বেকারত্বের অভিশাপে পঙ্গুত্ববরণের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।ইতিমধ্যে তৈরি করা হচ্ছে নতুন বেকার গ্রুপ যাদের 'চাকরিজীবী বেকার' বলা চলে,যারা প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সকল চাকরিজীবীদের মতই সকাল ৯টার মধ্যে অফিসে যায়,সারাদিন অফিস শেষে বিকেলে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফেরে আর সারা মাস এভাবে চাকুরীজীবীর অভিনয় করে মাস গেলে বেতনের বেলায় কাঁচকলা।দেশের বেশিরভাগ পৌরসভাতে কর্মরত লোকজনদের বেলায়ই দেখা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেতন-ভাতাহীন নির্মম পরিস্থিতি। যারা বেকার তারা না হয় মনেকে সান্ত্বনা দিল,'আমি বেকার আমার বেতন পাওয়ার অধিকার নাই',কিন্তু এসব মানুষ যারা কেবল খেটেই যাচ্ছে তারা কী দিয়ে নিজেকে অথবা পরিবারকে সাপোর্ট দিবে?সরকারদলীয় সর্বভূক আপনাদের বলছি,এক বছরের বেতন একসাথে দিলেন,হয়ত জানেনননা এই এক বছর বেঁচে থাকাটা সাধারণ মানুষের বেলায় কত বড় সংগ্রামের।যাদের দিনই চলেনা তাদের বছরের হিসেব দেখিয়ে আপনারা যা বোঝাতে চান সেটা বর্বরতার পরিচয় দেয়।দেখা যায় বাংলাদেশের প্রতিটি পৌরসভায় কর্মজীবীদের বেতন আটকে থাকে সরকারের গুদামঘরে অথবা রাজনৈতিক কোন নেতার ব্যাক্তিগত ব্যাবসাক্ষেত্রে।শেষমেষ মাসের পর মাস বছরের পর বছর বেতন না পেয়ে ভুক্তভোগী এসব কর্মজীবী মানুষের দুর্দশার আর সীমা থাকেনা।জনগণকে গাধার মত কাজ করাবেন আর জনগণের টাকায় নিজেদের ব্যাবসা বিস্তৃত করবেন,ওদিকে যে জনগণ ভাতের অভাবে হাহাকার করে তা দেখার বা ভাবার সময় আপনাদের নাই,এই সত্য অনুধাবনের জন্য প্রয়োজনীয় বিবেককে আপনারা নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন,সবার সামনে নির্লজ্জের মত চুরি করছেন।বাহ!ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে তো তাই চুরি-ডাকাতির সিস্টেমও নিয়মানুযায়ী ডিজিটাল হতে চলেছে,আগে যেটা চুরি ছিল এখন সেটা পুকুরচুরিতে রূপ নিয়েছে।গনতন্ত্রে কৃতদাসপ্রথার সুফল অনেকেই পেয়ে আসছেন তাই আর বন্ধ হবেনা এই দুর্নীতি...
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