খুলেছে তো পরের মেয়ের বস্ত্র তাতে আমার কি!সবার সামনে চিৎকার দিয়ে একটা প্রতিবাদমুখর ভাষন দিয়ে পিছনে গিয়ে মুখ লুকিয়ে হেসে অনেকের মনেই বেজে ওঠে এই সুর।অনেকে আবার সার্চ করেন কোন ভিডিও পাওয়া যায় কিনা,সেটা নেহাৎ বিনোদোনের ব্যাপার হবে।তাদের উদ্দ্যেশে বলছি আপনি আজ অন্যের মেয়ের অপমান দেখে হাসছেন কাল আপনার মেয়ের যে এই অবস্থা হবেনা তার নিশ্চয়তা কি?এমন একটা সমাজের কথা বলতে পারবেন যেখানে মাতৃরূপী নারীচরিত্রের অস্তিত্ব নেই।
কি বলবেন মেয়েদের ড্রেসআপ খারাপ!মানুষের জন্মরহস্য জানেন তো,না জানলে আমার পক্ষে এর চেয়ে সহজ কোন মাধ্যমে এত কঠিন কথা বুঝানোর উপায় নেই।
আসল খারাপ হচ্ছে আপনাদের চোখ,যে চোখের লেন্সে স্বাভাবিক মানবশরীর ফুটবলের মত দেখেন।প্রতিনিয়ত এই সমাজে দেখছি প্রতিটা অপরাধেরর কারন হিসেবে দায়ী করা হয় অপরাধের শিকারকে আর অপরাধীর কোন অপরাধ নেই,সে যেন আসমান থেকে নেমে এসেছে তার দায়িত্বই হল অপরাধ করা।প্রতিটা রাতে আমার দুঃস্বপ্ন টি.এস.সি.তে ঘটে যাওয়া সেই হৃদয়বিদারক নোংরা ইতিহাস,শেষ রাতে আমার ঘুম ভাঙে লাঞ্ছিতা সে মায়ের চিৎকারে।
জননী, আমি অক্ষম সন্তান, তোমার সম্মানটুকু বাঁচাতে পারিনা।আমারে মরন দাও হে বিধাতা নয়ত এমন শক্তি দাও যেন সকল পাশবিকতার বিরুদ্ধে যেতে পারি সকল অমানিষা দূর করতে পারি।
আর খুলে দাও তাদের চোখ যারা এই মূহুর্ত পর্যন্ত আমায় নিছক পাগল ভাবছে।মাতৃত্বের অপমান চোখের সামনে দেখতে দেখতে হয়ত পাগলই হয়ে গেছি।
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে কি হল?অপরাধী বিচারের আড়ালেই রয়ে গেছে।নববর্ষ আসতে বেশীদিন দেরী নেই।ওরা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১,০০০০০ পুলিশ(পুরুষ) সামনের নববর্ষে ওয়েস্টার্ন ড্রেসে নারী সেজে হাতে চুড়ি পড়ে বৈশাখী মেলায় ঘুরছে।হ্যান্ডকাপ সাথে রাখা জরুরী। মেলায় একদল নারীলোভী পিশাচও ঘুরছে।যখনি তারা নারীরূপী পুরুষদের গায় হাত দিয়েছে,তখনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার।পৈচাশিকতা বন্ধে একটা সমাধান খুঁজতেছি।যদিও এই ক্ষুদ্রের কল্পনা আইনের চোখে তীব্র হাস্যকর,মারাত্মক দন্ডনীয় অপরাধ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৮