্থা শীতের দিনেও। কিন্তু ফকফকা ভবিষ্যতের চিন্তায় চোখ দুইখানও ফকফকা, চকচকা!-

“এতদিন বাসে ঝুইল্লা ঝুইল্লা আইসি রে! কেএফসির জায়গায় মামুর দোকানের শিঙারা খাইসি। ৬০ ট্যাকা দিয়া মায় ছাইড়া দিসে। যাবি কই? ট্যাকা ফুরাইলে ঘরের মুরগা ঘরেই ফিরা আইব। এহন আমারে পায় কে!!”

নিজের ডায়েরিটা ব্যাগে ভইরা ব্যাগটা কান্ধে ঝুলাইয়া বাইর হয়া আইলো রাস্তায়। নো ট্যাক্সি, নো সিএনজি। সোজা ৬ নাম্বার বাস। ভিড়ে মাইনষের মাথা মাইনষে খায়। জলিলের ভাবখানা এমন যে পিঠে যেইটা আছে ঐটার ভিতর কিছু চরম বিরক্তিকর জিনিসপত্তর আছে। ঐগুলা হইল বইখাতা। পারলে বাসেই ফালায়া রাইখ্যা যাই।

বাসায় নিজের কাপড়ের ড্রয়ারে ব্যাগটা তালা রাইখা তালা মারলো। তার আগে ২টা নোট পকেটে ভরলাম। ব্যাগে একটা স্লিপ পাওয়া গেসে। পুরা এককোটি ট্যাকা!! মনের ভাবখানা - মুই কি হনুরে টাইপ।

...............................
বিয়ার পর-
পুলিশ- এই টাকা আপনি কইথিকা পাইসেন? ট্যাক্স দেওন লাগব। এইটা কি আপনের ইয়ারলি ইনকাম?
- এইটা আমি বিয়াতে শ্বশুর আব্বার কাছ থেইকা গিফট পাইসি। গিফট তো ইনকামের ভিত্রে পড়েনা। ট্যাক্সের প্রশ্নই উডেনা।
- ঐ মিয়া! আমারে ট্যাক্সেশন শিখান?
- শ্বশুর আব্বারে জিগান তাইলে।

শ্বশুর আব্বার বুদ্ধি জামাইয়ের চেয়ে বেশি না। কয়- আমি এই ট্যাকা পাইছি আমার শ্বশুর আব্বার থেইকা।

খাইসে ধরা! ট্যাকা গেল!


সমাধান যেইটা হইতে পারতো- হলমার্ক ওয়ালাগো কাছে ট্রেনিং নিলে অন্তত এত সহজে ধরা পড়তোনা। হয়তো টাকাটা বাঁইচাই যাইত।

তাই আসুন আমাদের কাছে। আমরা শিখিয়ে দেব টাকা সংরক্ষণের অভূতপূর্ব তরিকা।
নেক্সট টাইম বি প্রিপেয়ারড উইথ হলমার্ক চোরা সার্টিফিকেট ফ্রম হলমার্ক কোচিং সেন্টার।

***( পুরা পোস্ট কাল্পনিক - বলাই বাহুল্য)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×