somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৯৮৪-১৯৮৫ সাল

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কে জানত জীবনটা ডাল হয়ে যাবে । অন্ধকারে হাড়িয়ে যাবে বাস্তবতা । তবে আমি বুঝতে পারছিলাম , এবারের ব্যপারটা অত সহজ হবে না। তবু আমি নির্বেকার । কেননা আমি তখনও ছোট । ব্যাক্তিগত স্বাধিনতা ও মত প্রকাশের সাহস সে সময় অৎটা ছিল না । বাবা মানসিক ভাবে হয়তো ডিসিশন নিয়েই ফেলিয়েছিল । তার সন্তানকে তুকতাক , ঝারফুক ও কবিরাজি টিটমেন্ট করাবে ।

সে এক বিভৎস অভিজ্ঞতা । বাংলাদেশের এ এক সামাজিক কদোর্জ কাহিনী । ঝারফুক আর তাবিজ কবজে কঠিণ বিশ্বাসি । কেন জানি আগাগোড়াই আমার এসব ভণ্ডামির প্রতি বিশ্বাস আর আত্মতৃপ্তি ছিল না ।

হঠাৎ একদিন দেখি এক চরকের সন্ন্যাসি বাড়িতে নিয়ে এসে হাজির । তাকে সবাই ডাকত নিমাই সন্ন্যাসি বলে । নামডাক ছিল । তিনি নাকি তাবিজ কবজে মানুষকে বড়লোক বানিয়ে দেয় । তাই আবার হয় নাকি ? আমার বিশ্বাসের কি যায় আসে । আমার কথা কে শুনে ? নির্মম সে সব দিন । ভুলতে পারিনা । জানি না ভুললে যে সামনের দিকে এগোতে পারব না ।

রাত ন'টা । বাবা আর মা পাজাকোলা করে চেয়ারে নিয়ে এসে বসাল । আমার সামনে আগুনের মধ্যে কোদাল ,দা ,কুড়োল গরম হচ্ছে । লাল টকটকে যখন হয়ে গেল সন্ন্যাসিমহাশয় থালার মধ্যে জল আর তেল মিশ্রিত পাত্রে হাতটা চুবিয়ে নিয়ে ।ঔ লাল টকটকে কোদালে হাতদিয়ে চাপাটি মেরে সেই হাত দিয়ে সন্ন্যাসি আমার পায়ে ঝাড়তে লাগলেন । কি অপূর্ব ভণ্ডামী ছিল । তবু কিন্তু সেদিন ভীষণ অবাগ হয়েছিলাম । মনে বিশ্বাসও এসেছিল , ওৎ গরম লোহায় হাত দেবার পরও ফোসকা বা হাত পুড়ছে না । নিশ্চয় কিছু একটা মোহিমা আছে । আমি বুঝতে পারিনি এরা আমার বিশ্বাসে সাথে প্রতারিত করছে । এখন মাঝেমাঝে কথাগুলো মনে হলে খুব খুউব রাগ হয় । কেননা যত কবিরাজ ,সন্ন্যাসি দেখিয়েছে ,তারা যদি বলত আমরা পারব না ।তবে বাবা হয় তো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেন ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরোনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×