somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মা ও ছেলের আলাপ সালাপ

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গ্রান্ডপা'স হাউজ
ছেলে আমার অনেক দিন হয় দেশের বাইরে থাকে । আমার মন পরে থাকে ওর কাছে । প্রতিদিন ওর সাথে অবশ্য কথা হয় । এই নিয়ে অবশ্য তার বাবার সামান্য ঈর্ষা আছে । "হ্যা খালি তোমার সাথেই তো দেখি কথা বলে, আমাকে তো ফোন করে না"। ছেলেকে আড়াল করার জন্য বলি 'দেয় তো, কিন্ত তোমার ফোন নাকি বিজি থাকে' । আসলে বেশিরভাগ সময় আমাকেই ফোন করে ।

যাই হোক তার এক বাক্য "তোমরা আসো , তোমরা আসো" । জিজ্ঞেস করি "কই থাকতে দিবে ? তোমারতো এক বেডরুমের এপার্টমেন্ট" । উত্তর দেয় ' এইটা একটা কথা হইলো ! তোমরা বেডরুমে থাকবা, আমি লিভিং স্পেসে ম্যাট্রেস বিছায় থাকবো"। আমি বলি 'আমাকে দেখলেই কিন্ত বলতে পারবে না তোমার হাতের রান্না করা এটা কত দিন খাই না, ঐটার স্বাদ ভুলে গেছি , আম্মু এইটা রান্না করো না একদিন। আমি বলি 'আমাকে দেখার জন্য অস্থির হয়েছো, সুতরাং আমি যতদিন থাকি আমাকে সোফায় বসায় রাখবা আর দেখবা "।
এই ভাবে চলে মা ছেলের কথোপকথন । বলি 'এখন তো বলো বেডরুম ছেড়ে দিবে, কিন্ত বউ আসলে তো আমাদের ঠাই হবে গ্রান্ড- পা'স হাউজে ।
"না না তোমরা আমার সাথেই থাকবা"। কষ্টের একটা হাসি আসে ঠোটে।

পাঠক উপরের ছবিটাই হলো প্রথম বিশ্বে সন্তানের সাথে বাবা মায়ের থাকার জন্য বিশাল বাড়ির সাথে কিচেন বাথরুম সহ একটা দুই বেডরুমের আবাস। তারা বলে উভয় পক্ষের প্রাইভেসী রক্ষার্থে নাকি এই ব্যবস্থা। কাছে থেকেও দূরে ।

ছোটবেলা থেকেই ছেলের প্রচন্ড গাড়ীর শখ, "আম্মু তোমরা আসলে একটা বড় গাড়ি কিনবো"। আমি বলি 'সেই গাড়িতে কি আমার বসার জায়গা থাকবে !
ছেলে বলে "কি বলো তুমি ! কেন হবে না" !
বলি 'গাড়িতে তো তোমার বউ বসবে, ছেলেপুলে বসবে , ন্যানী বসবে , বিড়াল বসবে। আমার কি জায়গা হবে ! তখন আমার জন্য তোমাকে আবার গাড়িতে একটা আলাদা ক্যারিয়ার লাগাতে হবে '। ছেলে ঠাস করে ফোন রেখে দিয়ে বাবাকে ফোন করে । বাবা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে আমার চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় পানি পরতে থাকে ।



দুটো ছবিই আমার আকা । দ্বিতীয় ছবিটি বহু বছর আগে এক পত্রিকায় দেখেছিলাম সেটা কল্পনা করে আকা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৫
২৬টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×