somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাব্যপ্রেমী রিফাত
মায়াবতী বেঁচে থাকবে আমার গল্পে, গল্পেই তার জন্ম, গল্পেই তার অস্তিত্ব আর আমার অস্তিত্ব মায়াবতীর কল্পনায়...... অসাধারন কল্পনা থেকে বাস্তবতায় সাধারন বেশে হেঁটে হেঁটে পৃথিবীর ধূলিকণা খাই...

অভিনয়

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

- আজকে না বললে আমাকে আর টেক্সট করবে না !
: দেখো! তুমি রাজি হলেই কেবল বলবো ।
- তুমি একটা কাপুরুষ । :D
: No. i'm not !
- Then , say it !
: I LOVE YOU FARIA

ফারিয়া চ্যাটের উইন্ডো অফ করে দেয়।অফলাইনে করে আইডিতে বসে থাকে। সে জানতো ফাহিম তাকে প্রোপজ করবে। পুরো ব্যাপারটা স্রেফ খেলার মত একটা ব্যাপার। ফাহিমের সাথে তার সময় ভালোই কাটছিলো। ব্রেকআপের পর চারটা মাস এভাবেই চলছে।

প্রথমে ফারিয়ার উদ্দেশ্য ছিলো আগের বয়ফ্রেন্ডকে শো অফ করা।কিন্তু ফাহিম ছেলেটা খানিকটা গাধা প্রকৃতির।এই টাইপের ছেলেরা সব করতে পারে।কিভাবে ফারিয়াকে পটায় এটা দেখতে ফারিয়া খুব ব্যস্ত হয়েছিলো।

বারবার ইশারা ইঙ্গিত দিতো এভাবে যেঃ আমার কেউ নেই । কেউ ভালোবাসে না।
ফাহিমের ফোনে নিজে থেকেই ফোন দিয়েছিলো।

ফাহিম ভালো স্টুডেন্ট বলেই হয়তো বাইরের জগত্‍টা দেখে নি।
ফারিয়াকে খুব পছন্দ করতো।যদিও ফেসবুকেই পরিচয়।তবু মেয়েটা তার মন জয় করেছিলো।রোজ রাতে ফাহিম গান শোনাতো।কখনো স্কেঁচ করে পাঠিয়ে দিতো।
মন চাইলে ফারিয়াকে নিয়ে লিখে ফেলতো অনেক কিছু।
কিন্তু ভালোবাসা প্রকাশের পর ফারিয়া কথা বলছে না দেখে খারাপ লাগে তার।

-কিছু বলো না ক্যান ?
কি হইছে ?

সারারাতে কয়েকশ মেসেজ আর কল দিয়ে ক্লান্ত হয়ে যায় ফাহিম। অন্যপাশে ফারিয়া আরামে একটা ঘুম দেয়। এভাবেই ফারিয়া ফাহিমের ভেতরে থাকা অনুভূতি নিয়ে খেলতে থাকে।
সকালে উঠে ছোট্ট করে মেসেজ লিখে দেয়ঃ Love you too.

ফাহিম যেন আকাশের চাঁদ হাতে পায়।
পরবর্তী দুই মাস পুরো স্বপ্নের মত কাটে।
ফাহিম প্রায় সপ্তাহে দামি গিফট পাঠাতে থাকে।বাড়িয়ে দেয় যোগাযোগ।

কিন্তু তারপর ?
ফারিয়াকে রিলেশানশীপ স্ট্যাটাস দিতে বললেও মেয়েটা রাজি হয় না । বরং হঠ্যাত্‍ স্যাড স্ট্যাটাস দেয়া শুরু করে !

