somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কানের কাছে কে যেন বার বার বলছে হাসান উটো…প্লিজ উঠো… দেখে আমি চলে এসেছি।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে হাসান এর মনটা অনেক ভালো নিজের ইচ্ছে মত ঘুমাতে পারছে। এখনো সে চোখ খুলছে না, বা খুলার চেষ্টা করছে না। কানের কাছে কে যেন বার বার বলছে হাসান ওঠো প্লিজ ওঠো, শুনতে ভালোই লাগছে হাসানের, মনে হচ্ছে নিলা ডাকছে।
নিলার সাথে আমার যখন ফাস্ট পরিচয় সে ঘটনাটা মনে পরলে অনেক হাসি পায়। আমি রিক্সায় করে অফিসে যাছিলাম, হঠাৎ আমার রিক্সার পিছন থেকে একটা গাড়ি পচন্ড জুরে ধাক্কা দিল আমি রিক্সা থেকে পরে হাতে, পায়ের হাটুতে ও কপালটা কেটে গেছে, রক্ত বের হচ্ছে। পিছনে তাকিয়ে দেখলাম একটা প্রাইভেট কার রিক্সাটা কে ধাক্কা দিয়েছে। অনেক মানুষ জর হয়েছে, পারছে না গাড়ি টাক ভেঙে ফেলবে, গাড়ির ভিতর থেকে যে ভেরিয়ে আসলো থাকে দেখে আর কেও কিছু বলছেনা। ওমা দেখি একটা মেয়ে যেমন সুন্দর তেমন তার গায়ের রং এক কথায় ”মাশাল্লাহ” আমার দিখে আসছে, ভাইয়া সরি আসলে বুঝতে পারি নাই আমাকে মাফ করে দিন। চলেন আপনাকে হসপিটালে নিয়ে যায়, বলে আমাকে ওর গাড়িতে ওটালো আর রিক্সার চালকে 500টাকা দিল। আমাকে হসপিটালে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর পর হটাৎ করে আমাকে বলল কি ব্যপার আপনি কিছু বলছেন কেন? আমি আসলে অনেক লাজুক প্রকৃতির ছেলে, এতো সুন্দরী একটা মেয়ে আমার জন্য এতো কিছু করছে এটা দেখেই আমার কথা বলা অফ হয়ে গেছে। ডাক্তার আমাকে কিছু টেষ্ট দিল আর বলল কালকে যেন দেখা করি। মেয়েটা আমার টেষ্ট এর কাগজ গুলো আমার হাত থেকে নিয়ে দেখলো, আবার আমাকে কাগজ টা ফেরৎ দিল আর কিছু টাকা বের করল বেগ থেকে আনুমানিক 5000/-টাকা হবে। আমি না নিয়ে হসপিটাল থেকে বের হয়ে গেলাম। মেয়েটা ডাক্তার কে কি জানি বলে তারা তারি করে আমার পিছনে আসতে লাগলো আর ডাকছে এই যে শুনুন, যে শুনুন. আমি কোন উত্তর না দিয়ে চলে আসলাম।

