ঈশ্বরের সন্ধানে......
সব ধর্ম অনুযায়ীই তাঁদের ঈশ্বর এই পৃথিবী এবং সমগ্র মানবজাতির স্রষ্টা। মানুষের কথা পরে হবে, আগে পৃথিবী সম্পর্কে কিছু জেনে নিই।
সবাই জানি যে পৃথিবী হলো সূর্য নক্ষত্রের একটি গ্রহ। তা এই সূর্য তার সব গ্রহ- উপগ্রহ নিয়ে (ছায়াপথ) বা Milky Way নামক নক্ষত্রপুঞ্জের (Galaxy) অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি অংশ। বর্তমান হিসেব অনুযায়ী ঐ নক্ষত্রপুঞ্জের মূল চক্র এবং ছটাপুঞ্জ মিলিয়ে প্রায় চল্লিশ হাজার কোটি নক্ষত্র আছে, যার মধ্যে অনেকে সূর্যের চেয়েও বড়ো। এই নক্ষত্রপুঞ্জের ব্যাস এক লক্ষ আলোকবর্ষ ।
এক আলোকবর্ষ বলতে বোঝায় ৯৪৬০৮ ০০ ০০০ ০০০ কিলোমিটারের কিছু কম দূরত্ব।
পৃথিবী থেকে সূর্য পনেরো কোটি কিলোমিটার দূরে এবং ছায়াপথ নক্ষত্রপুঞ্জের মূল কেন্দ্র থেকে সূর্যের দূরত্ব কমবেশি ত্রিশ হাজার আলোকবর্ষ। যখনই আলোকবর্ষের কথা বলব তখনই একবার এক আলোকবর্ষ কত কিলোমিটারের সমান একবার চোখ বুলিয়ে নিন।
এখানেই শেষ নয়। আমাদের এই নক্ষত্রপুঞ্জ আবার অনেকগুলো নক্ষত্রপুঞ্জের সঙ্গে মিলে যে মহানক্ষত্রপুঞ্জ (Clusters of Galaxy) তৈরি হয়েছে তার অংশ!
এখানেও শেষ নয়। এইরকম মহানক্ষত্রপুঞ্জ মহাশূন্যে কোটি কোটি আছে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা যন্ত্রের মাধ্যমে যতদূর দেখতে পাচ্ছেন বা হিসেব করছেন কোনোদিকেই শেষ দেখতে পাচ্ছেন না! আমাদের পৃথিবী মহা মহা মহাবিশ্বের তুলনায় একটা বালিকণার এক কোটি ভাগের এক ভাগেরও ছোটো!
কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে এবার আমরা ফিরে আসি আমাদের পৃথিবীর মাটিতে।
বৈজ্ঞানিকভাবে পৃথিবীর বয়স আনুমানিক সাড়ে তিনশো থেকে চারশো কোটি বছর। আর আমরা মানুষেরা আমাদের চেহারার এই বর্তমান আকার, (যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স বলে) সেই আকার পেয়েছি কয়েক লক্ষ বছর আগে। আর পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মের বয়সও খুব বেশি হলে পনেরো হাজার বছরের। তার আগের নয়।
তাহলে কে আগে- মানুষ না ধর্ম!
পবিত্র কুরআন ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো ধর্মগ্রন্থে এই সুবিশাল মহাবিশ্বের কথা আছে?
''কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক ?
কে বলে তা বহুদূর ?
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ - নরক
মানুষেতে সুরাসুর। ''
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




