somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রচলিত বাংলা সন প্রকৃতপক্ষে বাদশাহ আকবরের প্রবর্তিত ফসলী সন। যারা একে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে তারা নেহায়েত গণ্ডমূর্খ। আর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান মজুসী, মুশরিক, হিন্দু ও বৌদ্ধদের অনুষ্ঠান। যা পালন করা কুফরী

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সূচনা:
আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে সম্মানিত ইসলাম।’ তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।”
ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে বাদশাহ আকবর নিজে বাঙালি বা বাংলাদেশী বা তার মাতৃভাষা বাংলা ছিলো না। আর বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন প্রকৃতপক্ষে মোগল বাদশাহ আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত ফসলী সন।
তাহলে কি করে তার প্রবর্তিত ফসলী সন বাংলা সন ও বাঙালিদের সন হতে পারে ???


আবার, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হচ্ছে মজুসীদের নওরোজ পালনের অনুষ্ঠান। সাথে সাথে হিন্দু-মুশরিকদের ঘটপূজা, বৌদ্ধদের উল্কি অঙ্কনের দিন। ফলে তারা নওরোজ বা নববর্ষ পালন উপলক্ষে পান্তা খায়, গানবাজনা করে, র‌্যালী করে, জীব-জানোয়ারের মুখোশ পরে, মিছিল করে, শরীরের নানা অঙ্গ-প্রতঙ্গে উল্কি আঁকে, ডুগডুগি বাজিয়ে নেচে নেচে হৈহুল্লোড় করে, পুরুষরা ধুতি ও কোণাকাটা পাঞ্জাবী যা হিন্দুদের জাতীয় পোশাক তা পরে, মেয়েরা লাল পেড়ে সাদা শাড়িসহ হাতে রাখি বাঁধে, শাঁখা পরে, কপালে লাল টিপ ও চন্দন এবং সিথিতে সিঁদুর দেয়, বেপর্দা, বেহায়া হয়।
এসবই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
তাহলে মুসলমানগণ কী করে পহেলা বৈশাখ পালন করতে পারে ???
……………………………………………………………………………………………………………………..
বিস্তারিত:
ফসলী সন গণনা শুরু হয় ৯৬৩ হিজরীতে। আর উদ্ভব ঘটে ৯৯৩ হিজরীতে। যা ৫০০ বছরও অতিবাহিত হয়নি। তাহলে তা কি করে হাজার বছরের ঐতিহ্য হতে পারে?
উল্লেখ্য, মূর্খতা ও অজ্ঞতার একটা স্তর থাকা উচিত। মূর্খ ও অজ্ঞ সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক দাবিদার লোকদের দ্বারা ইতিহাসকে বিকৃত করা ও বিকৃত ইতিহাস বর্ণনা করা ব্যতীত আর কি আশা করা যেতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে মোগল সম্রাট আকবর (শাসনকাল ১৫৫৬ হতে ১৬০৫ ঈসায়ী সন) ইসলামবিদ্বেষী হওয়ার কারণে পবিত্র ইসলামী সন অর্থাৎ পবিত্র হিজরী সন থেকে মুসলমানগণ উনাদেরকে সরিয়ে দেয়ার জন্য বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দিল্লির সম্রাট আকবর ৯৬৩ হিজরীর ২রা রবীউছ ছানী, রোজ জুমুয়াবার, ইংরেজি ১৪ এপ্রিল ১৫৫৬ সন থেকে পহেলা বৈশাখ গণনা শুরু করে। ওই দিন সম্রাট আকবরের সিংহাসনে অভিষেক হয়। সে দিনটিকে স্মরণ রাখার জন্য সম্রাট আকবর তার সাম্রাজ্যে সর্বত্রই পবিত্র হিজরী সনের পরিবর্তে সৌর বৎসর পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিভাবে দিনটির ক্ষণ শুভ হবে তা গণনার জন্য রাজসভার অন্যতম নবরত্ন সদস্য ও রাজ জ্যোতিষী আমীর ফতেউল্লাহ সিরাজীর উপর দায়িত্ব পড়ে।
