২৫/২/২০০৯ বাংলাদেশের বুকে বয়ে গেল রক্ত
গঙ্গা,হরিয়ে ফেলেছি ৫৭ জন চৌকস সেনা
কর্মকর্তা। হয়ে রইলো ইতিহাস পিছিয়ে গেলাম
আমরা সাক্ষী হিসেবে আছি আমরা বর্তমান
প্রজন্ম।
বি ডি আর বিদ্রোহ
২৫শে ফেব্রুয়ারী
বিনম্র শ্রদ্ধাজানাই ঐ ঘটনায় নিহত সকল সৈনিক
কর্মকর্তা পথচারী সকলকে,সমবেদনা জানাই
নিহতের পরিবার শুভানুধ্যায়ীদের,অপুরনীয় ক্ষতি
হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের বাংলাদেশ
সেনাবাহীনির, ধিক্কার জানাই জানাই বিদ্রোহের
নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ পরিচালিত করেছেন,
বিদ্রোহ,,,,,,
বিদ্রোহ অধিকার আদায়ের একটি প্লাটফরম যা সব
সময় শোষিত ও সুবিধা বঞ্চিত গুষ্টিরা করে থাকেন
শাষিতদের বিরুদ্ধে,সেটা হতে পারে সসস্ত্র/
নিরস্ত্র যেকোন ভাবে।
বিডিআর কি সুবিধাবঞ্চিত ছিল,আমার মতে অবশ্যই!
বিডিআর নিজেস্বতা আছে তারা বর্ডারের অতন্দ্র
প্রহরী তাদের ট্রেনিং হয় সেনা পর্যায়ে অথচ
সে পর্যায়ের সুযোগ সুবিধা তারা পায়না,চব্বিশ ঘন্টাই
তাদের ডিউটি থাকে কিন্তু রাষ্ট্র তাদের প্রতি ন্যায়
বিচার করছে না তারা অফিসার হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা
সেনা কর্মকর্তা এনে তাদের নিয়ন্ত্রন করা হয়
তত্ববোধায়ক সরকারে সময় ডাল ভাত কর্ম সূচির
সব কিছু করেছেন বিডিআর সেই সুবিধা নিয়েছে
সেনাবাহীনি তা নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়
কথিত আছে,
বিডিআর
থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের
কর্তৃত্বের অবসান, রেশন ও বেতনবৈষম্য দূর
করাসহ বেশ কিছু দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ
করে।
বাংলাদেশ রাইফেল স্বাধীন বাংলাদেশের ৩৮
বছরেও নিজেদের থেকে অফিসার হওয়ার
যোগ্যতা কেন রাখেনা এই দায় কার নিচ্চয় রাষ্ট্র
ব্যাবস্থার,বিডিআর বিভিন্ন সময় এ সকল দাবি করেছিল
তা কেউ আমলে নেয়নি বিডিআর মহাপরিচালক
বলতেন তোসরা সামরিক বাহীনির কেউ নয়
কেন তোমাদের কথা শুনবো,
তখন বিদ্রোহ ছাড়া আর কি করার থাকে তাদের
আপনাদের কাছে মনে হবে আমি বিডআরের
পক্ষে সাফাই গাইতেছি হতেই পারে তবে ২৫শে
ফেব্রুয়ারী সকালে সবাই বিডিআরের পক্ষেই
ছিলেন,
বিএনপির নাসির উদ্দিন পিন্টু শ্লোগান দিয়েছিলেন
বিডিআর জনতা ভাই ভাই এখন যারা আমরা সাধারণ মানুষ তারা
ঠিকই বিডিআর আমরা ভাই ভাই মনে করেছিলাম কারন
বিদ্রোহের সফলতার পাল্লা ভারী ছিল বিডিআরের
দিকে
আসলে পরাজিতদের পক্ষে থাকতে আমরা পচন্দ
করিনা,
আমার এক পরিচিত জন ঐদিন সকালে আমাকে এসে
বললেন সেনাবাহী আর বিডিআর সংঘর্ষ চলছে
পিলখানায় সেনা প্রধান বিডিআর এর মহাপরিচালক দু,জনই
নিহত,দেশের পরিস্তিতি খুবই নাজুক,পরে জানলাম
সেনা প্রধান আসলে সেখানে ছিলেননা,
