somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে কিছু কথা

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাম্প্রতিক উত্তাল পরিস্থিতিতিতে অনেকেই অনেক কথা বলছেন । তাদের কথা শুনলাম । ভাবলাম নিজেরও কিছু কথা বলা দরকার । তাই লিখছি । যথাসম্ভব নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বলার চেষ্টা করছি । ভুল ত্রুটি হলে আশা করি ধরিয়ে দেবেন । এখানে আমি ছয়টি পয়েন্ট নিয়ে কথা বলব । পয়েন্টগুলো আগে তুলে দিচ্ছি ।
১ রাজাকারের ফাঁসি
২ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি
৩ ব্লগার রাজীব হত্যাকাণ্ড
৪ নাস্তিক ব্লগার প্রসঙ্গ
৫ শিবির ও লীগের হামলা
৬ শিবির প্রসঙ্গ
এবার বিস্তারিত আলোচনায় আসি ।
প্রথম প্রসঙ্গটি ছিল “রাজাকারের ফাঁসি চাই” । এব্যাপারে আমার মনে হয় কারও কোন দ্বিমত থাকা সম্ভব নয় । যারা এদেশের মানুষের সাথে এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা করল তাদের ফাঁসি ছাড়া আর কিছুই কাম্য নয় । একটা কথা বলি রাজাকার বলতে শুধু শিবির নয় , সকল দলের , সকল ধর্মের , সকল মতাদর্শের উধে গিয়ে সকল রাজাকারের ফাঁসি অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করাটা জরুরী । প্রায় ৪২ বছর ধরে যে কলঙ্ক জাতি বয়ে বেড়াচ্ছে সে কলঙ্কমোচনের সময় আরও আগেই হয়ে গিয়েছিল । দেরি হয়েছে সত্য , সময় যেতে দিলে আরও দেরি হয়ে যাবে , আজ জনতা সোচ্চার , একই শ্লোগানে মুখর সবাই , “রাজাকারের ফাঁসি চাই , ফাঁসি চাই” । সরকারের উচিত তাদের নির্বাচনী শপথ পূর্ণ করা , অনতিবিলম্বে সকল রাজাকারকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলান । রাজাকার যদি নিজের পরিবারের কেউও হয় তবুও তাকে ছাড় দেয়া চলবে না । রাজাকার কোন বাঙালীর আত্মীয় হতে পারে না ।
এবার ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রসঙ্গে আসি । এখন দেখতে পাচ্ছি রাজাকারদের ফাঁসির চেয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ এবং জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের দাবি জোরালোভাবে উথাপিত হচ্ছে । এই অংশে আমি শুধু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বিষয়ে কথা বলব । শিবির প্রসঙ্গে পরে আসছি । আমাদের দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বলতে ইসলাম ধর্মের নিয়মকানুন মেনে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বোঝায় । কারণ দেশের সিংহভাগ মানুষ মুসলিম । বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হওয়া সত্ত্বেও ২০১০-১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দেশের শতকরা ৯০.৪ ভাগ মানুষ মুসলমান । ধর্মভিত্তিক রাজনীতি যারা করে তাদের উদ্দেশ্য কি ? তারা চায় এদেশ ইসলামিক শাসনব্যবস্থা অনুসারে পরিচালিত হোক । ইসলামিক শাসনব্যবস্থা ভালই , তবে একটু কড়া । অনেকেই এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে না । তাছাড়া ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য বর্তমান সাধারন নিয়মকানুন জারী রাখতে হবে । ফলে সমাজে বৈষম্য দেখা দিবে । একই অপরাধের তো আর একই দেশে দুই রকম সাজা হতে পারে না ? আর যদি সবার জন্য ইসলামিক নিয়ম চালু রাখা হয় তাহলে সমস্যা আরও বাড়বে । তারমানে ইসলামিক শাসনব্যবস্থা চালু করা বর্তমানে সম্ভব নয় । তাহলে ইসলামিক দলগুলো কেন রাজনীতি করছে ? অধিকাংশ ইসলামিক দল ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করছে । তাই বলে সব দল নয় । আর সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র ইসলামের প্রতি ভালবাসার কারণে এদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছে । মনে করুণ এখন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হল । তখন এই সাধারণ মুসলমানদের কি হবে ? তারা কোথায় তাদের ইসলামিক প্রশ্নগুলোর জবাব খুঁজবে ? তারা কোথায় একত্রিত হবে ? তারমানে সাধারণ মুসলমানদের জন্য ইসলামিক রাষ্ট্র না থাকলেও অন্তত ইসলাম চর্চা করার জন্য একটা শক্ত প্ল্যাটফর্ম দরকার । প্রায়ই মুসলমানরা নাস্তিকদের নানা প্রশ্ন ও কটূক্তির শিকার হয় । এগুলো শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবেলার জন্য মুসলমানদের সঙ্ঘবদ্ধতা ও প্রকৃত ইসলাম চর্চা করা প্রয়োজন । মুসলমানদের একটি শক্ত প্ল্যাটফর্ম হতে পারত তবলীগ জামায়াত । কিন্তু তারা ইসলাম চর্চা ও নিজেদের ভেতর দাওয়াত কার্যক্রম চালিয়ে থাকে । গঠনমূলক সমালোচনা কিংবা যুক্তিতর্কে এরা খুব কমই অংশগ্রহণ করে থাকে । এদের জনসংখ্যা অনেক কিন্তু অনেক দিক থেকেই অকার্যকর । আরেকটা প্ল্যাটফর্ম হতে পারত বিভিন্ন পীর ও তাদের মুরিদসমাজ । কিন্তু অধিকাংশ পীর-মুরিদ শুধু নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে মগ্ন । তাদের কথা ও কাজ ভ্রান্তিতে পরিপূর্ণ । তাই তারাও ইসলামের জন্য যোগ্য প্ল্যাটফর্ম হতে পারে না । বাকি রইল ইসলামিক দলগুলো । তাদের মধ্যে কিছু দল জঙ্গিবাদের প্রসুতির ভুমিকায় অবতীর্ণ । ভ্রান্ত কথা আর জাল হাদিসের সমন্বয়ে নিয়ত প্রলাপের উপহাস তারা বানিয়ে ছাড়ছে ইসলামকে । তবে তাদের কথা বলার মত শক্তি ও সাহস আছে । যুক্তি প্রয়োগের মত বুদ্ধিও আছে । যা প্রথমোক্ত দুই দলের মানুষের মাঝে নেই । তাদের প্রকৃত সংশোধন প্রয়োজন । জাল হাদিস ও খোঁড়া যুক্তির বাতিলিকরণের মাধ্যমে তাদের শুদ্ধায়ন হলে মুসলমানরা একটা প্রকৃত প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতে পারবে বলে আমি মনে করি । এখন প্রশ্ন হল , এই পরিশুদ্ধ দল যদি সত্যি সত্যি গঠন করা যায় তাহলে তারা রাজনীতিতে গিয়ে কি করবে ? রাজনীতিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যই হল সরকার গঠন করা । তারা নির্বাচিত হলে সরকার গঠন করবে । সব দুর্নীতি, অনিয়ম , সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করবে এবং ইসলাম ও তার পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মকেও একটা সত্যিকার শ্রদ্ধার আসনে উপবিষ্ট করবে । অবশ্যই এই দল হতে হবে রাজাকার , দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীমুক্ত । তাই বলে ভাববেন না যে আমি নিজেই একটা নতুন ইসলামিক দল খোলার পায়তারি করছি । আমি শুধু একটা দাবির সপক্ষে নিজের যুক্তিকে তুলে ধরতে উপরিউক্ত আলোচনার অবতারণা করেছি যে , “ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ নয় , এর প্রকৃত সংশোধন চাই” ।
এবার ব্লগার রাজীব ওরফে থাবা বাবা হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে আসি । উনি যা করে গেছেন তা কোন সুস্থ বিবেকবোধসম্পন্ন মানুষ করতে পারে না । মৃত মানুষের সমালোচনা করা উচিত নয় জানি তবুও এই লোকটির সমালোচনা করতে বাধ্য হচ্ছি । তার ব্লগ পড়তে গিয়ে আমার এক অজ্ঞেয়বাদী বন্ধু পর্যন্ত তার সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন । যাই হোক শত হলেও তিনি মানুষ ছিলেন । তাই অবশ্যই তার হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়া প্রয়োজন । তার খুনি এখনো অজ্ঞাত । তাই এই মুহূর্তে কাউকেই তার খুনি হিসেবে উপস্থাপন করা মূর্খতার শামিল । এখানে আমি আরেকটা বিষয়ের সমালোচনা করতে চাই তা হল ব্লগার রাজীবকে শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করা এবং তার জানাজার নামাজ পড়ানো । জানাজা শুধুমাত্র মুসলমানেরই হতে পারে অন্য কারো নয় । তাছাড়া তার নামাজে জানাজার নামাজের নিয়ম কানুনও মানা হয়নি । আর তাকে শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করায় আমি মনে করি তাতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং ভাষাশহিদদের অপমান করা হয় । শহীদ উপাধি অনেক সম্মানের একটা ব্যাপার । দেশের স্বার্থে যার তেমন কোন অবদান নেই তাকে শহীদ বলে আখ্যায়িত করা হলে শহীদদের অপমান করা হয় । যাই হোক “ব্লগার রাজীবের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই” ।