সিরাজী সামাজিক ক্ষেত্রে ও ফসলের মৌসুমের দিকে লক্ষ্য রেখে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থের নামে হিজরী সনের পরিবর্তে ঋতুভিত্তিক সৌর সনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে পবিত্র হিজরী সনকে ‘ফসলী সন’ হিসেবে চালু করে। পরবর্তীতে সে ফসলী সনকে মূর্খ ও অজ্ঞ লোকেরা বাংলা সন হিসেবে প্রচার ও প্রচলন করে। এতদ্বসংক্রান্ত বাদশাহ আকবরের নির্দেশনামা জারি হয় ৯৯৩ হিজরী, ৮ই পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মুতাবিক ১০ মার্চ ১৫৮৫ খ্রিস্টাব্দে এবং তা কার্যকর করা হয় সম্রাটের সিংহাসন আরোহণের স্মারক বর্ষ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দ মুতাবিক হিজরী ৯৬৩ চন্দ্র সনকে ৯৬৩ বাংলা সৌর সনে রূপান্তরিত করার মধ্য দিয়ে।
পহেলা বৈশাখ ফসলী (কতিথ বাংলা) সনের প্রথম দিন। দিনটি পালিত হচ্ছে বাঙালীর ঐতিহ্য ধরে রাখার চেতনা হিসেবে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যাদি পরিচয়ের বাইরে আলাদাভাবে এ বাঙালী পরিচয়ের দাবী। কিন্তু পহেলা বৈশাখ উদযাপনকারীরা একদিকে যেমন জানেনা যে, ফসলী (কতিথ বাংলা) সনের ‘সন’ কথাটি আরবী। ‘পহেলা’ শব্দটি ফারসী। আর হালখাতা শব্দতো প্রকাশ্য মুসলমানী। তারা আরো মালুম করতে চায় না যে, চৈত্র সংক্রান্তি পালনের পর পহেলা বৈশাখ ঘটপূজা, গণেশ পূজাসহ হিন্দুদের নিখাদ কিছু আচার পর্ব পালনের দিন। পাশাপাশি তা বৌদ্ধদেরও পূজা অর্পণের দিন। বার্মার বারো শতকের দি গ্লাস প্যালেন এনিকলে এ সংক্রান্ত ও বৈশাখী অনুষ্ঠানের উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। পহেলা বৈশাখ প্রাচীন বৌদ্ধ ক্যালেন্ডারে এক বিশেষ স্থান করে আছে। বার্মা, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নথিপত্রে তার উল্লেখ রয়েছে।
সুতরাং পহেলা বৈশাখকে যারা সার্বজনীন বাঙালী উৎসব বলে, ধর্মীয় প্রেক্ষিতের থেকে আলাদা করে বর্ণনা করতে চায় তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করে।
এ মহলটির অজ্ঞতার সীমাহীন আরেক স্পর্ধা এই যে, এক্ষেত্রে তারা অন্যসব ধর্মের সাথে ইসলামকেও গুলিয়ে ফেলে। মুসলমানকেও একই মাপে মূল্যায়ণ করে। তাতে অবশ্য মুসলমান নামধারীও অনেকে আছে। সুযোগ পেলে এরাই আবার Islam is the complete code of life উক্তি করতে ভুলে না।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, কোন বিষয়ই ও কোন কিছুই এবং কোন সময় বা সংস্কৃতিই ইসলামী পরিমন্ডলের পর্যবেক্ষণের বাইরে নয়। ইসলামের প্রেক্ষিত পর্যালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতিকে মুসলমানের জন্য ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যাবশ্যকতা ও তা মূল্যায়ণ ব্যতীত গত্যান্তর কোথায়?