ফাহিম ফোন দিলে হয় বিজি আসে অথবা বন্ধ।খোঁজ নিয়ে জানতে পারে নতুন সিম কিনেছে ফারিয়া।আর আগের বয়ফ্রেন্ডের সাথে নাকি বাইরে ঘোরাঘুরি করে বেড়ায়।

সব বুঝেও চুপ করে থাকে ফাহিম।
কল দেয়া অফ করে দেয়।
ভেঙে পড়ে।
কয়েকদিন পর পরীক্ষা।
তাকে পড়তে হবে !

হঠ্যাত্‍ ফোন দেয় ফারিয়া।দিয়ে কেঁদে কেঁদে বলেঃ
- আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না ।
: তাহলে আমি !
- আমি জানি না ।
: টাইম পাস করেছো ?
- না । আসলে আমিই খারাপ । তোমাকে ঠকিয়েছি। আমি সরি । আমি বুঝতে পারি নাই ।

নরম হয়ে যায় ফাহিম।ফারিয়া এটাই চেয়েছিলো।দোষ করবে নিজে আর তার কষ্ট পাবে ফাহিম।দারুণ করে অনুশোচনাটা ফাহিমের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়।
ফাহিম বলেঃ
ইটস ওকে !

পরীক্ষার আগের রাতে ফারিয়া আগের বয়ফ্রেন্ডের সাথে ছবিসহ রিলেশানশীপ স্ট্যাটাস দেয়।

হাত থেকে পড়ে যাওয়া রসায়ন বইটা পড়ে যায়।পৃথিবীটা শূন্য লাগে।চোখ ফেটে যায় কান্নায়।
কত আবেগ ছিলো এই চারকোণা স্ক্রীণের ওপারের মানুষটার প্রতি।

চোখ মুছে ফেলে ভাবে কাঁদবো না । কিন্তু চোখে ভেসে ওঠে পুরনো দিনগুলো ।হুহু করে ওঠে ভেতরতাটা।

একটু পর ফারিয়ার নীল নামটা কালো রঙে বদলে যায়।
আগে নীল নামটায় ছুঁয়ে দিলেই যাওয়া যেত ফারিয়ার কাছে।
এখন সেই নামটা কালো।
হাজার চাইলেও এপারে বসে থাকা বোকা মানুষটা পৌছাতে পারে না সুখী মেয়েটার কাছে ।

তবু
পাগলের মত ছেলেটা ঐ নামের ওপর ক্লিক করতে থাকে।চোখের পানি পড়ছে কিবোর্ডের ওপর।
কিবোর্ড I আর U অক্ষর দুটির দিকে তাকিয়ে থাকে ছেলেটা।
ভাবেঃ সত্যিকার ভালোবাসা এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধ ।

মোরালঃ ব্রেকআপের পর অনেকেই টাইম পাস করতে গাধা জুটিয়ে ফেলে।কয়েকদিনের জন্য চাহিদা পূরণ করতে। অনেকটা টানবাজারের মেয়েগুলোর মত এদের কাউকে ছাড়া চলে না।কিন্তু এরা পেটের তাড়নায় এসব করে না।এটা তাদের জন্মের দোষ।
ভালো না বেসেও চমত্‍কার অভিনয় করতে এরা পটু।
টাকা গিফট আর ভালোবাসি শুনতেই ভালোবাসে।

যদি ভালোবাসতেই না পারে তবে কি দরকার অন্য একজনের গোছানো জীবণটা এলোমেলো করার ?
একবার না এরা বারবার একই কাজ করে।
আর কিছু মানুষ বারবার তাদের মায়া কান্নায় বিশ্বাস করে আবার সুযোগ দেয় ।
কিন্তু
সত্যিটা হচ্ছেঃ ভালোবাসায় কোন 2nd chance থাকে না।

লিখাঃ কাব্যপ্রেমী রিফাত।।

[[ আপনার গল্প থাকলে জানিয়ে দিন আমায় ,হয়তো লিখে তুলে ধরবো সবার কাছে।আর গল্পে মেয়ে বা ছেলে ফ্যাক্ট না।উভয় দিকেই খারাপ মানুষ আছে]]
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×