somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওয়েব সাইটে রাজনৈতিক দল ···

১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে প্রযুক্তির চর্চা কতটুকু রয়েছে বা যতটা তারা বলছেন তার কতটুকু তারা অন্তরে লালন করেন। নাকি এগুলো শুধু কথার কথা। বর্তমানে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের ওয়েবে উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রয়েছে এরকম ছয়টি দলের ওয়েবসাইট পাওয়া গেছে। দলগুলো হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, কল্যাণ পার্টি। যদিও ইলেকশন কমিশনে ৩২টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত আছে।
বাংলাদেশের প্রধান সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (http://www.aldb.org)-এর ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায় শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। ওয়েবসাইটটি মূলত দলটির নানা অঙ্গসংগঠন, খবর এবং পত্রিকা ও ম্যাগাজিন প্রকাশিত আর্টিকেলে সমৃদ্ধ। অরগানাইজেশন নামে যে অপশনটি রয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্যান্য কমিটি ও দলটির উপদেষ্টা পরিষদের নাম রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও গঠনতন্ত্রের বিস্তারিত রয়েছে এই ওয়েবসাইটে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ওয়েবসাইটও মোটামুটি তথ্যবহুল। http://www.bnpbd.com নামের এই ওয়েবসাইটি ওপেন করলে হোম পেজে দেখা যাবে ইশতেহার ২০০৮, নানা উক্তি, দলটির ইতিহাসসহ আরও অনেক কিছু। ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও ্লোগানটি চোখে পড়ার মতো। বিএনপির স্থায়ী কমিটি, নীতিমালা, নানা অঙ্গসংগঠন ও জিয়াউর রহমানের ১৯ দফারও বিস্তারিত আছে এ ওয়েবসাইটে। এছাড়া বেশ কিছু বক্তব্যও পাওয়া যাবে বিএনপির ওয়েবসাইটে। আপনি যদি কোন মন্তব্য বা প্রশ্ন করতে চান, তবে সে অপশনও রয়েছে। শিগগিরই সেটির জবাব দেয়ারও কথা বলা হয়েছে সে জায়গায়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইট (http://www.jamat-e-islami.org)-এর হোম পেজে পাওয়া যায় দলটির নানা খবর, প্রকাশনা, অডিও-ভিডিও ফুটেজ ও আগামী সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার। ওয়েবসাইটটির সাইট ম্যাপে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস। নানা অঙ্গ সংগঠন, কমিটি এবং তাদের প্রত্যাশাও প্রাপ্তির কথা। কমিউনিস্ট পার্টির (http://www.cpbdhaka.org) ওয়েবসাইট ওপেন করলে পার্টির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, বিভিন্ন খবর ও সাপ্তাহিক প্রকাশনা ‘একতার’ বেশকিছু প্রবন্ধ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বিকল্প ধারা বাংলাদেশ (http://www.bikolpdhara.com) এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির (http://www.bkp-bd.org) ওয়েব ঠিকানা থাকলেও তা অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে।
একনজর যদি আমরা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের দিকে চোখ দিই তাহলে মনে হতেই পারে যে, এটি বাইরের দেশের কোন ওয়েবসাইট। http://www.ecs.gov.bd নামের এ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর নাম। নিবন্ধনের তথ্য হিসেবে দেয়া আছে দলের নাম, প্রতীক, নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধনের তারিখ, সভাপতি ও মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদকের নাম, ফোন ও ফ্যা নম্বর। তবে ই-মেইল ঠিকানার অপশনটি থাকলেও নিবন্ধিত প্রায় অর্ধেক রাজনৈতিক দলের সেই স্থানটি ফাঁকা রয়েছে। মাত্র ১৯টি দলের ই-মেইল ঠিকানা রয়েছে। দলগুলো হল জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্রী পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাংলাদেশ ইসলামী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। তবে আধুনিক যুগের রাজনৈতিক দল বা যারা নিজেদের অত্যাধুনিক বলে দাবি করেন এমন রাজনৈতিক দলগুলোর আইসিটি সম্পর্কে অমনযোগিতা সবাইকেই অবাক করেছে। এবারের নির্বাচনে প্রযুক্তি কি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের ভেতরে প্রযুক্তি ব্যবহারের এরকম অনীহা ভাবিয়ে তুলছে সব মহলকে। তবে ওয়ান-ইলেভেনের পরে দেশে পরিবর্তনের যে ছোঁয়া লেগেছে, তা আগামী বছরগুলোতে আইসিটি সেক্টরকেও বহুলাংশে বদলে দেবে এমন প্রত্যাশা আমাদের সবার।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×