আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কয়েকটি কথা বলতে চাই-
১) অঞ্চলভেদে, সম্প্রদায়ভেদে নারীরা কোথাও মুক্ত, কোথাও শৃঙ্খলিত।
২) ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে নারীরা মুক্ত, পুরুষরা নারীদের পরাধীন। পুরুষরা বাড়ির কাজকর্ম দেখেন। আর নারীরা বাজার-হাট, দোকান-পাট সব চালান এবং তাঁরাই রোজগার করেন। এবং পুরুষরা ও নারীরা প্রায়শই বহুগামী।
৩) গো-বলয় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নারীরা পুরুষতান্ত্রিকতার বেড়াজালে আবদ্ধ।
৪) এদেশের অবাঙালি মুসলিম সমাজে নারী স্বাধীনতার অত্যন্ত অভাব। তাদের বোরখা পরতে হয়। তাদের ওপর দেওর থেকে শ্বশুর যৌন-নিপীড়ন করলে তাও সহ্য করতে হয় প্রতিবাদহীনভাবে।
৫) বড় বড় সমাজবিরোধীর প্রত্যেকেই জাত-ধর্ম-নির্বিশেষে একাধিক বউ রাখে। বেশ কয়েকজন রক্ষিতা পোষে। ক্যাবারে-বারে রাত কাটিয়ে আসে।
৬) সাধারণভাবে ধনী পরিবারের মেয়েরা চূড়ান্তভাবে স্বাধীন। না রান্না-বান্নার দায়িত্ব আছে, না ঘর সামলাবার দায়িত্ব আছে। এমনকী যৌনতার বিষয়েও তারা অতি-স্বাধীন বা উচ্ছৃঙ্খল।
৭) গরিব সমাজে যে সমস্ত মেয়েরা ইট-ভাটায় কাজ করে, বাড়ি বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে, রাঁধুনির কাজ করে, জন খাটে তাদের অনেকেই অত প্রচলিত প্রথা না মেনেই এক পুরুষসঙ্গীকে বেছে নেয়, সংসার পাতে। আবার এককথায় পুরুষ বা নারীটি তাদের সংসার ভেঙে দিয়ে নতুনের সঙ্গে বাসা বাধে।
৮) মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীরা না ঘরকা, না ঘাটকা। তারা নারী-পুরুষের সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করতে জানে না। তারা পরিবারের পুরুষদের সঙ্গে বা আত্মীয়-পুরুষদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে ওস্তাদ।
৮) অভিনয় জগতের আর মডেলিং জগতের প্রায় সব মেয়েরাই দেহবিক্রি করে উপার্জন করে।
এই মুহূর্তে এই বঙ্গে রাজনৈতিক মস্তানদের এতই রমরমা বাজার যে তারা যখন-তখন যে কোনও নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। তাদের শ্লীলতাহানি করে, তাদের ধর্ষণ করে, তাদের খুনও করে। পুলিশ কিছু করে না অপরাধী শাসক দলের হলে।
আজকের দিনে নতুন করে শপথ নেওয়ার কিছু নেই। কারণ প্রতিটি দিনের মতোই আজকেও একটি দিন। আমরা চাই, পুরুষরা নারীদের সম্মান করবে, নারীরা পুরুষদের সম্মান করবে।
http://www.srai.org/womens-day-2016/
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