somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পর্দা এবং বোরখা (শেষ পর্ব)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোরআনের আয়াত অনুযায়ি হাতের পাতা, পায়ের পাতা এবং চেহারা বের হলে কোন অসুবিধা নেই। পর্দা রক্ষার জন্য বোরখা পরিধান করতে হবে এমন কোন ইন্ঙিত দেয়া হয়নি। বোরখার রং বা হুল কতটুকু হবে সে ব্যপারেও কিছু বলা হয়নি।

কিন্তু কওমি মাদ্রাসা এবং তাবলিগে জামাতের মতে বর্তমানের যুগের উপর ভিত্তি করে সমস্ত উলামারা এ সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে বোরখা পর্দা করতে হবে নিম্ন রুপ:

বাইরে বের হতে বোরখা পরিধান করতে হবে।
সে বোরখা হবে পা পর্যন্ত লম্বা এবং কালো কাপরের (সিনথেটিক) । নিচের পার্ট ঢোলা-ঢালা পায়ের পাতা পর্যন্ত। উপরের পার্ট প্রায় হাটুর নিচে চলে যায় ঝুল। এরপর মুখ ঢাকার জন্য নেকাব। বাকি থাকে চোখ। চোখ ঢাকার জন্য জরজেটের ২টা পার্ট, ঝুল প্রায় বুক পর্যন্ত।
সাথে কালো হাত মোজা এবং পা মোজা (স্কিন মোজা নয়)।
ছবি- ১

কথা হচ্ছে আল্লাহ তা’য়ালা সব বিষয়ে জ্ঞাত। যুগের অবস্থা কখন কেমন হবে তা আল্লাহ তা’য়ালা ভালো করেই জানেন। যদি এমন করে বোরখা পড়ার প্রয়োজন হতো তাহলে তিনি কোরআনে উল্লেখ করেই দিতেন।

কোন উলামাকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি ইসলামের হুকুম বানানোর। এটি সীমালংঘনেরই নামান্তর।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে অনেক কিছুই তো দেয়া নেই কোরআনে।
কথা হলো সারা কোরআন ব হুবার রয়েছে আল্লাহ মানুষকে বুদ্ধিমান প্রানি হিসেবে তৈরি করছেন। স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে।

স্বাভাবিক বুদ্ধি সম্পন্ন লোক কখনও উপরোক্ত ফর্মুলায় পর্দা করার কথা বলবেন না।

এবার আসি কোরআন অনুযায়ি আমরা কিভাবে পর্দা রক্ষা করতে পারি।
এ ব্যপারটা অনেক টা ব্যক্তিগত। কে কিভাবে পর্দা রক্ষা করবেন তা নিজের ব্যপার। ব্যপারটা যায়গা ভেদে আলাদা হয়।

নিচের পোষাক পরিধান এর সব গুলোই আমার কাছে মনে হয় পর্ডা রক্ষার জনয় যথেস্ঠ:

প্রথম কথা হচ্ছে ” ইন্নামাল আ’মালু বিন্নিয়াত”।
অর্থাৎ, ইচ্ছেটা ঠিক হতে হবে। আমি এমন ভাবে পোষাক পরিধান করবো বা বডি ল্যাংগুয়াজ আমার এমন হবে যাতে করে অনর্থক বিশৃংখলা সৃষ্টি না হয় সমাজে।

১।আপনি ফুল হাতা জামা পরতে পারেন। বড় ওড়না দিয়ে শরির ঢাকতে পারেন। মাথায় কাপড় দিতে পারেন।

২। কেউ কেউ হাটু পর্যন্ত কোট এর মত বোরখা পরে থাকে। উপরে উড়না বা স্কার্ফ।

৩।শীত প্রধান দেশে যেই পরিমান শীতের কাপর পরা হয় তাতে অমুসলিমও পর্দার জন্য সওয়াব পেয়ে যেতে পারে।
তবে মাদ্রাসার হুজুর রা দেখলে বলবে আপনার ইমান শেষ, কারন আপনি বিধর্মির পোষাক, জিন্স পড়েছেন।

৪। বাংলাদেশের অনেকে লম্বা বোরখা পরে ,উপরে স্কার্ফ। মুখ খোলা।

৫। কেউ ফুল হাতা জামা পরে গায়ে ওড়না জড়ায় এবং মাথায় স্কার্ফ থাকে।

মূল কথা হলো মার্জিত থাকা। এবং একজন সুস্থ মানুষ জানেন কিভাবে মার্জিত থাকতে হয়। আগা থেকে মাথা পর্যন্ত বোরখা জড়িয়ে যদি নিয়ত খারাপ হয় তাহলে কোন ফায়দা নেই।

মাদ্রাসা গুলোতে যতবার বলা হয় “সদা সত্য কথা বল” তার থেকে ১০০ গুন বেশি বলা হয় পর্দা করো, বোরখা পরো।
কোন দরকার নেই ঐ রকম পর্দা যা একটা মেয়ের প্রতিদিনের চলা ফেরা কে ব্যঘাত ঘটায়। দুর্বল করে দেয় মানসিক এবং শাররিক ভাবে।

নিয়ত কে শক্ত করতে হবে। পর্দার দায়িত্ব কেবল নারির নয়।
উলামাগন এমন ভাবে বলছেন যে নারী কাপরের ভেতর ঢুকলে দুনিয়ায় শান্তি মিলবে।

ইসলামটাকে নষ্ট করে ফেলছে এ ধরনের হুজুরেরা। ইসলামটাকে পুরুষদের জন্য বানিয়ে ফেলছে।

আপনাদেরকে একটা অনুরোধ করবো:

জামাতি ইসলাম, মাদ্রাসার হুজুর অথবা তাবলিগ জামাত কে দেখে ইসলাম কে চিনবেননা দয়া করে। নিজের পড়ুন। কোরআন পড়ুন। ইসলাম কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি না যে , যা মন চায় তাই ফতোয়া দিবে।

নিজে পড়ুন, নিজে জানুন, নিজে বুঝুন।



সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৫
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×