পর দিন ঘুম থেকে ওটে আর ইচ্ছা করছে না অফিসে যেতে, শরিরটা কেমন যানি জ্বর জ্বর লাগছে, মাথাটা প্রচন্ড ব্যথা করছে, আরো কিছু কন শুয়ে থাকতেই ভালো লাগছে, হঠাৎ আমার টেলিফোন টা বেজে উঠল, কিন্তু ধরতে ইচ্ছা করছে না তাও ধরল, একটি মেয়ে কন্ঠ
-হ্যালো
:-হ্যালো আপনি কি হাসান সাহেব।
-জি বলেন। কে বলছিলেন।
:-আমি নিলা, ওই যে গতকাল আপনাকে এক্সিডেন্ট করে ছিলাম।
-ও আচ্ছা বলেন, কি বলবেন।
:-আপানর মোবাইলা টা আমার কাছে আছে, গত কাল ডাক্তারের রুমে যাওয়ার সময় আমার কাছে দিয়ে ছিলেন। ওইটা আর নেনি। আর বার বার ফোন আসছে।
আপনিতো ডাক্তাররের এখানে আসার কথা কখন আসবেন? টেষ্ট গুলো করিয়ে ছিলেন?
-না,
:-না মানে করাননি কেন? টাকা ছিল না? নাকি সরির বেশি খারাপ ছিল?
-কোনটায় না, আমার ইচ্ছা করছিলো না তাই করিইনি বলে রিসিবার টা রেখে দিলেন হাসান।
চোখ গুলো লেগে আসল, হাসানের বাবা হাসান কে ডাকছে বাবা তর কি হয়ছে? তুই এই ভাবে শুয়ে আসিস কেন? তোর জ্বর আসছে? ডাক্তার এর কাছে যা কিছু ঔষধ নিয়ে আস।
হাসান ভাবতে লাগলো বাবা ডাকছে কেন? বাবাতো নেই.. উনিতো আমার ওপর অভিমান করে চলে গেছে অনেক দূরে চলে গেছে যেন আমি ডাকতেও না পারি। আজকে কেন তার আমার প্রতি এতো মায়া হল যে আমাকে ঔষধ খাওয়ার কথা বলছে? আমি তো তার কথা শুনবো না।
এখানে হাসানের আপন বলতে কেও নেই, হাসানের জন্মের সময় হাসানের মা মারা যান। তার পর বাবার সাথেই তার সংসার, হাসান এস,এস.সি পাস করার কিছু দিন পরেই হাসান এর বাবাও মারা যান সেই থেকে তার বাবার প্রতি অভিমান।
হঠাৎ ঘুম ভাঙলো কলিং বেল এর আওয়াজ শুনে, শরির টা পচন্ড খারাপ লাগছে ধরজাটা খুলার মত শক্তি মনে হয় শরিরে নাই তাও অনেক কষ্ট করে ওটলো হাসান। রফিক মনে হয় স্কুলে গেছে না হয় দরজাটা ওই খুলে দিত। দরজা খুলে দেখল অফিসের কলিগ আর সাথে একটা মেয়ে।
মেয়ে টা হঠাৎ করে আমার ঘড়ে ঢুকে গেল…
:- কি ব্যপার আপনি ফোন ধরছেন না কেন?
-ইচ্ছে করছিল না। তাই ধরি নাই।
মেয়েটা আর কিছুই বলল না। আমার পিছু পিছু বেড রুমে চলে আসলো, সাথে আমার কলিগ মাসুম।
আমার মোবাইল আমার হাতে দিয়ে বলল এই নিন আপনার মোবাইল, বলে হাত বাড়িয়ে দিল তার হাতের সাথে আমার হাতটা লাগতে চমকে উঠলো..
:-কি ব্যপার আপনার গায়ে তো পচন্ড জ্বর। ঔষধ খেয়েছেন?
-না, খাবো না।
:-কেন খাবেন না? এটাও কি ইচ্ছা করছে না?
আমি কিছু বললাম না। চুপ করে থাকলাম।
:- আপনার কাজের ছেলেটা কোথায়?
আমি অবাক হইলাম আমার কাজের এটকা ছেলে আছে সে এটাও যানে।
-ও মনে হয় স্কুলে গেছে।
:- যাক ভালো, বলে কাগছে কি যেন লিখলো তার পর মাসুম এর হাতে কিছু টাকা আর কাগজটা দিল।
মেয়েটা মনে হয় ডাক্তার না হয় শরিরে হাত দিয়েই কিছু লিখে এক মাত্র ডাক্তার রায়। সো সে নিশ্চয় ডাক্তার হবে।
:- শুনেন আপনি কয়েক দিন রেষ্ট নিবেন, বাসায় থেকে একদম বের হবেন না। আর ঔষধ গুলো ঠিক মত খাবেন।

