রম্য পোস্ট....
প্রশ্নঃ বুড়িগঙ্গা নদীর গতিপথ বর্ণনা করো...
উত্তরঃ ঢাকা শহরের দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত জোয়ারভাটা প্রভাবিত একটি নদী। প্রাচীনকালে গঙ্গা নদীর একটি প্রবাহ ধলেশ্বরীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। পরবর্তীতে এই বিচ্ছিন্ন প্রবাহটি বুড়িগঙ্গা নামে অভিহিত হয়। ধীরে ধীরে এই প্রবাহটি তার গতিপথ পরিবর্তন করার ফলে একসময় গঙ্গার সঙ্গে তার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বুড়িগঙ্গার পানি খুবই দুষিত এবং বিষাক্ত। বুড়িগঙ্গা নদীর উপর দুইটা ব্রীজ আছে। তারপরও হাজার হাজার মানুষ ডেইলি খেয়া নৌকায় পার হয়। প্রতিবার বুড়িগঙ্গা নদী পার হতে ভাড়া ৫ টাকা। এই নদীর পাড় বেশীরভাগই দখল করেছে হাজী সেলিম এমপি।
বুড়িগঙ্গা মূলত ভারতীয় গংগা নদীর একটি শাখা। মূল গংগানদীর দৈর্ঘ্য ২৫১২ কিমি, যার উৎপত্তি গংগোত্রীয় থাকে। গংগোত্রী হিমালয়ে অবস্থিত। হিমালয় একটি পর্বত। ওখানে অনেক কিছু দেখার জিনিস আছে। হিমালয় পর্বতের এভারেস্ট শৃংগ প্রথম জয় করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এডমন্ড হিলারি। তিনি একদা বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ডের রাস্ট্র দূত ছিলেন। লোকটা মারা গেছে(ইন্না-লিল্লাহ.....)!
হিমালয়ের পাদদেশে দার্জিলিং অবস্থিত। দার্জিলিং অঞ্জন দত্তের খুব প্রিয় যায়গা। তাই অঞ্জন দত্ত গীটার বাজিয়ে গেয়েছিলেন, "রঞ্জনা আমি আর আসবো না"! গীটার দুই প্রকার, হাওয়াইন গীটার ও স্প্যানিশ গীটার। স্প্যানিশ গীটার স্পেনে তৈরী হয়। স্পেনের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাবের নাম রিয়াল মাদ্রিদ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদে খেলেন। রোনালদোর গার্লফ্রেন্ড এর নাম জর্জিনা। ওদের তিন পূত্র সন্তান। কিন্তু এখনো ওরা বিয়াশাদী করে নাই(নাউজুবিল্লাহ)।
রোনালদো আগে ইংল্যান্ডে খেলতেন।
ইংল্যান্ডের রানীর মুকুটে যে কোহিনূর হীরা দেখতে পাওয়া যায় সেই হীরাটির মূল মালিক রাজা রণজিৎ সিং। রণজিৎ সিং হীরাটি মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরকে দিয়েছিলেন। জাহাঙ্গীরের পিতা সম্রাট আকবর। আকবরের পিতা সম্রাট বাবর। বৃটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি সেই হীরাখান চুরি করে ইংল্যান্ড নিয়ে যায়। সেই হীরাটিই রানীর মুকুটে দেখা যায়।
সম্রাট জাহাঙ্গীর থাকতেন দিল্লি। দিল্লি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। গংগা আর যমুনা নদী মিশে উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বাংলা হয়ে বাংলাদেশের মাঝ বরাবর পার হয়ে ঢাকা শহরের দক্ষিণ পশ্চিম পাশ ঘেঁষে ব্রম্মপুত্র পদ্মা মেঘনা সহ আরো একাধিক নদী পেরিয়ে বংগোপসাগরে পতিত হয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদী নিয়ে অনেক কবিতা আছে। আমার একটা কবিতা খুবই প্রিয়। কবিতার নাম(কবির নাম মনে নাই) -
বুড়িগঙ্গার চোখে জল।
আমি মরবো মুড়ক লাগিয়ে
কবিদের গায়ে সিজ্জিনের আগুন জ্বেলে
তখন তারা দৌড়ে এসে বলবে মাগো পোড়ে যাচ্ছি আমাদের বাঁচাও
তখন কোরবানীর চামড়ার খুসবাই দিয়ে তাদের বাতাস দেব, সুপ রেধে দেব।
দুই লাখ বজ্জাত ঢাকায় বসে কবিতার চুল ছিড়চে আমার ‘ছারখাতের’ সময়।
ভুপেন হাজারিকার বিখ্যাত গান - "ও গংগা তুমি বইছো কেনো....."। সত্যিই উনি এমন একটা গান না গাইলে আজ আমাদের এতো বড়ো রচনা মুখস্থ করে লিখতে হতোনা।
(তিন বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