এবার সকল নাস্তিক ব্লগারদের নিয়ে কিছু কথা বলি । আশা করি তারা এটাকে একটু গুরুত্বের সাথে নিবেন । আমি জানি সব নাস্তিক ব্লগার ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন না । এগুলো করে থাবা বাবা , আসিফ মহিউদ্দিনের মত ব্লগাররা । অভিজিৎ রায়ের লিখার আমি প্রশংসা করি । আপনারা অনেকেই জানেন যে আমি ব্লগে আত্নপ্রকাশ করি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ লিখার জন্য । আমার আগ্রহ বিজ্ঞানেই , অন্য কিছুতে খুব একটা নেই । রাজনীতি আমার অতি অপ্রিয় একটা জিনিস । তো বিজ্ঞান বিষয়ক পোস্ট লিখার জন্য আমার প্রথম পছন্দ ছিল মুক্তমনা ব্লগ । কিন্তু পোস্টগুলো পড়ে যা বুঝলাম এখানে লিখা আমার পক্ষে অসম্ভব । কারণ এখানে বিজ্ঞান বিষয়ক লিখার চেয়ে বিজ্ঞানের যে ব্যাপারটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষীক তা প্রকাশ করাটাই মুখ্য বলে আমার মনে হয়েছে । ভাল লিখা খুব কমই আসে । তার চেয়ে বড় কথা এখানে ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের বিরোধিতার ভাষা এতটাই অমার্জিত যে কোন আস্তিকের পক্ষে এখানে অবস্থান করাটা ভীষণ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় । ঠিক আছে আপনি নাস্তিকতার পক্ষে যুক্তি প্রদান করুণ আমিও মুক্তমনা হয়ে সে যুক্তিখন্ডন করুন তাতে আমার কোন আপত্তি নেই । একটা কথা মাথায় রাখবেন যে নাস্তিক না হয়েও মুক্তমনা(free thinker) হওয়া যায় এবং আমি সে দলেই । আমি আপনাকে এমন উদাহরণ দিতে পারব যে কিনা মুক্তমনা হবার পর তার ধর্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে । আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ যে , কোন ধর্মকে অপমান করবেন না । আমাদের কাছে ধর্ম অনেক পবিত্র একটা ব্যাপার । ধর্ম যদি আপনার গাত্রদাহের কারন হয় তো সহনশীলতার সলিল দিয়ে সে জ্বলনকে নিভিয়ে ফেলুন । আর যদি তাতেও জ্বলন নির্বাপিত না হয় তাহলে আপনার নাস্তিক বন্ধুটির সাথেই তাপ সঞ্চালনে অংশ নিন । কোন ধার্মিকের কিংবা কোন মিডিয়ার সাথে এগুলো প্রকাশ করবেন না । আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন , কোন যুক্তি থাকলে দেখাতে পারেন কিন্তু সবই হতে হবে শালিনভাবে । এদেশে কোন অশালীনতার সুযোগ নেই । আমরা অসভ্য নই , একটা সভ্য জাতি , এই জিনিসটা মাথায় রাখবেন । যা করেছেন ইতোমধ্যে সব মুছে ফেলুন , সুস্থ যুক্তি ও সুন্দর বিজ্ঞানের চর্চা হোক ঘরে বাইরে । নাস্তিক , হিন্দু , মুসলিম সবার মাঝেই । মত প্রকাশের অধিকার আছে সবার , কিন্তু তা হতে হবে শালীনভাবে । তাই বলতে পারি , “মত প্রকাশে শালীনতা চাই” ।
এবার পঞ্চম প্রসঙ্গটির অবতারণা করতে চাই । শিবির ও লীগের হামলা নিয়ে কি আর বলব । রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি ছাড়া আর কিছুই নয় । লীগের একটা সুবিধা হল আন্দোলনের ফলে তাদের পাপের বোঝা কিছু কমল । শিবিরের উপর নৃশংস হামলার পড়েও জনগণের কাছে তারা বাহবা পাচ্ছে । শিবির কর্মীরা অনেক খারাপ । ওরা মানুষের রগ কাটে , ইসলামের নামে সাধারন মানুষের উপর নির্যাতন চালায় । এখন দেখছি ছাত্রলীগের রাস্তাও একই দিকে । শিবিরের নামে যেসব প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটতরাজ চালানো হচ্ছে তা কি আইনসম্মত ? তা কি মানবতাবিরোধি নয় ? ওখানে এমন অনেকেই পেটের দায়ে কাজ করছেন যারা শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত নন । আর শিবিররা নির্বিচারে পুলিশদের উপর হামলা চালাচ্ছে । পুলিশ কি দোষ করল ? তারা তো সরকারের হাতের পুতুল । সরকার যা বলে তাই তাদের করতে হয় । আর পুলিশের সামনে লীগের লোকজন মারপিট করে আর পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে । যেন ফুটবল খেলা হচ্ছে আর পুলিশ সাইড বেঞ্চে বসে আছে । সিলেট , চট্টগ্রাম , রাজশাহীসহ দেশের যেসব স্থানে শিবিরকর্মীরা গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর করেছে তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি । সিলেটে শহীদ মিনারের প্রাচীর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি যে অবমাননা করা হয়েছে তার সুতিব্র প্রতিবাদ জানাই । এসব ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিচার কামনা করছি ।
