somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঝগড়ার মাঝে যে কথা বলা মানা

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মাঝে মধ্যে হালকা ঝগড়া সম্পর্ককে আরও পাকাপোক্ত করে। তবে রাগের মাথায় বলা কথা সঙ্গীর মনে আঘাত দিতে পারে অনেকটাই। তাই যত রাগই হোক মুখ ফসকে কিছু কথা কখনও বলা উচিত নয়।

এমনই কিছু দিক তুলে ধরা হয় একটি সম্পর্কবিষয়ক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে।

সব তোমার দোষ: ঝগড়ার সময় একে অপরকে দোষারোপ করা খুবই সাধারণ ঘটনা। আর এতে সমস্যা আরও ঘোলাটে হয়ে যায়। আরেকজনের উপর দোষ চাপানোর বদলে মূল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। এক্ষেত্রে সমস্যার সূত্রপাত কোথায় সেটা খুঁজে বের করতে হবে। পাশাপাশি সঙ্গীর কোন ব্যবহার খারাপ লাগছে সেই বিষয়গুলো নিয়েও আলাপ করে মিটিয়ে নিতে হবে ওই সময়ই।

‘তুমি আগেও একই কাজ করেছিলে’: সঙ্গী কবে কী ভুল করেছিল তা পুনরায় টেনে নিয়ে আসা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আপনার কোনো ভুলের কারণে যদি ঝগড়া শুরু হয় সঙ্গী যদি একই ভুল আগে করে থাকে তাও নতুন করে তুলে ধরা ঠিক নয়। বরং এই বিষয়গুলো সমঝতার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া উচিত। আর পুরানো ঝগড়ার কারণ তুলে আনা মানে আগে ওই জিনিসগুলো মিটমাট হয়নি। তাই কোনো ঝগড়াই পুরোপুরি না মিটিয়ে মনে পুষে রাখা ঠিক নয়।

‘আমি এই সম্পর্ক রাখতে চাই না’: সম্পর্ক ভেঙে দিতে চাওয়াও ঝগড়ার মোড় খারাপের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। একবার মুখ ফসকে এ ধরনের কথা বের হয়ে গেলে পরে যতবারই ‘সরি’ বলুন না কেনো, ওই বিষয়গুলো সঙ্গীর মনে গেঁথে যেতে পারে। তাই যতই রেগে থাকুন না কেনো এই ধরনের কথা কখনও বলা ঠিক নয়।

ব্যক্তিত্বে আঘাত দিয়ে কথা বলা: একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব নিয়ে কথা বলা খুবই অপমানজনক। যত আপন মানুষই হোক না কেনো, এ ধরনের কথা বলা খুবই ক্ষতিকর। এতে সম্পর্কে বড় ধরনের ফাটল ধরতে পারে।

‘আমি এখনই কথা বলতে চাই’: এই বাক্যটি উত্তপ্ত পরিস্তিতিতে তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ সঙ্গী যদি কথা বলতে না চায় তার মানে সে মাথা গরম অবস্থায় কোনো বেফাঁস কথা বলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে চাইছে না। সেক্ষেত্রে জোর করে কথা বলতে চাইলে ঝগড়া মিটমাট হওয়ার বদলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

একসঙ্গে দুটি মানুষ থাকলে টুকটাক ঝগড়া হতেই পারে। তার মানে এই নয় ওই ঝগড়া ধরে বসে থাকতে হবে। ঝগড়া মিটিয়ে নেওয়া উচিত তখনই। আর ঝগড়া মিটিয়ে নিতে এসব বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি।

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×