somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে কি হল???

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুলেছে তো পরের মেয়ের বস্ত্র তাতে আমার কি!সবার সামনে চিৎকার দিয়ে একটা প্রতিবাদমুখর ভাষন দিয়ে পিছনে গিয়ে মুখ লুকিয়ে হেসে অনেকের মনেই বেজে ওঠে এই সুর।অনেকে আবার সার্চ করেন কোন ভিডিও পাওয়া যায় কিনা,সেটা নেহাৎ বিনোদোনের ব্যাপার হবে।তাদের উদ্দ্যেশে বলছি আপনি আজ অন্যের মেয়ের অপমান দেখে হাসছেন কাল আপনার মেয়ের যে এই অবস্থা হবেনা তার নিশ্চয়তা কি?এমন একটা সমাজের কথা বলতে পারবেন যেখানে মাতৃরূপী নারীচরিত্রের অস্তিত্ব নেই।
কি বলবেন মেয়েদের ড্রেসআপ খারাপ!মানুষের জন্মরহস্য জানেন তো,না জানলে আমার পক্ষে এর চেয়ে সহজ কোন মাধ্যমে এত কঠিন কথা বুঝানোর উপায় নেই।
আসল খারাপ হচ্ছে আপনাদের চোখ,যে চোখের লেন্সে স্বাভাবিক মানবশরীর ফুটবলের মত দেখেন।প্রতিনিয়ত এই সমাজে দেখছি প্রতিটা অপরাধেরর কারন হিসেবে দায়ী করা হয় অপরাধের শিকারকে আর অপরাধীর কোন অপরাধ নেই,সে যেন আসমান থেকে নেমে এসেছে তার দায়িত্বই হল অপরাধ করা।প্রতিটা রাতে আমার দুঃস্বপ্ন টি.এস.সি.তে ঘটে যাওয়া সেই হৃদয়বিদারক নোংরা ইতিহাস,শেষ রাতে আমার ঘুম ভাঙে লাঞ্ছিতা সে মায়ের চিৎকারে।
জননী, আমি অক্ষম সন্তান, তোমার সম্মানটুকু বাঁচাতে পারিনা।আমারে মরন দাও হে বিধাতা নয়ত এমন শক্তি দাও যেন সকল পাশবিকতার বিরুদ্ধে যেতে পারি সকল অমানিষা দূর করতে পারি।
আর খুলে দাও তাদের চোখ যারা এই মূহুর্ত পর্যন্ত আমায় নিছক পাগল ভাবছে।মাতৃত্বের অপমান চোখের সামনে দেখতে দেখতে হয়ত পাগলই হয়ে গেছি।
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে কি হল?অপরাধী বিচারের আড়ালেই রয়ে গেছে।নববর্ষ আসতে বেশীদিন দেরী নেই।ওরা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১,০০০০০ পুলিশ(পুরুষ) সামনের নববর্ষে ওয়েস্টার্ন ড্রেসে নারী সেজে হাতে চুড়ি পড়ে বৈশাখী মেলায় ঘুরছে।হ্যান্ডকাপ সাথে রাখা জরুরী। মেলায় একদল নারীলোভী পিশাচও ঘুরছে।যখনি তারা নারীরূপী পুরুষদের গায় হাত দিয়েছে,তখনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার।পৈচাশিকতা বন্ধে একটা সমাধান খুঁজতেছি।যদিও এই ক্ষুদ্রের কল্পনা আইনের চোখে তীব্র হাস্যকর,মারাত্মক দন্ডনীয় অপরাধ।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×