জীবন যেমনই হোক, জীবনকে যাপন করতে হয়.....
"কিছু মানুষ আপনাকে পছন্দ করে না। ব্যাপারটা এমন নয় যে আপনি তাঁর কোনো ক্ষতি করেছেন। তবু, আপনি তাঁর কাছে স্রেফ অপছন্দের মানুষ। আপনাকে লোকে পছন্দ করে, সেটাও অপছন্দনীয় হওয়ার কারণ হতে পারে। শুধু কারও কোনো ক্ষতি করলেই আপনি তাঁর অপছন্দের পাত্র হবেন, তা নয়। অপছন্দ-ব্যাপারটা আসে ঈর্ষাকাতরতা থেকে, কিম্বা মানষিক অসুস্থ্যতা থেকে। মানুষের সহজাত চরিত্রেই এই অনুভূতির প্রভাব আছে"- মার্টিন লুথার কিং
জীবন যেমনই হোক, জীবনকে যাপন করতে হয়, আবার কখনো উদযাপনও করতে। এই নিষ্ঠুর সত্য না মেনে উপায় কী! সুখ-অসুখের মাঝেই খুঁজে নিতে হয় শান্তি ...
জীবনের চক্রাবর্তে ধূলিঘূর্ণির মত নিয়ত উড়ছি যেখানে, সেখানে মাথার ওপরের ছাদটুকুই তো কত বড় আশ্রয়! আশেপাশেই তো অজানা অচেনা বৃক্ষের মত বেড়ে উঠছে কত প্রাণ, আশার শেষ আলোটুকু নিভে গিয়ে যাদের থাকে কেবল অন্ধকার!
কোথাও বা আবার জীবনের সব বৈভব হাতের মুঠোয়, অথচ কী এক অসহনীয় পরিবৃত্তে অন্তহীন সহবাস! কখনও বা পরম আপনার জনের হৃদয়হীনতায় অস্থির, অসহায় সমস্ত পৃথিবী! তবুও, নিয়ত অপমানে বেঁচে থাকতে হয় নিকৃষ্ট কীটের মত!
দুঃখ হয়তো বা একদা সহনীয় কিন্তু অপমান? আজন্ম সংস্কার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার অক্ষমতায় বিদীর্ণ বক্ষ নিয়ে মেনে নিতে হয় দুঃসহ অপমানের জীবন ... মুক্তি মেলে না তবুও!
যদি রবীন্দ্রনাথের সোনার তরীর ভাবার্থটি মনে করি - "সংসার সমস্তই নেবে, একটি কণাও ফেলবে না। কিন্তু তোমার স্থান কোথায়?
যে জীবনটি ভোগ করে চলেছো, সেই অহংকেই তার খাজনা স্বরূপ মৃত্যুর হাতে দিয়ে জীবনের হিসেব মেটাতে হবে ...
সংসারের আটপৌরে কর্মের নিত্য ফল দিয়ে বোঝাই করে তুলেছো তরণী তোমার!
বিষন্ন সেই অনুভব, ব্যর্থতায় ঢাকা অপূর্ণ এক জীবন।
সব খেলা হলো সারা,
বিহঙ্গের এবার যাবার পালা .... .... .....
রাশি রাশি ভারা ভারা
ধান কাটা হলো সারা,
... .... .... .....
তবুও,
শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী!"
অপমান করা আর অপমানিত হওয়া দুটোই সংক্রামক! অতএব, অপমানের বদলা নেওয়ার চাইতে নিজে বদলে যান, অন্যকেও বদলে যাওয়ার সুযোগ দিন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




