somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পেনিসিলিন আবিষ্কার ও এর ইতিহাস

০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পেনিসিলিন আবিষ্কারের সময়সীমা নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক । তবে বাঙলা উইকি মতে আমরা যে তথ্য পাই সেটা হলো: ১৯২৯ সালে স্কটিশ বিজ্ঞানী এবং নোবেল বিজয়ী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন। একটি দুর্ঘটনা থেকে এর আবিষ্কার।ঔষধ হিসাবে ব্যবহারের জন্য পেনিসিলিন এর উন্নতিতে দাবিদ্বার অস্ট্রেলিয়ান হাওয়ার্ড ওয়াল্টার ফ্লররি, একসাথে জার্মান নোবেল বিজয়ী আর্নেস্ট অ্যান্ড চেন এবং ইংরেজি প্রাণরসায়নবিদ নর্মান হিটলে।


অন্যদিকে স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং যিনি ছিলেন একজন স্কটিশ ডাক্তার ও জীববিজ্ঞানী, ফার্মাকোলজিস্ট এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানী। ১৯২৩ সালে তার সর্বপ্রথম আবিষ্কার এনজাইম লাইসোজাইম এবং বিশ্বের প্রথম এন্টিবায়োটিক পদার্থ বেনজাইলেননিসিলিন (পেনিসিলিন জি) ১৯২৪ সালে পেনিসিলিয়াম নোটামের ছাঁচে ঢোকেন, যার জন্য তিনি ১৯৪৫ সালে হোয়াড্ড ফ্লোরী এবং আর্নেস্ট বরিস চেইন সহ পদার্থবিদ্যা বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। । তিনি প্রাচ্য চিকিতসা, রোগের অনাক্রম্যতা, এবং কেমোথেরাপি অনেক নিবন্ধ লিখেছেন. ফ্লেমিং১৯৪৪ সালে তার বৈজ্ঞানিক অর্জনের জন্য নাইট্রেড ছিলেন। ১৯৯৯ সালে, তিনি ২0 তম শতাব্দীর ১০০ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় নামকরণ হয়। ২০০২ সালে, তিনি ১০০ গ্রেট ব্রিটানস নির্ধারণের জন্য বিবিসির টেলিভিশনের নির্বাচনে মনোনীত হন, এবং ২০০৯ সালে, তিনি কেবল রবার্ট বার্নস এবং উইলিয়াম ওয়ালেসের পিছনে STV পরিচালিত একটি মতামত জরিপের মধ্যে তৃতীয় "সর্বশ্রেষ্ঠ স্কট" ভোট দেন।


পেনিসিলিন পেনিসিলিনএন্টিবায়োটিক ঐতিহাসিক দিক দিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা এন্টিবায়েটিক। কারণ এটা ছিল প্রথম ওষুধ, যা অনেক গুরুতর যেমন সিফিলিস রোগ, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে এটা বেশ কার্যকর ছিল। পেনিসিলিন এখনও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে; যদিও ব্যাকটেরিয়া এখন অনেক ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এর বিরুদ্ধে। সব পেনিসিলিন বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যাকটেরিয়া বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়, সাধারণত গ্রাম-ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্ট ইনফেকশনের চিকিত্সায় এর কার্যকারিতা ভালো।

আমরা সবাই পেনিসিলিন সম্পর্কে অনেকেই জানি আবার অনেকে জানিও না। কিন্তু আমরা কি জানি কিভাবে আবিষ্কার হয়েছিল এই পেনিসিলিন ? একদিন ইংল্যান্ডের সেন্ট মেরিজ মেডিকেল স্কুলের ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলেন আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। কয়েকদিন ধরে তিনি সর্দিকাশিতে ভুগছিলেন। তিনি তখন সেটে জীবাণু কালচার নিয়ে কাজ করছিলেন। হঠাৎ হাঁচি এলো। তিনি নিজেকে সামলাতে পারলেন না। সেটটা সরানোর আগেই নাক থেকে কিছুটা সর্দি সেটের উপর পড়ে গেল। পুরো জিনিসটা নষ্ট হয়ে গেল দেখে সেটটা এক পাশে সরিয়ে রেখে নতুন আরেকটা সেট নিয়ে কাজ শুরু করলেন। কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে গেলেন। পরদিন ল্যাবরেটরিতে ঢুকে টেবিলের এক পাশে সরিয়ে রাখা সেটটার দিকে নজর পড়ল। ভাবলেন সেটটা ধুয়ে কাজ করবেন। সেটটা তুলে ধরে চমকে উঠলেন। দেখলেন, গতকালের জীবাণুগুলো আর নেই। দেহ নির্গত এই প্রতিষেধক উপাদানটির নাম দিলেন লাইসোজাইম।
দীর্ঘ ৮ বছর পর হঠাৎ একদিন কিছুটা আকস্মিকভাবেই ঝড়ো বাতাসে খোলা জানালা দিয়ে ল্যাবরেটরির বাগান থেকে কিছু পাতা উড়ে এসে পড়ল জীবাণুভর্তি প্লেটের উপর। কিছুক্ষণ পরে কাজ করার জন্য প্লেটগুলো টেনে নিয়ে দেখলেন জীবাণুর কালচারের মধ্যে স্পষ্ট পরিবর্তন ঘটেছে। ছত্রাকগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ছিল পেনিসিলিয়াম নোটেটাইম। তাই এর নাম দিলেন পেনিসিলিন। এভাবে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন।রসায়ন সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে পেনিসিলিন আবিষ্কার করলেও ওষুধ কিভাবে প্রস্তুত করা যায় তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। এরপর ডা. ফ্লোরি ও ড. চেইন পেনিসিলিনকে ওষুধে রুপান্তরিত করেন।

তথ্যসূত্র;ইন্টারনেট ।


সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২০
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×