সারা বিশ্বে যখন ধর্মন্ধতার বিরুদ্ধে প্রগতিশীলেরা তাদের স্ব স্ব স্থান থেকে প্রতিবাদ শুরু করেছে। ঠিক তখনি এক শ্রেনীর শিক্ষিত ধর্মব্যবসায়ীরা নতুন পদ্ধতিতে নতুন কায়দায় শুরু করেছে ধর্মের অপভ্রঙশ গাজন।
এই সেদির এক নামকেওয়াস্তে ভদ্রলোকের সাথে কথা বলতে গিয়ে হঠ্যাত করে শুনতে হলো যে, প্রতিটা ধর্মপ্রান মুসলিমকেই তার নিজ ইসলাম ধর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করতে হবে, নাহলে ধর্ম তার জায়গায় থাকবেনা। এই হলো নিওলিবারাল ধর্মব্যবসা।
আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধির মস্তিস্ক বললো, যখনি সর্বশ্রেষ্ঠ কথাটি আসে ঠিক তখনি নিকৃষ্ট বা সর্বনিকৃস্ট শব্দটিও পাশাপাশি হাত ধরে চলে আসে। তাহলে একোন ধর্মকথন? যেথানে একটি ধর্মকে সবার উপরে উঠাতে গিয়ে অন্য সকল ধর্মকে নিকৃষ্ট করার পায়তারা করা হয় খুবই সুকৗশলে। এর একটা আভিধানিক নাম দেয়া যেতে পারে, যেমন ধ:রা যাক জার্মানির কথা, জার্মান বাহিনী প্রগাড় জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হয়ে একের পর এক মানুষ হত্যা ্ও দেশের পর দেশে আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। এই মানুষ হত্যা এবং আগ্রাসী ভূমিকাকে কখোনেই মানবিক দৃষ্টি কোন থেকে সমর্থন দেয়া যায় না। যায় কি?
ঠিক এই জায়গাতেই নতুন পন্থা নির্ধারণ করেছে এই নিও লিবারাল ধর্মব্যবসায়ীরা। তারা জঙ্গীবাদকে সমর্থন দিচ্ছে না মুখে কিন্তু তাদের কার্যকলাপ দ্বারা সুন্দর ভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছে জঙ্গীবাদই একমাত্র পন্থা ইসলাম কায়েম করার জন্য। এই যে ইসলামকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলার চেষ্টা চালাচ্ছে, এতে করে কি হবে? এতে করে বিশাল সঙখ্যক একটা জনঘোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক ক্ষোভ বিরাজ করবে। সকল ধর্মগোষ্ঠিই ভাবতে শুরু করবে যে তারাই সর্বশ্রেষ্ঠ। এবঙ এই সর্বশ্রেষ্ঠত্ব জাহির করার প্রবনতায় তারা আবার আরেক গুজরাটের জন্ম দেবে। অপরদিকে জঙ্গীবাদী সংগঠনগুলো খুব ভালো ভাবেই মেনে নেবে যে , বিশাল সঙখ্যক একটা ধর্মভিত্তিক জাতিগোষ্ঠীর সমর্থন পাচ্ছে তারা। এবঙ এটাই হ্ওয়া স্বাভাবিক।
খোদ বাঙলাদেরেই যদি একটি উদাহরন দিতে চাই তাহলে বলবো, এই দেশের কথিত বুদ্ধিজীবি ফরহাদ মজহারের কথা। তার ভুল তত্ব ও ভুল ব্যাখ্যায় একে একে জঙ্গীবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিবার থেকে উঠে আসা কোমলমতি ছেলে-মেয়েরা। যার প্রমান দেশে হিযবুত তাহরীর মতো সঙগঠনের রাতারাতি উত্থান। দেশের বিভন্ন জাতীয় দৈনিক গুলোতে বিভিন্ন সময়েই আমরা দেথতে পাই যে, বিভিন্ন সম্ভ্রান্ত ঘরের ছেলেরা হিযবুত তাহরীর কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ছে এবং রীিতিমত এর সংখ্যাটাও বেশ ভয়ংকর। ঠিক এমটি কিন্তু ঘটেছিল জার্মানিতেও, নিটসের সুপারম্যান থিওরির ব্যাখ্যার কারণে হিটলার সাহেব নিজেকে ওই যুগের সুপারম্যান ভেবে কি ম্যাসাকারটাই না করলো।
যাই হোক, দায়িত্বটা আসলে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবিদের , যারা মানুষের জীবনাচারনের দিকপাল হতে পারে। ....... তো সেই প্রশ্নটিও রাখছি সেই দিকপালদের দিকে, যে তারা কি যথেচ্ছ পরিমানে বুদ্ধবৃত্তিক কাহ করে যাচ্ছে এই অবস্থা উত্তরণে। যদি নাই করে থাকেন তাহলে সামনের অশনিসংকেতের জন্যে তারা কি দায়ী না হয়ে পারেন?