প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি....
ভেবেছিলাম স্বাধীনতার পর পিঠের কাঁটাতারের ক্ষতটা শুকাবে।
ভেবেছিলাম খরার অভিশাপ কাটিয়ে প্রতিটি শস্য খেত পরিনত হবে প্লাবন ভূমিতে।
লাঙলের আড়ষ্টতা কাটিয়ে কৃষকের নিপুন হাতে শুকনো মাঠ হয়ে উঠবে শস্য-শ্যামল।
শস্য খেতই হবে আমাদের প্রধান তীর্থভূমি।
কোন এক সন্ধ্যায় রাখালিয়া পুনর্বার বাঁশিতে হাত রেখে বাঁধবে নতুন সুর।
প্রত্যেক কৃষক তার ফসলের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে।
ঘরে ঘরে পালিত হবে সাড়ম্বরে নবান্ন উৎসব।
গাছেদের শাখায় শাখায় ফুল-ফলের প্রত্যাশা নিয়ে নতুন করে গজিয়ে উঠবে কচি কচি পাতা।
পাখিরা এসে বসবে গাছের ডালে ডালে নীড় বাঁধার নতুন স্বপ্ন নিয়ে; সমগ্র বনবিথী জুড়ে তৈরি হবে এক উৎসবের মহা বিচ্ছুরণ।
আশা করেছিলাম শিকারীর তাক করা বন্দুকের দিকে তাকিয়ে কোন পাখিকে সংশয়ে উড়ে যেতে হবেনা।
আশা করেছিলাম সমস্ত প্রাণীকুল ব্যাধের শরের আঘাত যন্ত্রণা থেকে মুক্তি লাভ করবে।
পঞ্চাশ পেরিয়ে স্বাধীনতা এখন একান্ন বছরে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ।
ঐক্যবদ্ধতার বদলে রাস্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এখনো চলছে বিভাজনের রাজনীতি!
এখনো বিদিশার নিশার মতো আমাদের দেশে ঘোর অমানিশার অন্ধকার।
তবুও ভালো থেকে প্রিয় জন্মভূমি।
ভালো থেকো আমার বাংলাদেশ।
(পুরনো পোস্ট, সামান্য এডিট করা)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



