somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

আমার স্বপ্নে দেখা দুটি নয়ন / হারিয়ে গেল কোথায় কখন.....

০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"আমার স্বপ্নে দেখা দুটি নয়ন / হারিয়ে গেল কোথায় কখন /কেউ তা জানে না।" কিম্বা
"মনে কর আমি নেই, বসন্ত এসে গেছে / কৃষ্ণচূড়ার বন্যায়, চৈতালি ভেসে গেছে।"


সত্তর দশকের এই দুটি হিট গানের শিল্পীর নাম সুমন কল্যাণপুর। জন্মসূত্রে বাঙালি না হয়েও ষাটের দশকের শেষ থেকে সত্তরের দশক যাঁর অনুপম, মিষ্টি কন্ঠ আমাদের মাতিয়ে দিত। সুমন কল্যাণপুরের দুর্ভাগ্য, তিনি এমন সময়ে গানের জগতে এসেছিলেন, যে সময় বলিউডে মঙ্গেশকর বোনদের রমরমা। তা নয়ত অত সুরেলা কন্ঠ নিয়েও তাঁকে চাপা পড়ে যেতে হয়?
সুমন কল্যাণপুরের জন্ম ১৯৩৭ সালের ২৮ জানুয়ারি বর্তমান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গেন্ডারিয়ায়। তাঁর পিতা শংকর রাও হেমাদি বৃটিশ সরকারের পদস্ত রাজস্ব কর্মকর্তা ছিলেন ততকালীন পূর্ব বাংলার। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোর শহরের এক বনেদি সারস্বত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম। কর্ণাটকের উদুপি জেলার কুন্দপুর তালুকের একটা গ্রাম হল হেমাদি। তাঁর পিতা ও মাতা সীমা হেমাদি ছাড়াও তাঁরা পাঁচ বোন ও এক ভাই ছিলেন। সুমন সবার বড় ছিলেন। তাঁদের পরিবার ১৯৪৩ সালে ঢাকা ছেড়ে মুম্বই চলে যান, যেখানে তিনি সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন।

সুমন কল্যাণপুর ছবি আঁকা এবং সঙ্গীতে অনুরক্ত ছিলেন। মুম্বইয়ের বিখ্যাত কলম্বিয়া হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ছবি আঁকার পাঠ নিতে মর্যাদাপূর্ণ জে জে স্কুল অফ আর্টসে ভর্তি হয়েছিলেন। একই সাথে পুণের প্রভাত ফিল্মের সংগীত পরিচালক ও তাদের পারিবারিক বন্ধু কেশব রাও ভোলেজির কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, প্রথম দিকে গান গাওয়াটা ছিল তাঁর কাছে একটা শখ, কিন্তু ক্রমে ক্রমে সঙ্গীতে তাঁর অনুরাগ বেড়ে যায়, আর এর ফলস্বরূপ তিনি পেশাদারিত্বের সাথে উস্তাদ খান আবদুল রহমান খান এবং গুরুজি মাস্টার নবরং এর কাছে সংগীত শিক্ষা আরম্ভ করেন।

অনেকেই বিশ্বাস করতেন যে, তাঁর যা প্রতিভা, তাতে তাঁর যতদূর এগোনো উচিত ছিল, ততদূর তিনি যেতে পারেননি- যদিও তাঁর অভাবনীয় সাংগীতিক বৈশিষ্ট্য, যেগুলো একজন নেপথ্য গায়িকার কাছে খুবই প্রয়োজনীয়, সেই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের বিশদ জ্ঞান, সুরেলা কন্ঠ এবং গলার বিস্তীর্ণ পরিসীমা সবই তাঁর ছিল।


চিত্রজগতে তিনি তৎকালীন সমস্ত গায়কের সঙ্গে দ্বৈত কন্ঠে অংশ নিয়েছিলেন। কিছু স্মরণীয় গান-----
রফি সাবের সঙ্গে---আজকাল তেরে মেরে পেয়ার কি ছাড়ছি হার জাওয়ান পার"(Brahmachari )
" নআ না কারতে পেয়ার তুমহি ছে কার বাইতে", তুমছে ও হাছিনা, রআহেনা রাহে হাম",
মান্না দের সঙ্গে----না জানে কাহান হাম দে"
মুকেশ জির সঙ্গে ---মেরে পেয়ার ভি তু হ্যায়, দিল মে পেয়ার ইয়াদ কিয়া" খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।
আজও মনে পড়ে সুমন কল্যাণপুরের গান ---
"মনে কর আমি নেই, বসন্ত এসে গেছে"।

তথ্যসূত্র:---উইকিপিডিয়া ।
ছবি:---গুগল ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবিতে গণতন্ত্রের নামে মবতন্ত্র

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১০



তথাকথিত গণতন্ত্রকামীদের পীর আল্লামা পিনাকী এবং ছোট হুজুর ইলিয়াস মোল্লার উস্কানীতে দেশজুড়ে চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মবতন্ত্র। আল্লামা পিংকুর যুক্তি হচ্ছে- যে বা যারাই তাদের (গণতন্ত্রকামীদের) সূরে কথা না... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান ও চীন কি ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধ বাধাতে চায়?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১



ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধে পাকিস্তান ও চীনের লাভ আছে। যুদ্ধে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হলে ভারত বিরোধীতায় তারা সহজে বাংলাদেশীদের তাদের পাশে পাবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার অযুহাতে এখানে তারা সামরিক ঘাটি স্থাপনের সুবিধার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রচুর ব্লগিং করুন, কিন্তু......

লিখেছেন জটিল ভাই, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৯

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি নেট হতে)

তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×