নিলা এখন প্রতিদিন এই আসে আমাকে দেখে আবার চলে যায়। ওর সাথে এখন আমার অনেক কথা হয়। আমার সাথে এমন বিহাব করে যেন আমার বিয়ে করা বউ।
-আচ্ছা নিলা তুমি আমার বাসায় প্রতিদিন আসো কেন? আমি তো এখন ভালো হয়ে গেছি।
:- এই গুলো তোমার ভাবতে হবে না। আর আমি যদি না আসি তাহলে কে আসবে? অন্যকেও আছে নাকি?
-আরে না। সেটা বলি নাই এই যে, তুমি প্রায় সারাদিন আমার এখানে থাকো তোমার পড়া-শোনা ক্ষতি হচ্ছে না?
:- সেটা হলে আমার হবে। তোমার চিন্তা করতে হবে না।
এই কয়েক দিনে নিলা আমার অনেক আপন হয়ে গেছে। তার ফ্যামিলিতে তার মা আর ছোট একটা ভাই আছে। বাবা দেশের বাহিরে থাকে। মা প্রাইবেট ক্লিনিকে বসে যে ক্লিনিক এ আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়ে ছিল। আর নিলা ঢাকা মেডিকেল এ পড়ে দেখেই বুঝায় যাচ্ছে যে উন্নত পরিবারের মেয়ে।

হাসান এখন সুস্থ কিন্ত নিলা আগের মতই এখোনো বাসায় আসে….
ছুটির দিন হলেই সকাল সকাল চলে আসে… হাসানকে বাজার করতে বলে, আজকে শুক্রবার সে সকাল আটটা বাজেই হাজির, কলিং বেল বাজার সাথে সাথেই রফিক দরজা খুলার জন্য হাজির সেই নিলা অনেক আপন হয়ে গেছে। নিলা বলতে সে আর কিছুই বুঝেনা।
নিলা সরাসরি আমার রুমে চলে আসলো… কোন সারা শব্দ নাই। আমার চোক বন্ধ করে আছি। আমার পাশে এস বসল, চোখ খুলে দেখি নিলার হাতে অনেক গুলো রজনি গন্ধা ফুল আবার লাল শাড়ী পরেছে। পরিচয় হওয়ার পর এই প্রথম দেখলাম নিলা শাড়ী পরেছে, দেখে বুঝায় যায়না মেয়েটা শাড়ী পরতে পারে অনেক গুছিয়ে পরেছে।
এমনিতেই অনেক সুন্দর আজকে মনে হচ্ছে যেন অন্য কোন গ্রহের একটা লাল পরি আমার গড়ে আসছে।

:- কি ব্যপার হা করে তাখিয়ে আছো কেন?
-না এমনিতেই. তোমাকে দেখছি।
:- মনে হয় তুমি আমাকে আগে কখনো দেখ নাই?
-দেখেছি কিন্তু এই ভাবে দেখি নাই।
নিলা ফুল গুলো আমার হাতে দিল..
:- এই গুলো তোমার জন্য।
- থ্যাকংইউ, কিন্তু হঠাৎ ফুল কেন?
:- আমার ইচ্ছে, এমন ভাবে বলল যেন আমাকে কপি করছে।
-ফুল গুলো অনেক সুন্দর।
:-আর আমি?
-তুমি…..হুম, তুমি ফুল গুলোর মত না।
:-মানে?(একটু রেগে গিয়ে বলল) আমি সুন্দর না? আমার সাথে প্রেম করার জন্য কত্ত ছেলে ঘুড়ে তুমি যানও?
-হুম তুমি আসলেই এই ফুল গুলো থেকেও আর অনেক বেশি সুন্দর।
:- সত্যি?
-হ্যা সত্যি।
:- হঠাৎ সে আমার বুকে মাথা রেখে বলল আই.লাভ.ইউ, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।
-আমি কিছুই বুঝে উটার আগে মনের অজানতে মুখ থেকে বের হয়ে আসলো আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি।
:- সত্যি?
-হ্যা সত্যি।
:-হইয়েছে এই বার উঠো বাজারে যাও…গুরুর মাংস নিয়ে আসো। আজকে কিচুরি পাকাবো।
এই বলে নিলা উটে গেল।

