আজ এক খবরে দেখলাম যে ঢাকার ৯% লোকজন করোনায় সংক্রমিত এবং তার ৭৮% এর মাঝে কোন সিম্পটম নাই!!!!! চমৎকার খবর যদি সত্য হয়....তাহলে সব কিছু খুলে দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি এর দিকে গেলেই হয়...হয়ত বয়স্ক লোকজন কে রক্ষা করার জন্য অন্য কোন উপায় বের করতে হবে....যাতে উনারা কারোর সংস্পর্শে আসতে না পারেন...কিন্তু কিভাবে ৭৮% কোন সিম্পটম নাই সম্ভব হল? কভিড রোগ বানানোর করোনা ভাইরাস এর কিছু নিকটআত্নীয় আছে যারা কভিড এর মত এরকম মারাত্নক রোগ তৈরী করে না....এরা মাইল্ড সর্দি তৈরী করে ....এদের নাম হল 229E, NL63, OC43, and HKU1করোনা ভাইরাস....দেখা যাচ্ছে যে যারা আগে কখনও এই সব মাইল্ড করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সামান্য সর্দি কাশিতে ভুগেছেন, তারা শরীরে ইমিউন সিস্টেম কে 'ট্রেইন' করাতে পেরেছেন যাতে করে কভিড এ আক্রান্ত হলেও শরীর এর ইমিউন সিস্টেম আগের মাইল্ড করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে কভিড এর ভাইরাস এর সাথে সফল ভাবে ফাইট করতে পারে...তাই হয়ত কভিডে আক্রান্ত হয়েও কোন সিম্পটম শো করে না...যারা কোন সিম্পটম শো করে না তাদের ইমিউন সিস্টেম রিসার্চ করার এখনই সময়...দেখা উচিত কি ধরনের এন্টিবডি, কভিড কজিং ভাইরাস এর সাথে ফাইট করছে।
রিসার্চ এ যদি পাওয়া যায় যে 229E, NL63, OC43, and HKU1 ভাইরাস এর সময় এন্টিবডি ই কভিড ফাইটিং এ বেশী সক্রিয় তাহলে আমার প্রস্তাব হল যে, পরীক্ষার জন্য সীমিত আকারে কিছু জনসাধারন এর মাঝে 229E, NL63, OC43, and HKU1 করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া হোক.....যেহেতু এসব ভাইরাস তেমন কোন ক্ষতি করতে পারে না, কিন্তু কভিড এর ভাইরাস এর বিরূদ্ধে লড়ার শক্তি জোগায়, তাহলে এই পদ্ধিতি গবেষনাগারে পরীক্ষা করে ব্যাপক হারে ব্যব হার করা যায় কিনা দেখা উচিত।
তবে সেইফটি হিসাবে এও দেখা উচিত যে 229E, NL63, OC43, and HKU1 করোনা ভাইরাস এর এন্টিবডি কি অন্য কোন ভাইরাস এর কে সহজেই মানব দেহে প্রবেশে সাহায্য করে কিনা যেটা কে বলে Antibody-Dependent Enhancement (ADE)। ডেংগুতে ADE একটা প্রবলেম।
বিসিজি ঠিকা নেওয়া লোকজনের ম্যালেরিয়া হয় না বলেই প্রতীয়মান...এখন দেখা যাচ্ছে যে যারা হেপ সি, ফ্লু, নিউমোনিয়ার টিকা নিয়েছেন, তারা কম আক্রান্ত হচ্ছেন... তাহলে 229E, NL63, OC43, and HKU1 লো ডোজ কে 'টিকা' হিসাবে ই নেওয়া যেতে পারে..অবস্যই সেফটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর....।
আর হ্যা মাস্ক ব্যবহার করতে ভুলবেন না....অন্য সব কিছুর মতই 'সাইজ ম্যাটারস' ভাইরাস এর বেলায় ও...মাস্ক যে ব্যবহার করে না, সে তার নিশ্বাস এর সাথে হয়ত ১০,০০০ কপি ভাইরাস কে নিজের দেহে প্রবেশ করায়। আর যে মাস্ক পরে থাকে, সে হয়ত ১০ কপি ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করায়....আপনার ইমিউন সিস্টেম ১০,০০০ কপি কে হ্যান্ডেল করতে পারে না কিন্তু ১০ কপি কে সহজেই হ্যান্ডেল করতে পারে...আর এই ১০ কপি লো ডোজ টিকার মতই কাজ করে যাতে আপনার ইমিউন সিস্টেম পরে আবার আক্রান্ত হলে সহজেই ফাইট করতে পারে...তার মানে মাস্ক করোনা টিকার মতই হেল্প করে...।
হ্যাপি মাস্কিং...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:০৬