বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ মানবাধিকার এর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। এদেশের লোকজন মানবাধিকারকে মনে করেন সবচেয়ে বড় শক্তিশালী কোন এক নিরাপদ আস্তানাকে। কিন্তু এদেশর রাষ্ট্র ব্যবস্থা মানবাধিকার ইস্যুতে কতোটুকু সোচ্চার তা চোখ বুলালেই দেখা যায়।
মানবাধিকার হরণ কোন রাষ্ট্রের জন্য কাম্য নয়। আবার মানবাধিকার লংঘন কোনো রাষ্ট্রের জন্য আশীর্বাদও নয়। একটা বিষয় জেনে নেয়া ভালো যে, যে দেশে অপরাধ প্রবণতা যত বেশি দেখা যাবে, সেদেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামী যোদ্ধাদের কোনো না কোনোভাবে আতংকিত, শংকিত ও জীবননাশের পথে এগুতে হবে। আর এমন সংগ্রামী যোদ্ধাদের জন্যই হয়তবা কখনও মানবাধিকার লুন্ঠিত দেশগুলো অন্ধকার থেকে ফিরে আসে মুক্তির বার্তা নিয়ে। তবে এটাও সত্য যে, অপরাধ প্রবণতা কখনও কমে না, বরংচ দিনের পর দিন অপরাধ প্রবণতা প্রবলতর হয়। যেমনটি দেখা যায়- শাসক কর্তৃক অত্যাচার, নির্যাতিত ও নিপীড়িত করার পর গুম করে ফেলা। অর্থাৎ, রাষ্ট্র ব্যবস্থা একসময় তার সমালোকদের নির্যাতন ও নিপীড়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো। কোনো এক সময় নির্যাতন ও নিপীড়নকে টপকে গিয়ে গুমের মতো গুরুতর অপরাধকে বেঁচে নিতে হয়েছে। আমরা যদি লক্ষ্য করি, দেশে আগের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রচুর রয়েছে, সেই সাথে যদি লক্ষ্য করি বর্তমানে দেশে আগের তুলনায় অপরাধও কিন্তু বাড়ছে। সেক্ষেত্রে যে একটা ফলাফল দেখা যায় তা অবশ্যই আমাদের জন্য সুখকর নয়। পর্ব চলবে..
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