অভিযোগ আছে প্রধানমন্ত্রী/প্রধান
বিরোধী দলের নেত্রী তারা বিষয়টা কিছুটা
হলেও জানেতন কারণ সেদিন শেখ হাসিনা
ছিলেননা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে খালেদা জিয়া
ছিলেন না ক্যান্টনমেন্টের বাসায়,হয়তো বিষয়টা
কাকতালীয় তবে তা আমরা এড়িয়ে যেতে পারিনা
নিরপেক্ষ তদন্তের সার্থে,
যতটুকু জানতে পারছি, দরবার হলের এই
সভায় প্রধানমন্ত্রীরও থাকার কথা ছিল
(ইত্তেফাক, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। প্রতি
বছর দরবার হলের এ সভায় প্রধানমন্ত্রী
উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এ বছর
তিনদিনব্যাপী রাইফেলস সপ্তাহের
উদ্বোধন করলেও পরদিন সকালের ওই
বৈঠকে কেন ছিলেন না? সামরিক
বাহিনীর কর্মকর্তারা কি বুঝতে
পেরেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে
বিডিআর সদস্যরা তাদের দীর্ঘদিনের
ক্ষোভ তুলে ধরবেন এবং সেটিকে তারা
ঠেকাতে চেয়েছিলেন?
প্রথম আলো থেকে যা জানা যাচ্ছে :
বিডিআর সদস্যদের যখন মহাপরিচালক
জানান, তোমরা সামরিক বাহিনীর সদস্য
নও এবং তাই তোমাদের পয়েন্ট উত্থাপন
করা হবে না, তখন অসন্তোষ দেখা দেয়।
পরে মহাপরিচালক অকথ্য ভাষায়
গালিগালাজ করে আদেশ দেন, ওদের
কোয়ার্টার গার্ডে ঢুকাও।
কোয়ার্টার গার্ডে কাউকে ঢোকানোর
অর্থ তার জীবন নিশ্চিত শেষ। তাই যাদের
কোয়ার্টার গার্ডে ঢোকানোর আদেশ
দেয়া হয়েছিল, তাদের বিদ্রোহ করা
ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।
দেয়লে পিঠ ঠেকলে সবাই লড়ে,
আমার মনে হয় সরকার এখনো সেই পুরনো
নীতিতে পরিচালিত করছে বিডিআর/বিজিবি
সরকার রাষ্ট্রের শুভবুদ্ধির উদয় হোক কোন
পর্যায়ের বৈষম্য যেন না থাকে,যেন আর দানা
বাধতে না পারে কোন বিদ্রোহ,
সরকারের চতুরতার সাথে সাধারণ ক্ষমা করে
আরো বড় নৃশংসতা হত্যাযজ্ঞ থেকে আমরা রক্ষা
পেয়েছি,যে কোন হত্যায় নিন্দনীয় আমরা সুষ্ঠ
বিচার চাই, ,
এই অপরাধে তাদের ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের
যাবজ্জীবনসহ ৪২৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদের
কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৮ জনের
জেল হয়েছে ৪০ বছর। এ পর্যন্ত সারা দেশে
১১টি বিশেষ আদালতে ৫ হাজার ৯২৬ জনকে দণ্ড
দেয়া হয়েছে। এর আগে অনেক বিডিআর সদস্য
গায়েব হয়ে যাওয়ার কথা আমরা শুনেছি,
ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ সেনাবহীনি কে
তারা কোন ধরনের সামরিক এ্যাকশন পরিচালিত না করার
জন্যে, রাজনীতিক সমাধানে তৎকালীন
সরকারকে সহযোগীতা করার জন্যে,যার জন্যে
আরো প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেয়ছে দেশ,
জয় বাংলা/জয়তু সকল দেশমাতা রক্ষায় নিয়োজিত
সৈনিকদের,