ড. ইউনুস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। শান্তির জন্য এই নোবেল পেয়েছে তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকও। বাঙালি হিসেবে এই পুঁজিবাদী দুনিয়ায় এটা আমাদের ভীষণ গর্বের ব্যাপার। যারা আমাদেরকে এতোদিন ধরে জঙ্গি রাষ্ট্র কিংবা অকার্যকর রাষ্ট্র অথবা দুর্নীতির রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছেন, তারা এবার আমাদের দেশকে শান্তির দেশ বলতে পারবেন। হঁ্যা বলবেনই। কারণ যারা আমাদের দেশকে ওইসব বলেছেন, তারাই এই পুরস্কার দিয়েছেন। তাদের জন্য সুসংবাদ, মতে পথে একশ ভাগ মিলেছে, তাই পুরস্কার। জানি না, মত পথ কোনখানে শতভাগ মিলে গেলো। যেখানে মিললো, সেই জায়গাটি আমাদের জন্য কতোখানি ভালো। নাকি এখানে অন্য কিছুর আভাস লুকিয়ে আছে।
ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে অনেককিছুই পড়ছি-শুনছি। আসলে টেবিলে বসে, তত্ত্ব কথায় অনেক কিছুই শুনি। বসে বসে অনেক কিছুই মারা যায়। কিন্তু বাস্তবে কি অভাব মরে? বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার সুবাদে অনেক গ্রামেই যেতে হয়। টের পাই, কতোভাবে কতোনামে গরীব মানুষদের রক্ত চুষে খাওয়া হচ্ছে। চরে সোলার বিদু্যৎ বসেছে। অথচ চোরচালান ছাড়া তাদের জীবিকার কোনো পথ নেই। নদীর বুকে 5 টি গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে, রক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। স্যানিটেশন হয়নি শতভাগ। অসুখে পড়লে ডাক্তার নেই। সেখানেই চলছে ক্ষুদ্র ঋণ।
এর বেশি কিছু বললে, আর সেটা যদি আমার বসদের চোখে পড়ে তাহলে চাকুরী থাকবে না হয়তো। কিন্তু শেষে একটি কথাই বলতে চাই, এসব কিছু মেনে নিয়ে অভিনন্দন জানাতে পারলে আসুন জানাই। অভিনন্দন জানাই আর বসে থাকি। যারা বড়লোক হবার তারা বড়লোক হোক, যারা গরীব তারা নানা ঋণের ওাদে পড়ে মরুক। মরবেই তো, ওরা মরলে কী যায় আসে? ওরা কি মানুষ। মানুষ তো তারাই যারা পুরস্কার টুরস্কার পান, যারা মেয়েকে নিয়ে কক্সবাজারে রিকশায় করে ঘুরলেও নিউজ হয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০