somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Appalachian Trail ৩৫০০ কিমি পায়ে হেটে

০১ লা মে, ২০২৫ ভোর ৬:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল: এক অসাধারণ অভিযানের গল্প

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবুন, আজ আপনাকে ১৫-২০ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে। রাত হবে পাহাড়ের কোলে তাঁবুতে, খাওয়া-দাওয়া চলবে নিজের রান্না করা খাবারে, আর গোসল? সম্ভব হলে কোনো ঝর্ণা বা নদীতে। এমন একটা জীবন যদি কয়েক মাস চলতে থাকে? অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? কিন্তু আমেরিকায় প্রতিবছর শত শত মানুষ ঠিক এই কাজটাই করে — অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল (Appalachian Trail) হেঁটে শেষ করে
অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল কী?

অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল একটি দীর্ঘতম পদযাত্রা পথ, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে জর্জিয়া (Georgia) অঙ্গরাজ্যের Springer Mountain থেকে শুরু হয়ে উত্তরদিকে মেইন (Maine) অঙ্গরাজ্যের Mount Katahdin পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ট্রেইলটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার (২,১৯০ মাইল)!

এই ট্রেইলটি পাড়ি দিতে সাধারণত ৫ থেকে ৭ মাস সময় লাগে। একে বলা হয় "thru-hike", অর্থাৎ সম্পূর্ণ ট্রেইল একবারে হেঁটে পার হওয়া
তারা কোথায় ঘুমায়?

পথে ঘুমানোর জন্য হাইকাররা সাধারণত তাঁবু (tent) ব্যবহার করে। ট্রেইলের কিছু অংশে shelter বা কাঠের তৈরি ছোট কুটির আছে, যেখানে কয়েকজন একসাথে রাত কাটাতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময়ই প্রাকৃতিক পরিবেশে, গাছের ছায়ায় তাঁবু খাটিয়ে রাত কাটাতে হয়।
তারা কী খায়?

যেহেতু রেস্টুরেন্ট বা বাজার নেই মাঝখানে, তাই হাইকাররা সঙ্গে করে শুকনো খাবার নিয়ে চলে – যেমন পিনাট বাটার, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, ওটমিল, শুকনো ফল ও বাদাম। মাঝে মাঝে ট্রেইলের পাশে ছোট শহর বা গ্রামে পৌঁছালে সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করে নেয়া হয়।
তারা কীভাবে হেঁটে চলে?

প্রতিদিন গড়ে ২০ কিমি মতো হাঁটতে হয়। ট্রেইলটি পর্বতময় এবং নানা ধরনের আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে যায় – কখনো তুষারে, কখনো কাদায়, আবার কখনো বৃষ্টিতে। কিন্তু এই অভিযাত্রায় প্রকৃতির সৌন্দর্য, নির্জনতা, এবং আত্ম-আবিষ্কারের অভিজ্ঞতা অসাধারণ।
কেন মানুষ এই কষ্টকর ট্রেইল পাড়ি দেয়?

অনেকেই মানসিক প্রশান্তির জন্য, কেউ নিজের সীমা পরিক্ষা করার জন্য আবার কেউ একেবারে "off-the-grid" জীবনযাপন করতে চায় বলেই এই যাত্রায় নামে। অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল অনেকের জন্য এক spiritual journey হয়ে ওঠে।

ছবি যা এই ট্রেইলের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে:



হাইকারদের জীবনযাপন

নিদ্রা: হাইকাররা সাধারণত তাঁবু বহন করে এবং ট্রেইলের নির্ধারিত শেল্টার বা ক্যাম্পসাইটে রাত কাটায়। কিছু স্থানে কাঠের তৈরি শেল্টারও পাওয়া যায়, যেখানে কয়েকজন একসাথে রাত কাটাতে পারে।​