মুসলমান হিসেবে কোন সংস্কৃতি বিচার্যের ক্ষেত্রে তার উৎস অনুসন্ধান তার স্বকীয়তা এবং মূল্যায়ন বজায় রাখাটা ইসলামের দৃষ্টিতে অনিবার্য।
পহেলা বৈশাখের উৎস অনুসন্ধানে হিন্দু আচার-সংস্কৃার বিশ্বাস ও লৌকিকতার বিশাল সম্ভারই কেবল নয় বরং তা হিন্দু সংস্কৃতির নিবিড় বন্ধন ও গভীর সম্পৃক্ত হিসেবেই উদঘাটিত, প্রতিভাত তথা প্রমাণিত হয়। এ সম্পর্কিত তথ্য-প্রমাণ বিস্তর।
প্রসঙ্গতঃ জনৈক হিন্দু লেখিকার নিম্নোক্ত স্বীকারোক্তিতেও তার অনেক কিছু ফুটে উঠে।
“পহেলা বৈশাখ দোর গোড়ায়। আরও একটি বৎসর শেষ হলো। মনে পড়ে ছোট বেলায় চৈত্র মাসের সংক্রান্তিতে কী ঘটা করে উৎসব চলত! পুরনো বৎসরের সমস্ত আবর্জনা দূর করার জন্যে সেদিন গ্রামের ঘরে ঘরে, বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ভেতর, বাড়িঘর হাঁড়িপাতিল কাপড়জামা ধোয়ার ধুম পড়ে যেত। ব্যবহৃত সব মাটির হাঁড়িপাতিল ফেলে দেয়া হতো সেদিন। প্রতিটি ঘর ঝাড় মোছ করে ঝুল ঝেড়ে, বিছানা চাদর কাপড় জামা সব সাবান সোডা দিয়ে পরিস্কার করে রোদে শুকাতে হতো। লেপ তোষক কাঁথাও সূর্যসেঁকা করতে হতো।
মাটির ঘর হলে ভাল করে মেঝে, রোয়াক ও উঠোন লেপে নিতে হতো। সেদিন বাড়ির মেয়েরা ঘরবাড়ি পরিস্কারে এতটা ব্যস্ত থাকত যে, রান্না হতো খুব সংক্ষিপ্ত। দিনের বেলা বেশির ভাগ বাড়িতে দই, চিড়া, মুড়ি খেয়েই কাটাত। রাতে নিরামিষ, বিশেষ করে তেতো ডাল, টক ডাল রান্না হতো। সেদিন স্নানের আগে দু’পায়ের ভেতর দিয়ে পেছন দিকে ছাতু ছিটিয়ে প্রতীকী শত্রু নিধন হতো অর্থাৎ শত্রুর মুখে ছাই দেয়া হতো।
চৈত্র মাস মহাদেবের বন্দনার মাস। এ মাস জুড়ে সারা বাঙলায় একসময় গাজন নাচ চলত। আমাদের বিক্রমপুরে আমরা বলতাম‘কালীকাছ’; শব্দটা যথার্থ কি না আমার এখনো সন্দেহ রয়েছে। অর্থও হয়না কিছু। তবু গভীর রাতে শিব ও কালী সেজে নৃত্যরত দল বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে উঠনে হ্যাজাক লাইটে তাদের প্রদর্শনী চালাত যে নামে, তাকে আমরা ছেলেবেলায় ‘কালীকাছ’বলেই জানতাম।
সারা চৈত্রমাস জুড়ে তারা আসত বাড়ি বাড়ি। গ্রাম থেকে বিভিন্ন দল আসত অন্য গ্রামে ও শহরে। চৈত্র মাসের যে কোন রাতে তারা আসতে পারে। পূর্ব ঘোষনা নিয়ে ঢোল করতালসহ তাদের নৃত্য পরিবেশিত হতো। মনে আছে, ছোটবেলা ঘুমন্ত আমাদের কখনো তুলে দিত মা কখনো বা ঠাকুরমা। কখনো আবার নিজ থেকেই ঘুম ভেঙ্গে যেত হারমনিয়াম আর ঢোলের বাজনায়।
চৈত্র মাসের দিনের বেলায় নীল পূজা হতো ঘটা করে। নীল পূজা মানে মহাদেবেরই পূজা। কোন কোন জায়গায় একে চড়ক পূজাও বলে। সেদিন সকালে ‘হারবিশু’ বলে পরিচিত শিব ও গৌরী সেজে জোড়ায় জোড়ায় দম্পতি আসত লোকের বাসায়। গৃহকর্ত্রী তাদের পা ধুইয়ে দিয়ে, খাবার দিয়ে পরম যত্মআদর শেষে পড়শির বাড়ি পাঠিয়ে দিত। যাবার আগে সাথে দিয়ে দিত চাল, ডাল, আলু গৌরীর সাথে গৃহকর্ত্রী সিন্দুর আদান প্রদান করত চিরত্রয়োতী হবার আশায়। চৈত্র মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভেতর বিয়ে হয় না। নিষিদ্ধ মাস।
