বাতাস বহিছে ভীষণ
এই গভীর রাতে
শিহরণ জাগানিয়া ভয়ের স্রোত
নিকষ কালো আঁধারে
শনশন শনশন শব্দ
ঝড় আসছে, আসছে উত্তাল ঢেউয়ের স্রোত
......
-মাঝি ও মাঝি.... আমায় নিয়ে চল
-কে কে ডাকে? কার এত সাহস দরিয়ার বুকে ঝড়ের গ্রাসে আত্না বিকোতে চায়
-আমি । মাঝি, আমি । কড়ি নাও, সোনা নাও , তবু মোরে ঐ পাড়ে লইয়া যাও
-এ আমার দ্বারা হবে না । সাত রাজার ধন এনে দিলেও পারব না
-এদিকে চেয়ে দেখ । আমার মুখখানা কি চিনতে পার?
-একি তুমি । একি হাল তোমার সখী । কি হয়েছে?
-ও কিছু না । আমি পালাতে চাই এ ছোট্ট জগত ছেড়ে । আমায় ওপার দেখাবে না মাঝি?
-তাই বলে এই ঝড়ের রাতে । না, আমি পারব না । অন্য কোন দিন হবে । আজ নয় ।
-না আমি আজই যাব । আমায় নিয়ে চল ।
প্রমত্তা স্রোতস্বিনী গর্জে চলছে । বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে সজোরে । মাঝি সেদিকে চাইল একবার । ফিরে চাইল কিশোরীর পানে ।
-মরবার সাধ হয়েছে বুঝি । ফিরে যাও ।
-মরতে নয় বাঁচতে চাই আমি । যা চাও দেব । আমায় বাঁচাও ।
-কি হয়েছে বল শুনি?
-আমি বলতে পারব না ।
কিশোরী ঝাঁপ দিল নদীতে । হারিয়ে গেল তার ছোট্ট দেহটা । নিকষ কাল জল তাকে মুহূর্তেই গ্রাস করে নিল ।
মাঝিও ঝাঁপ দিল । তবে আর খুজে পেল না কিশোরীকে সেই প্রমত্তা স্রোতের ভেতর ।
অবাক মাঝি তীরে ফিরে এল । হতাশা তাকে গ্রাস করল । কি হয়েছিল মেয়েটার? কেউ কি ছুঁয়েছিল তাকে । জোর করে কাপড় খুলে নগ্ন বক্ষে নোংরা হাতের আঙুল চালিয়েছিল আর হাসতে হাসতে নোংরা মুখে চালিয়েছিল অশ্রাব্য নোংরা স্তুতি ।
নাকি কিশোরী মেয়েটি কোন এক সুন্দর যুবকের হাত ধরে গিয়েছিল আর বহন করছিল তার পাপের বীজ নিজ উদরে ।
নাকি তার সুন্দর মুখে কেউ এসিড বিষের মরণ কামড় এঁকে দিয়েছিল ।
নাকি কোন এক আততায়ী তার স্বপ্ন ভেঙ্গে তাকে করেছিল নিঃস্ব ।
...............
এরকম অসংখ্য উত্তর হতে পারে ছোট্ট এই ঘটনার যার উত্তর কেউ জানে না ।