"ভালবাসা" এই শব্দটাকে ব্যবহার করা যায় সকলের ক্ষেত্রে। যেমন মায়ের ভালবাসা, বাবার ভালবাসা, শিক্ষকের ভালবাসা .....................। আমি এই সকল প্রকার ভালবাসার কথা বাদ দিয়ে শুধু সেই ভালবাসার কথা বলতে চাই যাকে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভক্ত করে আবার একত্রিত করা হয় একসময় অথবা তার বিপরীত রূপ ধারণ করে। পর্যায়গুলোকে সাজানো যায় এভাবে, ১। দেখা-স্বাক্ষাত, যোগাযোগ, পরিচয় ২। বন্ধুত্ব ৩। আন্তরিকতা ৪। প্রেম ৫। ভালবাসা। যাক বিশ্লেষণ বা ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে মূল কথাই বলি :
একটা ছেলে একটা মেয়েকে কতটা ভালবাসতে পারে-
১। ছেলে যদি সত্যিকার অর্থে ভালবাসে কোন মেয়েকে তাহলে সে যেকোন মূল্যে তাকে জীবন সাথী করার জন্য ব্যাকুল হয়ে যায়।
২। ভালবাসতে গিয়ে মন প্রাণ উজাড় করে দেয়।
৩। পৃথিবীর কোন বাধাই তাকে থমকে দিতে পারেনা।
৪। ঐ ভালবাসার মানুষটিকে পাওয়ার জন্য সে প্রয়োজনে সারা জীবন অপেক্ষা করবে। তবুও অন্য কারো প্রতি সে আকৃষ্ঠ হবে না।
৫। প্রতিক্ষণ, প্রতিটি প্রহর সে শুধু ভালবাসার মানুষকে নিয়ে কল্পনা করতে থাকে। মন যেন মনের অজান্তেই ছুটে যায় তার পানে।
এখানে অবশ্যই লক্ষ্য করবেন আমি প্রথমেই বলেছি সত্যিকার ভালবাসার কথা। অনেকেই আছে ভালবাসার ধারেকাছেও নাই শুধু দুষ্টুমির তালে থাকে তাদের কথা এখানে বাদ। কিন্তু ছেলেরা তারা ভালবাসাকে পায়নি বলে বিয়ে করেনি সারা জীবন একা থেকেছে এমন উদাহরণ অনেক আছে।
একটা মেয়ে একটা ছেলেকে কতটা ভালবাসতে পারে-
১। মেয়েদের ভালবাসা সত্যিকার হউক আর অন্য যাই হোক তা সবসময়ই যেন কচুপাতায় রাখা জলের মত। যেকোন সময় কারণে অকারণে টুপ করে পড়ে যেতে পারে।
২। মেয়েরা সাধারণত লোভী প্রকৃতির হয়ে থাকে এছাড়া খুব তাড়াতাড়ি মনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নিতে পারে।
৩। মেয়েরা চোখের আড়াল হলে মনের আড়াল করে দিতে পারে প্রাণের মানুষকে। অনেক সময় একজনের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক রেখেই অন্য কারো সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে।
৪। অভিভাবকদের চাপে অথবা পরিবেশের প্রতিকূলতার জন্য সব কিছু উজার করে দেয় মনের মানুষকে ত্যাগ করতে পারে।
৫। ভালবাসার মানুষকে অন্য কারো ঢং, তামাসার অথবা মিথ্যা কথায় সন্দেহ করা শুরু করে দেয় এমনকি ভালবাসার মানুষের অন্তরে আঘাত দিয়ে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করে না।
তবে সকল ক্ষেত্রে তা সঠিক নাও হতে পারে। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আমি দেখেছি মেয়েরা ৯৯.৯৯% এরকম। জানিনা আপনারা একমত পোষণ করবেন কিনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:১২