ফলে বিবাহোচ্ছুক ছেলেমেয়েরা বৈশাখের আশায় বসে থাকে। কর্ত্রি খরা শেষে বৈশাখ আসত নবজীবন নিয়ে নতুন আশা আকাঙ্খা নিয়ে। বৃষ্টির ধারায়, নতুনের জোয়ারে ভেসে যেত পুরনো জীর্ণ ও তপ্ত চৈত্রের বাসি দিনগুলো।
চৈত্রের শেষে বৈশাখের প্রথমে নতুন বছরকে বরণ করতে তখনো তো বাড়িতে বাড়িতে আনন্দ উৎসব হতো। সাধ্যমত ভাল
খাওয়া দাওয়া অর্থাৎ পোলাও গোশত, দই, মিষ্টি, পায়েস বছরের অন্তত এই দিনে চেষ্টা করত সকলেই যোগাড় করতে। সবার
ধারণা বছরের শুরুতে যা করা হবে, সারাবছর সেই সৌভাগ্যই ফিরে ফিরে আসবে। সেদিন তাই আমরা ছোট ছেলেমেয়েরা নতুন জামা কাপড় পরতাম।” (সূত্র: পুরবী বসূ, পহেলা বৈশাখ বাঙালী ঐতিহ্যের বাহক)
আর শুধু এক পূরবী বসু নয়, পহেলা বৈশাখ উদযাপনকারী অনেক মুসলমান নামধারী তথাকথিত প্রগতিবাদীদের রচনায়ও তাদের অজান্তেই স্বীকৃত হয়েছে যে, “পহেলা বৈশাখ হিন্দুদের পূজা আর আচার পালনের দিন সে প্রসঙ্গ। এমনকি পহেলা বৈশাখ সংস্কৃতির সাথে যে মুসলমানের সংঘাত রয়েছে সে সত্যও।”
নাস্তিক ওয়াহিদুল হকের কথা কে না জানে। অনেক বাঘা বাঘা নাস্তিক না পারলেও, এ নাস্তিক কিন্তু মৃত্যুর আগে তার লাশের জানাজা ও দাফন করতে নিষেধ করে গিয়েছিলো। মৃত্যুর পর লাশ দেয়া হয়েছিলো ঢাকা মেডিকেলের মর্গে।
যাই হোক, চরম ইসলাম বিদ্বেষী, আধা হিন্দু ওয়াহিদুল হক চেয়েছিলো সব মুসলমানরা ইসলাম বিরোধী হয়ে যাক। সবাই তার মত ইসলাম ত্যাগ করে হিন্দুয়ানী নাস্তিক হয়ে উঠুক। তাই সে ও তার বউ (রবীন্দ্রসংগীত গায়িকা) সানজিদা খাতুন মিলে ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে (আসলে বটগাছ নয় অশ্বুথ গাছ) পহেলা বৈশাখে ‘বর্ষবরণ’ নামক এক অনুষ্ঠান শুরু করে। আর বলে ‘এটা হলো হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতি’। ব্যস হুজুহে মাতাল বাঙালী লাফ দিয়ে পরে। ইসলামত্যাগীদের অনুসরণ করে জড়ো হতে থাকে সেই বটমূলে। ভাবখানা এমন যে, ঐদিন রমনায় উপস্থিত হতে না পারলে বাঙালীত্ব কাটা যাবে।
আসলে ওয়াহিদুল হক ও তার সমমনা ছায়ানটের সদস্যরা প্রত্যেকই চরম ইসলাম বিদ্বেষী। মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরাতেই তাদের এ কার্যক্রম। এখনও ওয়াহিদুল হকের ভাতিজি মিতা হক বোরকা পরিহিতা নারীদের বাঙালী হিসেবে মেনে নিতে চায় না। সবসময় মাথায় বড় টিপ দিয়ে, লাল পেড়ে শাড়ি পরে হিন্দুপতিতা সেজে থাকে। আর বেকুব মুসলমানরা ঐ নাস্তিক আর হিন্দু ওয়াহিদুল হক গংকে অনুসরণ করে বটমূলে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়।