খাদ্য: পথে খাবারের দোকান না থাকায় হাইকাররা শুকনো খাবার যেমন ওটমিল, নুডলস, বাদাম ও শুকনো ফল বহন করে। মাঝে মাঝে ট্রেইলের পাশে ছোট শহর বা গ্রামে পৌঁছালে সেখান থেকে খাবার সংগ্রহ করে নেয়।​

হাঁটা: প্রতিদিন গড়ে ২০ কিমি মতো হাঁটতে হয়। ট্রেইলটি পর্বতময় এবং নানা ধরনের আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে যায় – কখনো তুষারে, কখনো কাদায়, আবার কখনো বৃষ্টিতে। কিন্তু এই অভিযাত্রায় প্রকৃতির সৌন্দর্য, নির্জনতা, এবং আত্ম-আবিষ্কারের অভিজ্ঞতা অসাধারণ।
এই ট্রেইলটি প্রকৃতি প্রেমী ও অভিযাত্রীদের জন্য একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। আপনি যদি প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটাতে চান, তবে অ্যাপালাচিয়ান ট্রেইল হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।

আমার পরিচিত দুজনকে চিনি যারা কাজ থেকে বছর খানিক ছুটি নিয়ে এই ট্রেইল পাড়ি দিয়েছিলেন....। অনেক বছর আগে ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়াতে 'ভ্রমন' এর সময় এই ট্রেইল এর কিছু অংশে হাইকিং করেছিলাম...কিছুক্ষন পর পর ই কাধে বিরাট বিরাট ব্যাগ/টেন্ট নিয়ে দলবদ্ধ লোকজন/একাকী/যুগল লোকদের সেই ট্রেইল ধরে হাটতে দেখেছিলাম।
সোর্স: চ্যfট জিপিটি
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৪৪
১৫টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অসমাপ্ত সংগীত

লিখেছেন স্প্যানকড, ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬

ছবি নেট।



তুমি এক প্রিয় সুর
আমি হারিয়ে যাওয়া অসমাপ্ত সংগীত!
অথবা,
তুমি পরিবর্তনশীল ঢেউ
আমি নামহীন নাবিক!
আমাকে তুমি ফিরিয়ে নিয়ে যাও
গল্প শোনাও এক অদৃশ্য পৃথিবীর।

বুঝিয়ে দিয়েছ তুমি
আমার নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালির কপালে সুখ নাই

লিখেছেন রাজীব নুর, ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৮



সময় তখন ১৯৪৩ সাল।
ব্যবসায়ীদের অতি লোভের কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এই দুর্ভিক্ষে কমপক্ষে এক লাখ মানুষ মারা যায়। ক্ষুধা কোনো ধর্ম মানে না। হিন্দু যায় মুসলমানের বাড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেমিনাই, অর্থাৎ মিথুন রাশি

লিখেছেন করুণাধারা, ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৫৪

এক সপ্তাহের মধ্যে তিনজনের জন্মদিন। তারমধ্যে আজকে যার জন্মদিন তার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট নিবেদিত!!

রাজীব নুরের বড় মেয়ে পরীর জন্মদিন ৬ জুন। আগে পরীর জন্মদিনে উপলক্ষে রাজীব নুরের পোস্ট দেখতাম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসাদের পতনের পর নতুন ভূ-রাজনীতির মুখোমুখি সিরিয়া !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:৪১

[media pointer="file-service://file-26h7VczEB5tkxCSLjrwomQ"]
সিরিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক বাশার আল-আসাদের পতন কেবল একটি স্বৈরাচারী সরকার পরিবর্তনের ঘটনা নয়; বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী রাষ্ট্রব্যবস্থার ভাঙনের প্রতিচ্ছবি। ২০১১ সালে আরব বসন্তের ছায়ায় শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

Between Mars and the Moon

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৮



মডেল: ভিভিয়ান লি, সিঙ্গাপুর

I dwell in the rust-red silence of Mars,
Where winds whisper through canyon scars.
The sun sets low in a sky so wide,
But without your... ...বাকিটুকু পড়ুন

×