প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) এর জম্ম দিবসে অনুষ্ঠান ও আনন্দ করার নাম ঈদে মীলাদুন্নবী। অধিকাংশ মুসলিম দেশে বিশেষ করে ভারত উপমহাদেশে দিনটি জাঁকজমকভাবে পালন করা হয়। এ উপলক্ষে মীলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
কিন্তু ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে এই দিন উদযাপন করার গুরুত্ব কতটুকু তা কি আমরা চিন্তা করে দেখেছি?
হাদীছ গ্রন্থ ও ইতিহাস অনুসন্ধান করলে দেখা যায় যে, পূর্বসূরীগণ এধরণের কোন দিন উদযাপন করেন নি। এ দিন উপলক্ষে বিশেষ কোন অনুষ্ঠান বা ইবদত করেন নি। কেননা বিষয়টি তেমন গুরুত্বের হলে ছাহাবী, তাবেঈগণ তা পালন করতেন এবং কোন বিতর্ক ছাড়াই তার বর্ণনা বিভিন্ন গ্রন্থে পাওয়া যেত- যেমনটি নামায, যাকাত, রোযা ইত্যাদি সম্পর্কে পাওয়া যায়।
তাছাড়া ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করলেই কি নবী (ছাঃ) এর হক আদায় হয়ে যায়? কখনই নয়। নবীজীর হক তখনই প্রকৃতভাবে আদায় হবে যখন আমাদের বাস্তব জীবনে তাঁকে অনুসরণ করব, তাঁকে আদর্শরূপে গ্রহণ করব। এজন্য সূরা আল ইমরানের 31নং আয়াতে সুমহান আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন (আপনি বলুন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তবে তোমরা আমার (নবীজীর) অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপ সমূহ মার্জনা করবেন।)
তিনি অন্যস্থানে বলেন, (যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করল সে আল্লাহরই আনুগত্য করল।)
আল্লাহ আরো বলেন, (নিশ্চয় আল্লাহর রাসূলের মধ্যে সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে সেই ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে চায় এবং পরকালে নাজাত পেতে চায়।)
সুতরাং বাহ্যিকভাবে কিছু আনুষ্ঠানিকতার মাঝে নবীপ্রীতি সীমাবদ্ধ না রেখে তাঁর আদর্শ , রীতিনীতি ও আদেশ-নিষেধ মেনে চলার প্রতি আমাদের সকলের গুরুত্বারেপা করা উচিত।
আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দিন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০