এবার ষষ্ঠ ও সর্বশেষ প্রসঙ্গে আসি । শিবির প্রসঙ্গে অনেক কিছুই বলা সম্ভব । ভাল দিক খুব কমই আছে । একটি হল তারা নিজেদের মধ্যে খুব সুশৃঙ্খল । শিবিরের সাথে রয়েছে অনেক মেধাবী মুখ । তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো খুব সুশৃঙ্খল উপায়ে পরিচালনা করা হয় । প্রথমত শিবিররা মওদুদীপন্থী । সাইয়েদ আবু আলা মওদুদী প্রথমদিকে খুব ভাল একজন আলেম ছিলেন । তার তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা ছিল । কিন্তু তার রচিত একটি বইয়ে তিনি কয়েকজন সাহাবী বিশেষ করে হযরত মুয়াবিয়া (রা) কে নিয়ে সমালোচনা করেন । কোন সাহাবীর দোষচর্চা ও সমালোচনা করা ইসলামে হারাম । এছাড়াও তার তাফহীমুল কোরআন গ্রন্থে তিনি সুক্ষভাবে কিছু অপব্যাখ্যা প্রদান করেছেন যা ভুল বলে প্রমাণিত । তাছাড়া ইসলামী দল হবার পড়েও তারা বিএনপির নেতৃত্বে তাদের সাথে জোট বেঁধে নির্বাচনে অংশ নেয় । কিন্তু ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম । তারা বহু হাদিস ও কোরআনের আয়াত জাল করে প্রচার করে যা ইসলামের জন্য হুমকিস্বরূপ । তারা ধর্মযুদ্ধকে অন্তরের জিহাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে যা ভুল । মুসলমানের সাথে মুসলমানদের কখনো জিহাদ হয় না । আর কাফেররা যদি কোন মুসলিম রাষ্ট্র আক্রমণ করে তখনি কেবল জিহাদ করা কর্তব্য হয়ে পড়ে । আবার বলবেন না যেন তাহলে তো মুক্তিযুদ্ধই হারাম হয়ে যায় ? মুক্তিযুদ্ধ হারাম নয় এজন্য যে ইসলামে বলা হয়েছে অন্যায় কাজ দেখলে তার প্রতিবাদ করার জন্য । নিঃসন্দেহে পাকিস্তানীরা আমাদের উপর নির্যাতন করেছে । এর প্রতিবাদ অবশ্যই প্রত্যেকের জন্য করণীয় ছিল । সুইসাইড হামলা ইসলামে নিষিদ্ধ । কারণ আত্নহত্যা মহাপাপ । কোন সাহাবীই কোন সুইসাইড মিশনে অংশ নেন নি । আরেকটি বাজে ব্যাপার হল শিবিরের নির্লজ্জ মিথ্যাচার । তারা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যাচার চালাচ্ছে । সংবাদ যেখান থেকেই গ্রহণ করেন না কেন একটু যাচাই করে দেখবেন । যাই হোক শিবিরকে নিয়ে অনেক কিছুই বললাম । বিস্তারিত জানতে ভাল কোন আলেমের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন । কিংবা তকী উসমানীর লিখা “ ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মুয়াবিয়া (রা)” এবং “ভুল সংশোধন” নামক বই দুটি পড়ে দেখতে পারেন । এখন প্রশ্ন হচ্ছে শিবির কি নিষিদ্ধ করা উচিত কিনা ? আমার মনে হয় এই মুহূর্তে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিই জানানো উচিত । অন্য কোন দাবি এখন জানানো উচিত নয় । কেননা সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি নিশ্চিত করতে পারলে এমনিতেই শিবিরের শক্তি কমে যাবে । তখন তাদের সংশোধনের জন্য কিছুদিন সময় দেয়া যেতে পারে । এরপরও তাদের কোন পরিবর্তন না হলে জামায়াত শিবিরকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত । তাছাড়া এই দাবির মাঝে অন্য কোন দাবি পেশ করলে সরকার যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি নিয়ে টালবাহানা শুরু করে দিবে । ফলে দেখা যাবে আন্দোলনটাই মাঠে মারা যাবে ।
চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে এ কয়দিনের ঘটনা বিচার করতে । ব্লগটাতে কোন অস্পষ্টতা থাকলে প্রশ্ন করার আহ্বান জানাচ্ছি । ধন্যবাদ সবাইকে ।
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×