somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটা ছোট গল্প

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশের কোন একটা গ্রামে পাঁচ জন ছেলের একটা দল ছিল। এবং সেখানে একটা মেয়ে ছিল যে কিনা তাদের দুই জনের সাথে একসাথেই প্রেম করতো কিন্তু দুই বন্ধুর কেউই জানতো না যে তাঁরা দুই জন একই মেয়ের সাথে প্রেম করছে কারন ছেলে দুই জনই তাদের প্রেমিকার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলো। কিন্তু প্রকৃতি বলে কথা, প্রকৃতি বেশীদিন অসামঞ্জস্য বস্তু লালন করে না। বাকি তিন বন্ধুর একজন কাকতালীয় ভাবে জেনে যায় এই ঘটনা এবং সেও তখন সুযোগ খোজে ঐ মেয়ে কে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে এবং সফলও হয়। কিন্তু ঐ ছেলেটা মানুষ হিসেবে অতটা সাধু ছিলো না তাই সে ঐ মেয়েকে নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করে। ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে অবশেষে সে মেয়েটাকে নিয়ে পালাতে পারলেও তার মনে মেয়েটার প্রতি কোনও রকম ভালোবাসা ছিলো না। তাই সে গ্রাম থেকে পালিয়ে নিয়ে এসে মেয়েটা কে একটা হোটেলে বিক্রি করে দেয়। পরবর্তিতে যখন জানাজানি হয় তখন পুলিশ এবং মানবতা কর্মিরা এই ব্যাপারটা নিয়ে সোচ্চার হয়। এবং ফলাফল হিসেবে দাঁড়ায় ঐ ছেলেটার জেল হয়। কিন্তু মেয়েটার ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। ছেলেটার শাস্তি হয়। মেয়েটা তার কর্মফল পায়। আগের দুই প্রেমিক দুর্ভাগা হয়।
কার্টেসীঃ মাহফুজ ভাই (এক্স কোম্পানী কলীগ)

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভাবার্থ যা দাঁড়ায়, তিন নম্বর ছেলেটা ছিলো অসৎ। মেয়েটার জীবন যাপন এবং স্বভাবটাও ছিলো প্রশ্নবিধ্য। আর দুই জন অজ্ঞ প্রেমিক।

আমি আজ মানবতা কর্মির দায়ত্ববোধ নিয়ে আলোচনা করবো না। তাঁরা তাদের কাজ টাই করে গেছেন এখানে। কিন্তু আমি আমার আগের লেখা গুলোতে মানুষের বস্তুবাদিত্ব এবং দ্বীমুখী নীতি নিয়ে যে আলোচনা গুলো করেছি তার সফল উদাহরন এখানে প্রকাশ পায়। মানবতা কর্মী আজ এখানে প্রকাশ্য অপরাধ খুজে পেয়েছে বিধায় আজ ঐ ছেলেটা জেলে। তার শাস্তি হওয়ার পেছনো কোন যুক্তি স্থাপন সম্ভব নয় কারন সে প্রকাশ্য অপরাধী। কিন্তু ঐ যে বললাম, প্রকৃতি অসামঞ্জস্য কোনও কিছুই পছন্দ করে না, তাই প্রকৃতি যেমন তার রুড় আচরনের দ্বারা প্রতিশোধ নিয়ে নিলো।

কিন্তু এখানে আমার আলোচনার মূল বিষয় ঐ দুইজন ছেলে যারা মিথ্যা আশ্বাসের পেছনে ছুটেছে অনেক গুলো দিন। আমি তাদের নিয়ে ভাবি। কেননা মানুষের মনস্তাত্তিক বিষয়াদির সাথে যুক্ত থাক্তেই হয় এবং থাকবে। কেননা প্রকৃতি তার তথ্যাদি আদান প্রদান করেই মনস্তাত্তিক পথে। আজকে মেয়েটাও শাস্তি পেলো, ঐ অপরাধীটাও শাস্তি পেলো কিন্তু এই দুই জনের কি হবে? আজকে আমি কিংবা আপনি যদি ঐ দুই জনের একজন হতাম তাহলে কি করার ছিলো?

হ্যা করার ছিলো। সময়ের পথে এগিয়ে যাওয়া। সময়ের তালে সব কিছুই হয়তো হারিয়ে যাবে। কিন্তু আমি যদি বলি সব কিছু হারিয়ে যাবে না, আপনি কি যুক্তি দেখাতে পারবেন? পারবেন। কেননা সমাজের এই রকম ঘটে যাওয়া অনেক গল্পের নায়করাই নিজের ভেলায় হারিয়ে যায়, সেটার পরিমান হতে পারে ৯৯%, এবং তা কখনৈ ১০০% না। কিন্তু আমি ঐ ১% নিয়েও ভাবি। যে ছাত্র ক্লাসে ১ম তাকে নিয়ে ভাবার কিছু নেই কিন্তু যে সর্বশেষ, তাকে নিয়ে ভাবার অবকাশ আছে বৈ কি। যদি ঐ ১% মানুষ যদি নিজেকে বদলাতে না পারে তখন আপনি তাদের কি উপদেষ দিতে পারবেন?

ঐ ১% মানুষের মাঝে তারাই অবস্থান করে যারা সমাজের কালো অংশে থেকে নিজের মৃত্যু ডেকে আনে নিজের হাতেই। আত্নহত্যা। আপনি আজ আত্নহত্যা কে শ্রেফ আত্নহত্যা বলেই ক্ষমা কিংবা সহমর্মিতা দেখাতে পারেন কিন্তু সেটা কি যথেষ্ট সুবিবেচনা হিসেবে প্রকাশ পায়?

আমাদের সমাজটা এতটাই দ্বিমূখী এবং এতটাই বস্তুবাদী যে গভীর চিন্তা করার প্রয়োজন মনে করি না আমরা। আমরা মানুষের বর্তমান টা নিয়েই বিবেচনা করি কিন্তু তার ভেতরের মনস্তাত্তিক বিষয়াদি নিয়ে ভেবে দেখি না। কিন্তু সেটাই কিন্তু বিবেচনার গুরুত্ত রাখে সমান ভাবে কারন বস্তুবাদি সিস্টেমে প্রকৃতি তার তথ্যের আদান প্রদান করে না। কিন্তু ঘুমিয়ে থাকালেও প্রকৃতি তার তথ্যাদি আদান প্রদান করে থাকে এবং তা অবশ্যই মনস্তাত্তিক পদ্ধতিতে এবং যা বিবেচনার গুরুত্ত্ব বহন করে।

আমি তাই চাই দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্যমান সব কিছুরই সমানভাবে বিবেচনার অন্তরভুক্ত হোক। তাহলে আমাদের ভুল করার পরিসংখ্যাটা অনেক কমে যাবে।

অঃটঃ আমাদের দেশের সাধারন মানুষ কিংবা মানবাধিকার সংগঠন গুলো এমন একটা মূলনীতি নিয়ে চলে যার ভাবার্থ্য দাঁড়ায় ‘মেয়েরা অপরাধ করলে হয় ভুল, ছেলেরা অপরাধ করলে হয় প্রতারনা’।
কিন্তু এমনটা কখনোই কাম্য না।




([email protected])
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×