নিলার মা আমাদের রিলেশানটাকে মেনে নেই নি। আবার মানাও করছে না। এই ভাবেই 2বছর হয়ে গেল।
হঠাৎ ফোন আসলো জান কালকে আম্মু আমি আর সায়েম (ছোট ভাই) কক্সবাজার যাবো তোমাকে ছেরে যেতে ইচ্ছা করছে না।
তুমি অফিস থেকে তারা তারি বাসায় চলে এসো। আমি বাসায় আছি।
হাসান এটা শুনে তারও কাজ এ মন দিতে পারছে না। তাই বসকে বলে সে 3টায় বাসায় চলে আসলো। বাসায় নিলা আর রফিক দু-জনে গল্প করছে। দরজাটা নিলায় খুলেছে আমাকে দেখে সে পুরায় অবাক
:-এতো তারা তারি আসলা যে?
-ভালো লাগছিলো না তাই চলে আসছি।
:-তুমিও চলো আমাদের সাথে।
-না জান আমি যেতে পারবো না। আমার অফিসে অনেক কাজ। এখন অফিস থেকে ছুটি দিবেনা। আবার কালকে একজন বিদিশি বায়ার আসবে।
:-আচ্ছা ঠিক আছে, আমরা মাত্র 2দিন থাকবো। তার পর চলে আসবো।

গত 2দিন হাসানের খুব মন খারাপ। নিলার কোন খবর নাই। কোন ফোন নাই। আবার মোবাইলও বন্ধ। সে কিছুটা নিলার উপর রাগ করে আছে, দেখি তুমি কত দিন আমাকে ফোন না করে থাকতে পারো। আমি আর তোমার মোবাইলে ফোন দিবো না। কিন্তু সেটা পারছে না 1মিনিট পর পর ট্রাই করছে।
আজ প্রায় 1সপ্তাহ নিলার কোন নিউজ নাই ফেসবুক একাউন্ট এ কোন আপডেট নাই। তার মনে যেন কেমন করে উঠলো ।
রাত 9টা বাঝে নিলাদের বাসার কলিং বেল এর সুইজটা টা চাপতেই ওর ছোট ভাই এসো দরজা খুললো। আমাকে দেখেয়ে সে কিছু না বলে চলে গেলো। আমি ওদের বাসায় ঢুকতেই ওর মা এসে বলল ও তুমি আসো বসো।

বল কি ব্যপার। কেমন আছো?
আন্টি নিলা নাই?
না ওতো ইউএসএ চলে গেছে। তোমাকে বলে নাই? মনে হয় সময় পায়নি। ওতো গেছে প্রায় 1সপ্তাহ হলো।
হাসান হঠাৎ যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে। তার কানে আর কোন কথায় ঢুকছে না। সে আর কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।

সে একটা কথা বার বার ভাবতে লাগলো নিলা আমার সাথে এমনটা কোন ভাবেই করতে পারে না।

হাসান এর জীবনটা আবার এলো মেলো হয়ে গেছে… যদিও সে এটা নিয়ে আর ভাবে না। কারন সে যানে তার কাছে কোন প্রিয় জিনিস বেশি দিন থাকে না।

হঠাৎ একটি মেইল আসলো নাজমুন নাহার নামে একটি মেইল থেকে নাজমুন নাহার কে হাসান যানে… নিলার বড় বোন (চাচাতো) ওনার নাম নিলা অনেক বার বলেছে ও নাকি অনেক ভালো। আজ প্রায় 1বছর পর মেইল? মেইল টা ওপেন করে সে যা দেখলো তাতে নিলার মা হিটলারকে হার মানাবে।
প্রিয় হাসান,
সালাম নিও, যানি অনেক কষ্টে আছো, আমাকে অনেক গৃনা করা শিখে গেছো। আমিও আজও পারিনি তোমাকে বলতে। আমি তোমাকে কত ভালবাসি তা হয়তো আমি মুখ থেকে অনেক বার বলেছি তোমাকে। কিন্তু তোমাকে কতটা ভালোবাসি সেটা যদি আমার মা আমার সাথে এই আচারন না করতো তাহলে হয়তো কখনো বুঝতাম না।
আমাকে যে দিন আমার আম্মু বিমানে করে কক্সবাজার যাওয়ার কথা বলে এয়ারপোর্ট নিয়ে আসে এয়ারপোর্ট এর সকল কাজ আমার আম্মুই করে ছিল। আমি যকন যানতে চাইলাম পাসপোর্ট লাগবে কেন? তুমি চুপ কর লাগবে দেখেই আনেছি।
বিমান এ উটার পর বুঝলাম এই বিমান কক্সবাজার যাবে না। আর সেই সময় আমার কিছু করার ছিলনা শুধু 2টি চোখ দিয়ে পানি পরছিল।
আর এখানে আমাকে রেখে মা 2দিন পর চলে যায় আর বাবাকে বলে যায় আমাকে যেন বাহিরে যেতে দেওয়া না হয় আর মোবাইল না দেয়।