হাদীস শরীফে আছে কেয়ামতের ময়দানে প্রত্যেককে তার ইমামসহ ডাকা হবে। তাই যারা ওয়াহিদুল হককে অনুসরণ করে এ পহেলা বৈশাখ পালন করবে, বটমূলে যাবে তাদেরকেও কিয়ামতের ময়দানে ডাকা হবে তাদের নেতা ওয়াহিদুল হকের অনুসারি হিসেবে। তখন জাহান্নামের কঠিন আগুন ছাড়া তার কোন উপায় থাকবে না।
সর্বশেষ:
একজন মুসলমান পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিকোণ থেকে শুধু পহেলা বৈশাখ কেন কোনো নববর্ষই পালন করতে পারে না। কারণ মুসলমানগণ উনাদের জন্য কাফির, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী, ইহুদী ও নাছারাদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা কাট্টা হারাম ও শক্ত কুফরী। তাই মুসলমানরা পহেলা মুহররম শরীফও পালন করে না।
মুসলমানগণ উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে পহেলা বৈশাখের নামে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার অনুষ্ঠান ও তার মধ্যে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রকার পাপাচার থেকে বিরত থাকা। সাথে সাথে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নামে সন্ত্রাসবাদ, বোমা হামলাসহ সব ধরনের নাশকতা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলোও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে শক্ত ও কঠিন হারাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্য থেকে যারা বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব বা মুহব্বত রাখবে তারা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত বলেই গণ্য হবে।
পাশাপাশি- বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ মানুষের দ্বীন হচ্ছে সম্মানিত ইসলাম; তাই বাংলাদেশ সংবিধানের ২নং ধারায় বর্ণিত রাষ্ট্রদ্বীন হচ্ছে সম্মানিত ইসলাম। তাহলে বাংলাদেশে কী করে বিজাতীয় সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখসহ সর্বপ্রকার ইসলামবিরোধী কাজ গ্রহণযোগ্য হতে পারে?
অতএব, ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সরকারিভাবে পহেলা বৈশাখসহ সমস্ত ইসলামবিরোধী কাজ বন্ধ করে দেয়া এবং সরকারিভাবেই পহেলা বৈশাখসহ সমস্ত ইসলামবিরোধী কাজ থেকে মুসলমানদের বিরত রাখা। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- মুসলমানদেরকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পালনে ও ঈমান হিফাযতে অর্থাৎ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার উপর ইস্তিক্বামত থাকার ব্যাপারে সর্বোতভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করা।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমাকে লিখলাম প্রিয়

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০১


ছবি : নেট

আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

×