প্রতিটি পরিবারেই ছোট-বড় সমস্যা লেগেই থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। কোন পরিবারে আর্থিক সমস্যা আবার কোথাও শ্বাশুরী - বৌ যুদ্ধ। আবার অনেক পরিবারে স্বামী তার স্ত্রীকে সময় দিতে পারেন না। অনেক পরিবারে আবার স্ত্রী স্বামীকে বোঝার চেষ্টা করেন না। অনেক স্বামী আবার স্ত্রীর যৌন চাহিদ ঠিকমত পূরণ করেন না। আবার অনেক স্ত্রী এত বেশি লজ্জা পায় যে তার স্বামী স্ত্রীর কাছে যৌন সুখ পান না। অনেক স্বামী আবার স্ত্রীকে পড়াশোনা করতে দিতে চান না, তার ধারনা, এতে তার স্ত্রী বড় অফিসার হবে, এতে পরে সংসারে বেশি নাক গলাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরকীয়া করবে। আবার স্ত্রী সবসময়ে চিন্তিত থাকেন, যে আমি সুন্দর না, আমি আকর্ষণীয় না, হয়ত আমার স্বামী আমাকে পছন্দ করে না, কিংবা অফিসে পরকীয়া করে। এ ধরনের হাজারও সমস্যা। সমস্যার তালিকা করা শুরু করলে, তা শেষ করা কঠিন হয়ে পরবে।
যৌথ পরিবারগুলোর কথায় পরে আসছি। আসলে স্বামী ও স্ত্রী, এ দুজনকেই নিয়ে একটি পরিবার গড়ে ওঠে। এবং পরে তাদের ঘরে আসে সন্তান। স্বামী-স্ত্রীর এ যুদ্ধ তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ঠেলে দেয় এক অনিশ্চয়তার মাঝে।
এ সমস্যার তাহলে সমাধান নেই? কেন থাকবে না। অধিকাংশ সমস্যারই সমাধান আছে। প্রথমেই তারা নিজেদের মাঝে গঠনমূলক আলচনা করে সমাধান করে নিতে পারেন। প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলচনা করা উচিৎ। নিজেরা কোন সমাধান না পেলে, অন্য কারও সাথে আলচনা করা যেতে পারে। তবে এ আলোচনা হতে হবে গঠনমূলক। কোন অভিযোগের নয়।
মনোবিদদের পরামর্শ নেয়া। এটা আরও একটি বড় সমাধান। আমরা নিজেরা অনেক সমইয়ে অনেক কিছু ঠিকমত বুঝতে পারি না। কিন্তু একজন মনোবিদ প্রায়শই অনেকের সাথে আলচনা করে থাকেন, তারা এগুলো নয়ে প্রচুর গবেষণা করে থাকেন। সুতরাং দেখা যেতে পারে, অনেক ভাল সমাধান তাদের কাছ থেকে আসতে পারে।
সমধানের আরও একটি উপায় হল, আইনজীবীদের পরামর্শ নেয়। বর্তমানে পারিবারিক বিষয় ও সমস্যা দেখেন, এমন অনেক আইনী সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। যাদের কাছে আপনি পেতে পারেন, সুপরামর্শ।
আমাদের শুধু বিশ্বাস রাখতে হবে, যে আমরা সমাধান করতে পারব। ইতিবাচক মনভাব রাখতে হবে। লজ্জা পেলে চলবে না।
আর অবশ্যই স্রষ্টার কাছেই প্রার্থনা করতে হবে। কেন না, তিনিই সকল সমাধানদাতা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