চিঠিটা পড়ে হাসান কিছু সময় হাসলো।

অফিস শেষ করে বের হল হাসান, আজকে কেন জানি তার হাটতে ভালো লাগছে। সে এখন প্রায় হেটে বাসায় যায়, আজেকেও সে হেটে বাসায় যাবে… মনের অজান্তে কে যে এসো বলে যায় তুমিতো অনেক হাটতে পারো, আগে তোমাকে হাটার কথা বললে হাটতে চাইতে না আর এখন তুমি রাস্তার পর রাস্তা হেটে যাও…আরও কত কথা বলতে লাগলো।

হটাৎ বিকট শব্দ কানে এলো কেও একজন আমাকে ধাক্কা দিল পিছন থেকে। তার মাথায় পচন্ড রক্ত করন হচ্ছে অনেক মানুষ জরো হয়েছে, অনেকেই বলছে হসপিটালে নিয়ে যাও কেও আবার বলছে মারা গেছে।

চোখ গুলো খুলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে…আমি এখন কোথায় আছি কিছুই বুঝতে পারছি না। মনে একটা লোক আমার পাশে সাদা কাপর পরে ধারিয়ে আছে, তার সাথে আরও অনেকেই আছে মনে হচ্ছে নিলার মা কাকে যেন বলছে ওর অবস্থা কি? এতোটা দিন হয়ে গেল কোন আপডেট দিতে পারছেন না আপনারা? আবারকে যেন কান্না করছে আমার পাশে… বার বার বলছে হাসান উটো…প্লিজ উঠো… দেখে আমি চলে এসেছি। আরও অনেক কথায় কানে আসছে কিন্তু আজকে হাসানের কিছুই শুনতে ইচ্ছা করছে না। কিন্তু নিলার মত করে কে যেন কান্না করছে। মাজে মাজে আমি ওকে বলতাম… আমি তোমাকে ছেরে চলে যাবো, কথা শুনেই সে অনেক কান্না করত। আজ সেই রকম এই কান্না করছে। কিন্তু আজকেও সান্তনা দিতে ইচ্ছা করছে এই পাগলি কান্না কর কেন? আমি তো তোমার সাথে ফান করেছি। আমি আসলে তোমার সব কথা শুনতে পাচ্ছি আমিতো এমনিতেই শুয়ে আছি। কিন্তু বলতে পারছিনা কেন? আমি কি মৃত নাকি মৃত পথযাত্রী? বলতে বলতে বাবা ডাকতে লাগলো অনেক দিন বাবার ডাক শুনিনা আজকে আবার বাবা ডাকছে হাসান বাবা আয় আমার বুকে আয় অনেক দিন তকে বুকে নিয়ে ঘুমায়নি বাবা আয়। বাবার হাতটা আমার দিখে বারিয়ে দিল ছোট সময় যকন বাবার হাত ধরে হাটতাম বাবাও আমার সাথে হাটতো কিন্তু আজকে বাবার হাতটা কেমন যানি সাদা সাদা লাগছে, বাবাকি অনেক সুন্দর হয়ে গেছে নাকি অনি আমার বাবা না। ওনি আমার বাবা না হলে আমার নাম যানলো কেমন করে। যাই হোক আমি বাবার কাছেই যাবো। বাবা তোমার হাতটা আরএকটু সামনে দাও আমি ধরতে চাই। আমি তোমার কাছেই থাকতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×